অনলাইন ডেস্ক ॥ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দুর্নীতিমুক্ত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার জন্য আগামী ১ মে থেকে রাজউকে এবং ১ জুন থেকে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথা অনলাইনের মাধ্যমে হবে।
কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘একজন নাগরিক বাড়িতে বসে ল্যাপটপে বসে আবেদন করবেন। শুধু ব্যাংকের টাকাটা জমা দিয়ে রিসিভ নম্বরটা দিতে হবে। তারপর সব কাজ বাড়িতে বসেই হবে। আমরা আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চাই ।’
তিনি বলেন, ফাইল যাতে হারিয়ে না যায় তার জন্য আমরা ডাটাবেজ তৈরি করছি। সব ফাইল অনলাইনে রাখা হবে। ডাটাবেজটা কমপ্লিট হলে আর কোনো দফতরে না গিয়েই জনগণ তার ফাইলের অবস্থা বুঝতে পারবে।
নাগরিকদের অভিযোগ শুনতে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে বলে জানান গণপূর্তমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এসব কাজের প্রতিক্রিয়া পেতে অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হবে। কারণ আমি শুনতে চাই কারা দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। শুনতে চাই কাদের কারণে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না। বুঝতে চাই মানুষ কতটা সেবা পাচ্ছে। কারণ আমরা আমাদের দায়িত্ববোধ এড়িয়ে যেতে পারি না।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অনেক ধরনের ফি বেশি ধরা আছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজন নেই তারপরও ফি ধরা আছে। আমরা এগুলো পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। সরকার ব্যবসা করে না। সুতরাং অযথা কোনো ফি ধরা হবে না।’
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আমাকে বলেছেন, আমাদের তো বেতন-ভাতা নেয়া লাগে। আমি তাকে বলেছি বেতন-ভাতা সরকার দেবে। আপনাদের এমন চুক্তিতে চাকরি নয় যে এখান থেকে আয় করে বেতন নিতে হবে। যদি ভর্তুকি দেয়া লাগে তবে আমরা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও রাজউককে ভর্তুকি দেব। তারপরও জনগণের কাঁধে অতিরিক্ত ট্যাক্সের বোঝা বাড়াতে চাই না। সেজন্য আমরা কাজ করছি।’
এ সময় তিনি জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কাজকে ২৬টি শ্রেণিতে বিভক্ত করে তাদের সময় ২ থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।