নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নওদাগ্রামে ছেলের হাতে মা মর্জিনা খাতুন (৪৫) ও নানি সামছুন্নাহার (৮০) খুন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ছেলে ইমরান হোসেন (২৩) মা ও নানিকে উপর্যুপুরি কুপিয়ে আহত করে। পরে যশোর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন। ইমরান হোসেন নওদাগ্রামের এনায়েতুল্লাহর ছেলে।
স্বামী পরিত্যাক্তা মর্জিনা খাতুন নওদাগ্রামে তার পিতা নুরমোহাম্মদের বাড়িতেই থাকতো।
এ ব্যাপারে প্রতিবেশী এমদাদুল হক জানান, ইমরান হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই মানষিক রোগি বলে আমরা জানি। তার চলফেরা সব সময় ‘এ্যাবনরমাল’। দুই বার তাকে মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
নিহত মর্জিনার চাচাতো ভাই গ্রাম ডাক্তার কুদরত আলী জানান, খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে তাদের বাড়ি যায়। দেখি ইমরানের মা ও নানি দুজনই অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য কোপের আঘাত। খুব রক্ত ঝরছে। আমি দ্রুত একটি মাইক্রেবাস ঠিক করে তাদেরকে নিয়ে যশোর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তির আগেই তারা দুজনই মারা গেছেন বলে ডাক্তার আমাকে জানায়। তিনি বলেন ইমরানের মা মর্জিনা খাতুন মহেশপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসাবে কাজ করতেন। বিয়ের কিছুদিন পর ইমরান জন্গ্রহণ করলে স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকেই তিনি এক ছেলেকে নিয়ে বাবা মায়ের কাছে নওদাগ্রামেই থাকতেন। আর বিয়ে করেননি। তিনি আরো বলেন, ইমরানের চলাফেরা সব সময় উগ্র, অস্বাভাবিক। কারো সাথেই সে ভালো ব্যবহার করতো না। এলোমেলো চলাফেরা করতো।
মহেশপুর থানার ওসি রাসেদুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে নওদা গ্রামের এনায়েতুল্লার ছেলে ইমরান হোমেসন তার মা ও নানিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। ওই রাতেই প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিৎিসক তাদেরকে মৃত ঘোষনা করেন। তিনি আরো বলেন ইমরান হোসেন মানষিক রোগি ছিল। গত ৪/৫ মাস আগেও তাকে পাবনা মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। সে কারনেই হয়তো এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে তদন্ত শেষে আরো বিস্তারিত জানা যাবে বলে তিনি জানান। এ হত্যাকেন্ডর পর থেকে ছেলে ইমরান হোসেন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: