ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কার সরকার হামলার জন্য দায়ী করছে একটি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীকে

প্রকাশিত: ০১:৪০, ২৬ এপ্রিল ২০১৯

শ্রীলঙ্কার সরকার হামলার জন্য দায়ী করছে একটি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীকে

অনলাইন ডেস্ক ॥ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে'র দিনে গির্জা এবং ট্যুরিস্টদের কাছে জনপ্রিয় এমন কয়েকটি হোটেলে ভয়াবহ বোমা হামলার পর এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে শ্রীলঙ্কায়। এসব হামলার জন্য দেশটির সরকার মূলত দায়ী করছে একটি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীকে। ঘটনার জন্য দায় স্বীকার করেছে ভিডিও প্রকাশ করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট জঙ্গী গোষ্ঠী, যদিও তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ তারা দিতে পারেনি এখনো। শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল যে 'ন্যাশনাল তাওহীদ জামাত' এই হামলার পেছনে রয়েছে. তবে এদের সাথে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর যোগসাজশ আছে। কিন্তু ইসলামপন্থী সংগঠনের নাম আসার পর থেকেই ভয়ভীতি ছড়িয়ে পড়ে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে, যারা সেখানে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু। এর মধ্যে যেসব এলাকায় হামলা হয়েছিলো তার একটি নিগম্বো থেকে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় বহু মুসলমান সরে পড়েছে। নিপীড়নমূলক কার্যকলাপের মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়ে অনেক মুসলিম বলছেন যে তারা এখন একটি ভয়ার্ত পরিবেশের মধ্যে আছেন। নিগম্বোর মুসলিমদের মধ্যে একটি বড় অংশই আহমদীয়া সম্প্রদায়ের। তাদের অনেকে একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন, যার সুরক্ষার দায়িত্বে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহেও স্বীকার করেছেন যে আহমদীয়া সম্প্রদায়ের অনেকে হামলার শিকার হচ্ছেন। নিগম্বোর পরিস্থিতি : শ্রীলঙ্কার জনসংখ্যা দুই কোটি ১০ লক্ষ, যার মধ্যে ১০ শতাংশ মুসলমান। বিবিসি'র একজন সংবাদদাতা জানাচ্ছেন যে প্রায় ছয়শো' আহমদীয়া নিগম্বোর ফায়জুল মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন। এটি শ্রীলঙ্কায় আহমদীয়াদের পাঁচটি মসজিদের একটি। শ্রীলঙ্কায় আহমদীয়ারা যেসব বাসা বাড়িতে বাস করেন, তার অধিকাংশেরই মালিক ক্যাথলিক খ্রিস্টানরা। "আমার বাড়ি গির্জার কয়েকটি রাস্তার পরেই। হামলার পর বাড়ির মালিক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন, আমাকে বললেন নিরাপদ কোনো স্থানে চলে যেতে," বলছিলেন একজন। পাকিস্তান থেকে আসা প্রায় আটশো' আহমদীয়া জাতিসংঘের সহায়তায় বাস করেন নিগম্বোতে। নিপীড়নের কারণেই তারা পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। এর বাইরে প্রায় ৫,০০০ স্থানীয় আহমদীয়া বাস করেন ওই এলাকায়। অনেকে সেখানে দীর্ঘকাল ধরে বাস করেন এবং তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যও আছে। তারা অবশ্য মনে করেন যে এখনকার পরিস্থিতিতে তাদের জন্য হুমকির কিছু নেই। সূত্র : বিবিসি বাংলা
×