ইউটিউবার জোনসের ১০ বছরের কারাদণ্ড
শিশু পর্নোগ্রাফি ছড়ানোর দায়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে সাবেক ইউটিউবার অস্টিন জোনসকে। আদালতে দোষ স্বীকার করার পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জোনসের চ্যানেল সরিয়ে নেয় ইউটিউব। ২০০৭ সালে মিউজিশিয়ান হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন জোনস। জনপ্রিয় গানগুলোর কাভার দিয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে খবর আসে অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ভিডিও পাঠাতে বলেছেন জোনস। তার চ্যানেলের একটি ভিডিওর কথা স্বীকারও করেছেন তিনি।
জোনস বলেন, ওই ভিডিওর জন্য তিনি লজ্জিত। তবে ভক্তদের কাছ থেকে অশালীন ভিডিও নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি। দু’জন অপ্রাপ্তবয়স্ক বালিকার কাছ থেকে অশালীন ভিডিও নেওয়ার দায়ে ২০১৭ সালে জোনসকে গ্রেফতার করা হয়। ফেসবুক এবং আইমেসেজ ব্যবহার করে টিনএজ বালিকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্নোগ্রাফিক ভিডিও পাঠানোর কথাও স্বীকার করেছেন জোনস- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের। ইউটিউবের পক্ষ থেকে তার এ্যাকাউন্ট পর্যালোচনা করা হয়নি। জোনসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরও তার চ্যানেল সরানো হয়নি। তখন ইউটিউবের পক্ষ থেকে বলা হয় চ্যানেলটি তাদের সেবার নীতিমালা ভাঙ্গেনি। অবশ্য এর পরপরই সিদ্ধান্ত বদলে তার চ্যানেল সরিয়ে নেয় ইউটিউব। ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে থাকতে হবে জোনসকে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি স্পেশাল এজেন্ট-ইন-চার্জ জেমস গিবসন বলেন, ‘অস্টিন জোনসের আজকের রায় তিনি যেসব তরুণ ভুক্তভোগীকে প্রভাবিত করেছেন, এটি তাদের জন্য ন্যায়বিচারের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’
আইফোন ব্যাটারির মিথ্যা তথ্য দেয় এ্যাপল
একবার পূর্ণ চার্জে আইফোন কতক্ষণ চলবে তা বাড়িয়ে বলা হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্যের এক ভোক্তা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। বেশ কয়েকটি মডেলের আইফোনের ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়ীতা লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়িয়ে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘হুইচ?’ নামের প্রতিষ্ঠানটি। মোট নয়টি মডেলের আইফোন পরীক্ষা করেছে তারা। মডেলভেদে আইফোনগুলো এ্যাপলের দাবি করা ব্যাটারির স্থায়িত্বকালের চেয়ে ১৮ থেকে ৫১ শতাংশ কম বলে দেখা গেছে- খবর বিজনেস ইনসাইডারের। হুইচ?-এর পরীক্ষায় দেখা গেছে এ্যাপলের দাবি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি গরমিল আইফোন XAvi-এর ব্যাটারিতে। একবার চার্জে ২৫ ঘণ্টা টকটাইম পাওয়ার দাবি এ্যাপলের। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গেছে এতে টকটাইম পাওয়া গেছে ১৬ ঘণ্টা ৩২ মিনিট।
বিভিন্ন ধরনের পণ্য পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে থাকে হুইচ?। আগের মাসেই এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানায় ভুয়া রিভিউয়ে ভরপুর এ্যামাজন। এবার আইফোনের ব্যাটারি পরীক্ষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা অনেক গভীরভাবে আমাদের পণ্য পরীক্ষা করি এবং ব্যাটারির স্থায়িত্বকাল নিয়ে যে দাবি করা হয় তার সঙ্গেই থাকি। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সুচালোভাবে বসিয়ে আইফোন এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি লাইফ পাওয়া যায়। আমাদের পরীক্ষার ধরনে বুদ্ধিদীপ্ততা রয়েছে। হুইচ? তাদের পরীক্ষার ধরন জানায়নি। তাই আমরা তাদের ফলাফলের সঙ্গে আমাদের ফলাফল তুলনা করতে পারছি না। আমরা আমাদের পরীক্ষার ধরন জানিয়ে থাকি এবং তা বিস্তারিতভাবে এখানে প্রকাশ করি।’
হুইচ?-এর পক্ষ থেকে পরীক্ষার সময় একবার পূর্ণচার্জে আইফোনে টানা কতক্ষণ কল করা যায় তা দেখা হয়। পরে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের দাবির সঙ্গে তা মেলানো হয়। এ্যাপল ছাড়াও স্যামসাং, এইচটিসি, সনি এবং নোকিয়াসহ জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ৫০টির বেশি ফোন পরীক্ষা করেছে হুইচ? এইচটিসিও ব্যাটারি লাইফ কিছুটা বাড়িয়ে বলে জানিয়েছে তারা। তাইওয়ানিজ প্রতিষ্ঠানটি ব্যাটারি লাইফ পাঁচ শতাংশ বেশি দাবি করে। হুইচ?-এর দাবি অনুযায়ী স্যামসাং, নোকিয়া এবং সনি তাদের ডিভাইসের টক টাইম নিয়ে ভাল ধারণা রাখে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: