ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আলফাডাঙ্গায় মসজিদের ইমামের উপর হামলা

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৫ মে ২০১৯

আলফাডাঙ্গায় মসজিদের ইমামের উপর হামলা

সংবাদদাতা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর ॥ ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার মসজিদের ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (১৪.০৫.১৯) সকালে উপজেলার জাটিগ্রাম শাহ্ আরজানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত ওই ইমাম হলেন আসলাম মোল্যা (৩৫)। তিনি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. সালাম মোল্যার ছেলে। হাফেজ আসলাম মোল্যা জাটিগ্রাম শাহ্ আরজানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও জামে মসজিদের ইমাম। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত শনিবার মাদ্রাসার নূরানি বিভাগের ছাত্র ওমর মোল্যা বিলম্ব করে মাদ্রাসায় প্রবেশ করার অপরাধে শাসন হিসেবে দু’টি চর দেন মাদ্রাসার ওই শিক্ষক। পরে বিষয়টি ওই ছাত্র ওমর ফারুক বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের নিকট বিষয়টি জানান। বিষয়টিতে তার মা পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের তার ছোট ভাই মো. আরিফ সিকদারকে ঘটনাটি জানায়। আরিফ শিকদার তার চাচাতো ভাই তাজিম, সাদিক, আলম ও সাকিবসহ পাঁচ-ছয় জনকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে। তখন মাদ্রাসা শিক্ষক আসলাম মোল্যা মাদ্রাসার অভ্যন্তরে কোরআন শরীফ পাঠ করতে ছিলেন। এ সময় আরিফ সিকদারের হাতে থাকা ছোরা দিয়ে ইমামের মাথায় কোপ দিতে গেলে উক্ত কোপ ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাতের বাহুতে লেগে তিনি রক্তাক্ত জখম হয়।এতে তিনি অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে হামলাকারীরা তার পা ধরে টেনে মাদ্রাসার বাইরে নিয়ে যায়। ফলে তিনি বিবস্ত্র হয়ে পড়ে। আসলামের শোর চিৎকারে মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী বাড়ীর রবিউল মোল্যার গর্ভবতী স্ত্রী শোভা বেগম ঠেকাতে এসে তিনিও আহত হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের হাত কেটে নেয়ার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন ওই ইমামকে উদ্ধার করে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গোপালগঞ্জ মেডিকেলে পাঠানো হয়। আহত নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। জানতে চাইলে হামলাকারী আরিফের বাবা আশরাফ শিকদার ছেলের অন্যায়ের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমার ছেলে অন্যায় করেছে। আমি মাদ্রাসা কমিটির লোকদের বলেছি এর সুষ্ঠু বিচার দিবো। এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, মোবাইলে অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
×