ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অসম প্রেমের গল্প ‘দে দে পেয়ার দে’

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ১৬ মে ২০১৯

  অসম প্রেমের গল্প ‘দে দে পেয়ার দে’

অসম বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা জুটির প্রেমের গল্প নিয়ে হলিউড-বলিউডসহ অন্যান্য সিনেদুনিয়ায় বহু সিনেমা নির্মিত হয়েছে। অসম প্রেমের গল্পে কখনও প্রেমিক হয় অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সী, আবার কখনও প্রেমিক হয় প্রেমিকার চেয়ে কম বয়সী! দর্শক সাধারণ প্রেমকাহিনীর গতানুগতিক প্রেম দেখতে দেখতে এক ঘেয়েমিতে ভুগলে তখন ব্যতিক্রমধর্মী অসম বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেমের গল্প বেশ উপভোগ করেন। এ সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে তেমনি একটি অসম প্রেমের কমেডি রোমান্টিক সিনেমা ‘দে দে পেয়ার দে’। নতুন পরিচালক আকির আলী পরিচালিত এ ছবিটির ব্যাপারে ইতোমধ্যে দর্শকদের মধ্যে আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ দে দে পেয়ার দে ছবিতে প্রথম বারের মতো রোমান্টিক পর্দা জুটি হয়ে আসছেন অজয় দেবগন ও রাকুল প্রীত সিং। বলিউডের এ্যাকশন সিনেমার দুর্ধর্ষ নায়ক হিসেবে অজয়ের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে অফট্র্যাকের বেশ কিছু রোলে দুর্দান্ত অভিনয়ের চমক দেখিয়েছেন তিনি। কমেডি রোলেও কম যান না অজয় দেবগন। এ প্রসঙ্গে ‘গোলমাল’ সিরিজের সিনেমাগুলোর কথা বলা যায়। তবে এবার অজয় দেবগন দর্শকদের হাজির হচ্ছেন তার নিজের বয়সী একটি চরিত্রে। যেখানে তার প্রেমিকার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তার চেয়ে ২২ বছর কম বয়সী তন্বী অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং। দু’জনের মধ্যে বয়সের যথেষ্ট ব্যবধান থাকলেও ‘দে দে পেয়ার দে’ ছবিতে অজয় ও রাতুলের তাদের পর্দা রসায়ন বেশ জমেছে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যে অত্যন্ত সাবলীলভাবে প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন। দু’জনে তাদের চমৎকার সহজ সাবলীল প্রেমের দৃশ্যগুলোতে অভিনয় ইতোমধ্যে দর্শকদের উৎসাহী করে তুলেছে ছবিটির ব্যাপারে। ছবিতে অজয় দেবগনের ডিভোর্স হয়ে যাওয়া প্রাক্তন স্ত্রীর ভূমিকায় টাবুকেও দেখা যাবে। এক সময় তারা দু’জন রোমান্টিক জুটি হিসেবে অনেক হিন্দী সিনেমায় অভিনয় করেছেন। নতুন এ ছবিতে তাদের দুজনকে স্বামী স্ত্রী ভূমিকায় দেখবেন। এটাও দর্শকদের জন্য অন্য রকম পাওয়া হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বলিউডের গতানুগতিক কাহিনীর রোমান্টিক, এ্যাকশন, কমেডি, অফট্র্যাকের সিনেমার ভিড়ি ‘দে দে পেয়ার দে’ ছবিটি দর্শকদের ভিন্ন রকম আনন্দ দেবে আশা করা যায়। অনেক আনন্দের সম্ভার নিয়ে আসছে। এক অসম বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকার মজাদার প্রেম কাহিনীর এ ছবিটি। আশিষ মধ্য বয়সী একজন পুরুষ। বউয়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। কেয়ার ফ্রি জীবনযাপন তার হঠাৎ করে আশিষের জীবনে আলোর ঝলকানির মতো আবির্ভাব ঘটে আয়েশার। বয়সে কমপক্ষে ২০ বছরের ছোট হলেও প্রাণবন্ত হাসি-খুশি স্মার্ট ডেমকেয়ার স্বভাবের তরুণী আয়েশা আশিষের প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বয়সের ব্যবধানটা আশিষ-আয়েশার রোমাঞ্চের বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। তারা উভয়েই পরস্পরকে নিয়ে মেতে ওঠে। হাসি কৌতুক আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে থাকে, সাধারণ প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলের মতো ঘুরে বেড়ায়। এ নিয়ে পরিবারের অস্বস্তি দেখা দিলেও আশিষ মোটেও তা কেয়ার করে না। ২০ বছরের ছোট বয়সী প্রেমিকা আয়েশাকে নিয়ে তার মধ্যে কোন বিব্রত ভাব নেই। যখন অল্প বয়সী প্রেমিকাটিকে স্থায়ীভাবে জীবনসঙ্গী করার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সচেষ্ট হয় মধ্য বয়সী প্রেমিক আশিষ তখন উপস্থিত হয় তার প্রাক্তন স্ত্রী মঞ্জু। সঙ্গে প্রেমিকা আয়েশার সম বয়সী কন্যা এবং পুত্র। শুরু হয় নতুন নাটক। ঘটতে থাকে মজার সব ঘটনা। এ সপ্তাহে মুক্তি প্রতীক্ষিত রোমান্টিক কমেডি ধাঁচের সিনেমা ‘দে দে পেয়ার দে’তে এক অসম বয়সী প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলের মজার প্রেম কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। নতুন এই বলিউডি ছবিতে সদ্য পঞ্চাশে পা রাখা অভিনেত্রী রাকুল প্রীত সিং। তার বয়স এখন ২৮ চলছে। আজকাল বলিউডের বয়স্ক নায়কদের বিপরীতে কম বয়সী নায়িকাদের হরদম দেখা যাচ্ছে। যদিও সেখানে নায়কদের অভিনীত চরিত্রের সঙ্গে নায়িকার অভিনীত চরিত্রের বয়সের ব্যবধানটা দেখানো হয় না তেমনভাবে। তবে ‘দে দে প্রেয়ার দে’ ছবিতে মধ্য বয়সী একজন মানুষের প্রেমিকা সেজেছেন রাকুল প্রীত সিং। যেখানে তাদের বয়সের ব্যবধান ২০ বছর। অসম বয়সী প্রেমিক প্রেমিকা যুগলের মজার প্রেম কাহিনীর সিনেমাটিতে প্রথমবারের মতো বলিউড তারকা অজয় দেবগনের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে গিয়ে মজার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন এই তন্বী অভিনেত্রী। গত বছর তাকে অনেকদিন পর একটি বলিউডি সিনেমা আইয়ারিতে দেখা গিয়েছিল। এ্যাকশন থ্রিলার ধাঁচের সিনেমাটিতে রাকুলের বিপরীতে নায়ক ছিলেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। তারও আগে ২০১৪ সালে রোমান্টিক মিউজিক্যাল ছবি ‘ইয়ারিয়ান’-এর মাধ্যমে বলিউডে তার অভিষেক। সেই ছবিতে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন রাকুল প্রীত সিং। বলিউডে তার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও নিজের ক্যারিয়ারকে দক্ষিণী সিনেমার অঙ্গনে কেন্দ্রীভূত করেছেন সুন্দরী গ্ল্যামারাস এই অভিনেত্রী। বর্তমানে দক্ষিণী চলচ্চিত্রে তাকে দারুণ ব্যস্ত এক তারকা অভিনেত্রী বিবেচনা করা যায়। চুটিয়ে অভিনয় করছেন তামিল, তেলেগু সিনেমায়। এক পাঞ্জাবি আর্মি অফিসারের কন্যা রাকুলের জন্ম দিল্লী শহরে। পড়াশোনা করেছেন আর্মি পাবলিক স্কুলে। ইউনিভার্সিটি অব দিল্লীর অধীনে জেসাস এ্যান্ড মেরি কলেজ থেকে অঙ্কে গ্রাজুয়েশন করেছেন তিনি। কলেজে পড়ার সময় থেকেই মডেলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে প্রথম অভিনয় করেন কান্নাড়া ভাষার সিনেমা ‘গিল্লি’তে। ২০১১ সালে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পঞ্চম স্থান অধিকারসহ বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরিতে টাইটেল জেতেন রাকুল। সেই ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত গত দশ-এগারো বছরে বহু তামিল তেলেগু সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, সেই সুবাদে প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। রাকুলও এসেছেন বলিউডে নতুন করে ভাগ্য পরীক্ষা করতে। তবে চাইলে আরও আগেই বলিউডে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে সিরিয়াস হতে পারতেন। কারণ হিন্দী সিনেমার জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত রকার মতো যাবতীয় কোয়ালিটি রয়েছে তার। পাঞ্জাবি মেয়ে হলেও রাকুল পেশাগত কারণে হায়দ্রাবাদে এখন স্থায়ী ঠিকানা গেড়েছেন। সেখানে বিরাট বাড়ি কিনে বসবাস করছেন। দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা হওয়ার কারণে সেখানকার মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগে তেলেঙ্গানা প্রাদেশিক সরকার রাকুল প্রীত সিংকে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পাধাও’ সামাজিক আন্দোলনের প্রচারণায় ব্র্যান্ড এ্যাম্বেসেডর নিযুক্ত করেছে। তামিল তেলেগু সিনেমার পাশাপাশি হিন্দী সিনেমায় নিজেকে ব্যস্ত করে তোলার প্রয়াস হিসেবে তাকে এ বছরই আবার দেখা যাবে এ্যাকশন থ্রিলার ধাঁচের সিনেমা ‘মারজাভা’তে। যেখানে তার সেঙ্গ বলিউডের নতুন মুখের নায়িকা তারা সুতারিয়াকে দেখা যাবে আরেক গুরুত্বপূর্ণ নারী চরিত্রে। তবে আপাতত ‘দে দে পেয়ার দে’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে নিজের ভাগ্যটা পরীক্ষা করে দেখতে চান রাকুল প্রীত সিং।
×