ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

তিনটি বিশেষায়িত পর্যটন অঞ্চল হচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

তিনটি বিশেষায়িত পর্যটন অঞ্চল হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সম্ভাবনা থাকলেও পর্যটন খাতে পিছিয়ে বাংলাদেশ। বিদেশী পর্যটকদেরও টানা সম্ভব হচ্ছে না কাক্সিক্ষত হারে। এই খাতের উন্নয়নে কক্সবাজারে তিনটি বিশেষায়িত পর্যটন অঞ্চল স্থাপন করছে সরকার। এর মধ্যে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক শুধু বিদেশী পর্যটকদের জন্য। আর নাফ ও সোনাদিয়া ট্যুরিজম পার্ক সবার জন্য। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজারে। তবে থাইল্যান্ডে যেখানে মাত্র ২-৩ কিলোমিটারের সৈকতে ভিড় জমায় বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার পর্যটক, সেখানে ১২০ কিলোমিটারের বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সে তুলনায় পর্যটকের সংখ্যা একেবারে নগণ্য। শুধু কক্সবাজার নয় বাংলাদেশে রয়েছে বৈচিত্রময় সুন্দরবন, বিভিন্ন সংস্কৃতি আর পাহাড়ি সৌন্দর্যে ভরপুর পার্বত্য অঞ্চল, ঝরনা-চা বাগানের জেলা সিলেট এবং কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। এরপরও পর্যটনে অন্যান্য অনেক দেশের চেয়েই এখনও বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। প্রধান কারণ হিসেবে উঠে আসছে অব্যবস্থাপনা, নোংড়া পরিবেশ, সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক মানসম্মত সেবা দিতে না পারার বিষয়টি। তবে, পর্যটন খাতের বিকাশে এবং বিদেশী পর্যটক আকর্ষণে তিনটি পর্যটন পার্ক স্থাপনের কাজ করছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এর মধ্যে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক উন্নত ও বিশ্বমানের সেবা নিয়ে বিশেষভাবে শুধুমাত্র বিদেশী পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে বিনিয়োগ হতে পারে ৩ বিলিয়ন ডলার। আর কর্মসংস্থান হতে পারে অন্তত ৪০ হাজার লোকের। আর নাফ এবং সোনাদিয়া ট্যুরিজম পার্ক তৈরি করা হচ্ছে সবার জন্য। এ তিনটি স্থাপন হচ্ছে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায়। নাফ ট্যুরিজম পার্কের আয়তন ২৭১ একর, সাবরাং ১০২৭ একর এবং সোনাদিয়া দ্বীপ ইকো পার্কের আয়তন ৯ বর্গকিলোমিটার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন সেবা নিশ্চিত করা যাবে এর মাধ্যমে। বিশেষায়িত এসব পর্যটন অঞ্চলের ফলে বাড়বে বিনিয়োগ এবং তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান। পর্যটন পার্কগুলো স্থাপনের কাজ করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বজা)।
×