ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে ৬০ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৮ মে ২০১৯

শেয়ারবাজারে ৬০ ভাগ কোম্পানির দর কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিতায় সকাল থেকেই সূচকের ওঠানামা দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কম থাকায় শুরু থেকেই কিছুটা উত্থান-পতন ছিল। বেশিরভাগ তালিকাভুক্ত ব্যাংকের দর বাড়লেও অন্যান্য খাতের কোম্পানিগুলোর দর হারিয়েছে। বিশেষ করে সিরামিক খাতের মুন্নু সিরামিকের দর কমছে বেশি। এমনকি এক পর্যায়ে শেয়ারটির ক্রেতাশূণ্য অবস্থায় লেনদেন হয়েছে। একইসঙ্গে আগের তুলনায় মুনাফা কমে যাওয়ার কারণে ওষুধ এবং রসায়ন খাতের সেন্ট্রাল ফার্মার শেয়ারের চাহিদা কম ছিল। তবে লেনদেনে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর প্রাধান্য ছিল। এমনকি লেনদেনের প্রথম ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৫টি নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি। আগের প্রান্তিকের তুলনায় কোম্পানিগুলোর সর্বশেষ প্রান্তিকে মুনাফা বাড়ায় শেয়ারবাজারে চাহিদা বেড়েছে। এর বিপরীতে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির দর হারিয়েছে বেশি। জানা গেছে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৭২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২১৭ ও ১৮৫৮ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে ৩১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৩৩ কোটি টাকার। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ১০২ কোটি টাকা। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৩টি কোম্পানির মধ্যে ৮৫টি বা ২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ২০৬টি বা ৬০ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টি বা ১৫ শতাংশ কোম্পানির। টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের। এদিন কোম্পানির ৩১ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুন্নু সিরামিকের ২৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এস্কয়্যার নিট কম্পোজিট। সার্বিক লেনদেনে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে - ইন্দো-বাংলা ফার্মা, পাওয়ার গ্রীড, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, জেনেক্স ইনফোসিস, ন্যাশনাল ব্যাংক, এসএস স্টিল ও লিগ্যাসি ফুটওয়্যার। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২০৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২২৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ১৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির দর। ১৬ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
×