ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গর্ভপাত নিষিদ্ধ আইন ঠেকাতে ‘যৌন ধর্মঘটে’র ডাক

প্রকাশিত: ২২:৪৬, ১৩ মে ২০১৯

গর্ভপাত নিষিদ্ধ আইন ঠেকাতে ‘যৌন ধর্মঘটে’র ডাক

অনলাইন ডেস্ক ॥ অভিনেত্রী ও মি টু অ্যাক্টিভিস্ট অ্যালিসা মিলানো গর্ভপাতবিষয়ক একটি আইনের প্রতিবাদস্বরূপ নারীদের সেক্স স্ট্রাইক বা যৌন ধর্মঘটে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এক টুইটবার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘মেয়েদের নিজের শরীরের ওপর আইনগত অধিকার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে পারি না।’ যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বশেষ জর্জিয়া গর্ভপাতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আইন প্রণয়ন করেছে। তবে এর প্রতিবাদে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার যে আহ্বান মিলানো জানিয়েছেন তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, কথিত ‘হার্ট-বিট বিল’ জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প মঙ্গলবার স্বাক্ষর করেছেন। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিলের প্রতিবাদে অ্যালিসা মিলানো টুইটবার্তায় লিখেছেন, ‘আমাদের প্রজনন অধিকার বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। যতদিন শরীরের ওপর নারীর আইনগত নিয়ন্ত্রণ না আসবে ততদিন আমরা গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে পারি না। শরীরের ওপর নিজের একচ্ছত্র অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত যৌন সম্পর্ক করা থেকে বিরত থেকে আমার সঙ্গে যোগ দিন।’ অভিনেত্রী মিলানো শনিবার টুইটটি করেছেন। তার তৈরি হ্যাশট্যাগ সেক্স স্ট্রাইক টুইটারে ইতোমধ্যে আলোচিত হয়েছে। প্রায় ৩৫ হাজার লাইক আর ১২ হাজার বার রি-টুইট হয়েছে তার টুইট। অভিনেত্রী বেটি মিডলারও মিলানোকে সমর্থন করে টুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি আশা করি, এমন লজ্জার বিষয়টি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত জর্জিয়ার নারীরা যৌন সম্পর্ক করা থেকে বিরত থাকবেন।’ সমর্থনের পাশাপাশি অভিনেত্রীর এমন পদক্ষেপের বিরোধিতাও করছেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘সেক্স স্ট্রাইক’ একটি খারাপ ও যৌনময় আইডিয়া। যা আছে ‘কথিত’ বিলে নতুন এ আইনে মায়ের গর্ভধারণের পর ভ্রূণের ‘হার্ট-বিট’ পাওয়ার পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাধারণত গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ পর গর্ভজাত শিশুর হার্ট-বিট তৈরি হয়। যদিও অনেক সময় নারীরা কিছুটা লক্ষ্মণ ছাড়া ছয় সপ্তাহে টেরই পান না যে তিনি গর্ভধারণ করেছেন। এমনকি ‘মর্নিং সিকনেস’ নামে গর্ভধারণের পর যে শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায় তা প্রকাশ পেতে নয় সপ্তাহ সময় লাগে। নতুন এ আইনটি অবশ্য আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। এর আগে কেন্টাকিতে একজন বিচারক এমন একটি আইন আটকে দিয়েছিলেন। মিসিসিপি রাজ্যেও এমন আইন পাশ হয়েছে, সেটিও এখন আদালতের চ্যালেঞ্জের মুখে। বিবিসি জানিয়েছে, আইনটি পাশের সময় ৫০ জন অভিনেতা ওই রাজ্যে ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডাকশন বয়কটের প্রস্তাব দিয়েছেন। অন্য অভিনেতারাও বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন। যদিও অনেকেই আবার এর বাইরে রয়েছেন। মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ক্রিস অর্টম্যান এক বিবৃতিতে বলেছেন, জর্জিয়ায় ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডাকশনের সঙ্গে ৯২ হাজার চাকরির বিষয় জড়িত। গভর্নর অফিসের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ফিল্ম ও টেলিভিশন প্রডাকশন ইন্ডাস্ট্রি ২০১৮ সালে দুই দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।
×