শমী কায়সারের মোবাইল চুরি নিয়ে তোলপাড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী শমী কায়সারের দুটো মোবাইল ফোন চুরি যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটে গেছে তুলকালাম কাণ্ড। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকসহ ঢালাওভাবে সবাইকে চোর সন্দেহে তল্লাশির ঘোষণা দেয়ায় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সবাই। একপর্যায়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আবার চোরেরও সন্ধান মেলে। জানা গেছে ‘বিন্দুু ৩৬৫’ নামের একটি ট্যুরিজম কোম্পানির যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। চলচ্চিত্র তারকা জয়া আহসান, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শমী কায়সারের উপস্থিতিতে চলছিল কেক কাটার আয়োজন। এমন সময় তিনি টের পান তার সঙ্গে থাকা দুটো মোবাইল ফোন চুরি গেছে। কেক কাটা শেষ হতে না হতেই শমী কায়সার চিৎকার করে বলেন, তার দুটি ফোনই হারিয়ে গেছে। ভরা মজলিস থেকে ফোন চুরি যাওয়ার ঘটনায় হতবাক শমী কায়সার। এ সময় পুরো মিলনায়তনে হট্টগোল শুরু হয়। ক্ষুব্ধ শমী কায়সার বলেন-মিলনায়তনে উপস্থিত প্রত্যেকের পকেটে তল্লাশি চালিয়ে হলেও ফোন দুটি খুঁজে বের করা হবে। মিলনায়তনে উপস্থিত সবাইকে তল্লাশি চালানোর উদ্যোগ নিলে উপস্থিত অনেক সাংবাদিক প্রতিবাদ জানান। পরে মিলনায়তনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ফোন চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সিসিটিভি ও উপস্থিত টিভি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজে দেখা যায়, কেক কাটার সময় কেকের পাশেই থাকা শমী কায়সারের ফোন দুটি চুরি করে নেয় সাদা টি-শার্ট পরিহিত এক তরুণ, ভিডিওতে তার মুখ দেখা যায়নি। তিনি টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চেহারা দেখা না যাওয়ায় তারা নিশ্চিত হতে পারছিলেন না আদৌ ওই তরুণ তাদের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন কি না। তবে শেষ পর্যন্ত চোর শনাক্ত করা হয়েছে। সাংবাদিকদের ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ ও মিলনায়তনের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করা হয়। এ সম্পর্কে শমী কায়সার বলেন, “এটি অত্যন্ত বাজে একটি দৃষ্টান্ত হলো। আবার তল্লাশির কথায় অনেকে কষ্ট পেয়েছেন, সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করেছেন। আমি সত্যিই খুব দুঃখিত। এই ফোন দুটিতে আমার সবকিছু ছিল। ফোন দুটি হারিয়ে সত্যিই আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলাম।”