ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যহতি চান পোল্ট্রি উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৩ এপ্রিল ২০১৯

২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যহতি  চান পোল্ট্রি উদ্যোক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে আপামর মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং পোল্ট্রি পণ্য রপ্তানীর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন- এই প্রধান তিন লক্ষ্যকে সামনে রেখে এগুতে চায় বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প। আর সে লক্ষ্য অর্জনে সামগ্রিকভাবে পোল্ট্রি শিল্পের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যহতি’র দাবি জানিয়েছে পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বাজেট প্রস্তাব’ বিষয়ক আলোচনায় এ দাবি জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। বৈঠকে উপস্থিত পোল্ট্রি সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা বলেন- বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোতে যেখানে পোল্ট্রি ও ফিস ফিড তৈরির অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল নিজ দেশে উৎপাদিত হওয়ার পরও খামারিদের ভর্তুকী দেয়া হচ্ছে; সেখানে আমাদের দেশে ভূট্টা, সয়াবিন মিল, ঔষধসহ বেশিরভাগ কাঁচামাল আমদানি-নির্ভর হওয়া সত্ত্বেও এ খাতের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। শিল্প সংশ্লিষ্টরা যেহেতু ২০২৫ সালের মধ্যেই রপ্তানী শুরু করতে চান এবং ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্ব বাজারে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চান, তাই ২০৩০ সাল পর্যন্ত সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যহতি জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা। পোল্ট্রি উদ্যোক্তারা বলেন- সরকারি হিসাব মতে দেশে বর্তমানে মাথাপিছু ডিমের বার্ষিক কনজাম্পশন ৯০টি এবং মুরগির মাংসের কনজাম্পশন প্রায় ৬.৫ কেজি।
×