ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জাপানী নাগরিকের বিরুদ্ধে জাপান প্রিন্টিং কোম্পানির অভিযোগ

টাকা পাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

টাকা পাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ তৃতীয় পক্ষের হিসাবের মাধ্যমে অবৈধভাবে পে-অর্ডার কালেকশন করে শতকোটি টাকা পাচারের চেষ্টা করেছেন ইউতাকা আকানি নামের এক জাপানী নাগরিক। টাকা অবৈধভাবে কালেকশন এবং পাচার রোধে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি আবেদন করেছে জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস কোম্পানি। আবেদনে বলা হয়েছে, এই টাকা বিদেশে পাচার হয়ে গেলে প্রতিষ্ঠানটি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আবেদনে আরও বলা হয়েছে, বেসরকারী খাতের একমাত্র সরকার অনুমোদিত জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস লিমিটেডে বিনিয়োগের জন্য ২০১২ সালে ১০৪ কোটি টাকা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন ইউতাকা আকানি নামের এক জাপানী। শেষ পর্যন্ত এই অর্থ বিনিয়োগ না করে একটি সরকারী ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) করেন। এদিকে পূর্ব নির্ধারিত চুক্তি মোতাবেক বিনিয়োগ না করায় আর্থিক সঙ্কটের কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে থাকে প্রিন্টিং প্রেসটির। পরে ওই বছরেই ইউতাকা আকানির বিরুদ্ধে ঢাকার একটি আদালতে ১৪৪ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করে জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস কোম্পানি। মামলা বিচারাধীন থাকলেও মেয়াদ শেষে সুদাসলে এফডিআরের প্রায় ১১৯ কোটি টাকার একটি পে-অর্ডার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে গ্রহণ করেছেন আকানি। তবে নিজের নামে কোন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট না থাকায় আকানি তৃতীয়পক্ষের হিসাবের মাধ্যমে ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে পে-অর্ডারের কালেকশন করতে জমা দিয়েছেন। দেশের একটি প্রতিষ্ঠিত সিকিউরিটি এ্যান্ড পেপারস লিমিটেড কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য আনা অর্থ বিনিয়োগ না করায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কোম্পানির পক্ষ থেকে আকানির নামে মামলা করা হয়েছে। যা এখনও বিচারাধীন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নরের কাছে দেয়া আবেদনে জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এ্যান্ড পেপারস কোম্পানি বলেছে, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে আকানির অর্থ ছাড় এবং দেশের বাইরে পাচার হয়ে গেলে আমাদের কোম্পানি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইউতাকা আকানির নামে কোন ব্যাংক এ্যাকাউন্ট না থাকায় তৃতীয় পক্ষের হিসাবের মাধ্যমে একটি বেসরকারী ব্যাংকে অবৈধভাবে পে-অর্ডার কালেকশন করে এসব টাকা বিদেশে পাচারের চেষ্টা করছে আকানি। আকানির নামে দায়ের করা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই পে-অর্ডার অবৈধভাবে কালেকশন করে দেশের বাইরে পাচার না করতে পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছেন জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি এ্যান্ড পেপারস লিমিটেড কোম্পানি।
×