ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় বাঁধ নির্মানের দাবিতে উপকূলবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় বাঁধ নির্মানের দাবিতে উপকূলবাসীর মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর-রামগতি মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে উপজেলা রক্ষা ও দ্রুত বাঁধ নির্মাণ এবং হাজারো কোটি টাকার সম্পদ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় ভিটে-বাড়ী হারানো কয়েক হাজার মানুষ। ‘কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ’ আয়োজিত আজ বুধবার সকালে ১০টা থেকে কমলনগরের মাতাব্বরহাট এলাকার নদীর পাড়ে প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে প্রচন্ত গরমে প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ভিটে-বাড়ী হারানো কয়েক হাজার নারী পুরুষ। ‘কমলনগর-রামগতি বাঁচাও মঞ্চ’এর আহবায়ক এ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পলোয়নের সভাপতিত্বে মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙন থেকে উপজেলা দুইটিকে রক্ষার দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগ কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সৈয়দ মো. শামছুল আলম প্রমুখ। এ সময় বক্তারা বলেন, গত ২০ বছর ধরে মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে কমলনগর ও রামগতি উপজেলার ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। নদী গর্ভে বিলিন হয়েগেছে ৪৫ হাজার ঘরবাড়িসহ কয়েক হাজার কোটি টাকার সরকারি-বেসরকারী স্থাপনা। একই ভাবে ছোট বড় ৩১টি বড় হাট বাজার, ৩৫টি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা, ৩০টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ৪০০ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা রাস্তা, ৩৭ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ এবং ৫০ হাজার একর ফসলি জমি। দ্রুত নদী ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে স্রোতের চ্যানেল পরিবর্তন এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে দুই উপজেলা রক্ষা করার পাশপাশি স্থায়ী বাঁধের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া দাবি তাদের। নচেৎ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কমলনগর ও রামগতি নামের এই দুই উপজেলা দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তারা। ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। যার ফলে বসতভিটা, কৃষি জমি, বাজার, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনাসহ গোটা জনপদ হারানোর ভয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন দুই উপজেলার প্রায় সাত লাখ মানুষ। অবিলম্বে নদী ভাঙন রোধ করা না হলে ভৌগোলিক পরিবতর্ন পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে। মানববন্ধন অংশ গ্রহনকারীরা অনতি বিলম্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। পরিশেষে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গন রোধে আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মওলানা মো. গিয়াস উদ্দিন।
×