ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মেট্রোরেল প্রকল্প আরও জমি চায়

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ২৭ এপ্রিল ২০১৯

 মেট্রোরেল প্রকল্প আরও  জমি চায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের (এমআরটি লাইন-৬) প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানের অধীনে আরও ২৮ দশমিক ৬১৭ একর ভূমি বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। ‘মেট্রোরেল প্রকল্প’ নামে পরিচিত এ প্রকল্পের ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (টিওডি) এবং স্টেশন প্লাজা নির্মাণের জন্য এ জমি ব্যবহার করা হবে। এজন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে সংস্থাটির উত্তরা তৃতীয় পর্বের উত্তরা সেন্টার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ পরিমাণ জমি চাওয়া হয়েছে। এমআরটি লাইন-৬-এর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এনকেডিএম এ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ অনুযায়ী মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের আবেদনের পর রাজউক ভূমি বরাদ্দের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে রাজউকের সার্ভেয়ার সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। রাজউকের সার্ভেয়ারের ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রকল্পের প্রস্তাবিত নক্সা অনুযায়ী এরিয়া ‘এ’-এর আয়তন এক দশমিক ৮৩২ একর। যা উত্তরা সেন্টার সংলগ্ন এ্যাভিনিউ-২ বা এমআরটি লাইন-৬-এর পূর্বপাশে অবস্থিত। রাজউক অনুমোদিত লে-আউট নক্সায় এটি বাণিজ্যিক হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। এরিয়া ‘বি’-এর আয়তন ৫ দশমিক ২০ একর। যা এমআরটি লাইন-৬ বা উত্তরা সেন্ট্রাল সংলগ্ন এ্যাভিনিউ-২-এর পশ্চিম পাশে অবস্থিত। এই অংশের উত্তর পাশে রাজউক উত্তরা তৃতীয় পর্বের সাইট অফিসের জন্য সংরক্ষিত ১.৬৬ বিঘা, দক্ষিণ পাশে রাজউক বরাদ্দকৃত প্রাতিষ্ঠানিক প্লট সিমেক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির নামে বরাদ্দ শূন্য দশমিক ৮৫ বিঘা জমি রয়েছে। এ প্লটটির সব টাকা পরিশোধিত এবং দখল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাকি ২ দশমিক ৫১ বিঘা জমি বাণিজ্যিক হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে। এছাড়া এরিয়া দসি’ উত্তরা সেন্টার প্লাজা হিসেবে চিহ্নিত। প্রস্তাব অনুযায়ী এতে ২১ দশমিক ৭৬৫ একর জমি রয়েছে। সব মিলিয়ে এ তিনটি অংশে ২৮ দশমিক ৬১৭ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ১২ মার্চ রাজউকের চারজন সার্ভেয়ার সরেজমিন পরিদর্শন করে রাজউকের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা রাজউকের কাছে ওই এলাকায় কিছু জমি বরাদ্দ চেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে রাজউকের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তবে জমির পরিমাণ ঠিক কত তা এই মুহূর্তে সঠিকভাবে বলতে পারছি না। প্রকল্পের পরিচালক সাহেব আরও ভাল বলতে পারবেন।’ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য মেট্রোরেল প্রকল্প পরিচালক আফতাব উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিষয়টি মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ভাল বলতে পারবে। আমি এর বেশি জানি না। তারা যদি জমি চায় তাহলে আমরা দিয়ে দেব।’ তবে এ প্রসঙ্গে রাজউকের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা তৃতীয় পর্বে কিছু জমি বরাদ্দ চেয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের চারজন সার্ভেয়ার সরেজমিন তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, মেট্রোরেল প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিটিতে মোট ২৭ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণের সংস্থাপন রয়েছে। এরই মধ্যে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬-এর ডিপো নির্মাণের জন্য ২৩ দশমিক ৮৪ হেক্টর বা ৫৮ দশমিক ৯১ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে রাজউক। যা ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।
×