ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে মা ও শিশু খুন

প্রকাশিত: ০৯:০১, ১৬ মে ২০১৯

নাটোরে মা ও শিশু খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১৫ মে ॥ নলডাঙ্গা থেকে মা শারমিন বেগম (২১) ও দুই বছরের শিশু প্রতিবন্ধী সন্তান আবদুল্লার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার বাশিলা উত্তরপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শারমিনের মৃতদেহ এবং শিশু আব্দুল্লার মৃতদেহটি বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত শারমিন বেগম ও আব্দুল্লা ওই এলাকার মাহামুদুল হাসান মুন্নার স্ত্রী ও সন্তান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দেবর মুক্তার হোসেন (৩০) ও তার স্ত্রী তানিয়া (২০) কে আটক করা হয়েছে। এদিকে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব-আল-রাব্বি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু হাসনাত ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আকরামুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুর রহমান ও এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে শারমিন বেগম তার শিশু সন্তান আব্দুল্লাকে নিয়ে তাদের শোবার ঘরে চলে যায়। পরে সেহেরি করার সময় পরিবারের লোকজন তাকে ডাকতে গেলে তার ঘরের ভিতরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং শিশু আব্দুল্লার খোঁজ করে। পরে ভোর ৬টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশু আব্দুল্লার মৃতদেহটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে এটাচ বাথরুমের চালা দিয়ে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। পরে শারমিনকে হত্যা করে শিশুপুত্রকেও হত্যা করে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে কেন এ হত্যাকা- তা তাৎক্ষনিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। মীরসরাইয়ে বৃদ্ধা নিজস্ব সংবাদদাতা মীরসরাই চট্টগ্রাম থেকে জানান, মীরসরাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের কোদালের কোপে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ধুম ইউনিয়নের দক্ষিণ নাহেরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা ওই এলাকার মৃত আমির হোসেনের স্ত্রী মোমেনা খাতুন (৮৯)। নিহতের ছেলে বশির জানায়, মঙ্গলবার দুুুপুরে তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় একটি পানির কল বসানোর কাজ করছিল স্থানীয় মিস্ত্রিরা। এ সময় বৃদ্ধ কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে রাস্তা থেকে হঠাৎ এক যুবক এসে অতর্কিতভাবে মিস্ত্রিদের ব্যবহৃত কোদাল নিয়ে বৃদ্ধার মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় বৃদ্ধার চিৎকারে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বারইয়াহাট জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি রাতে মারা যান। এদিকে স্থানীয়রা যুবকটিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। জামালপুরে কৃষক নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, সদর উপজেলার তুলসীরচর ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) নামের এক কৃষককে জবাই করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর বুধবার দুপুরে স্থানীয় আনন্দবাজার এলাকায় একটি ধানক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত জাহাঙ্গীর আলম ওই ইউনিয়নের টেবিরচর গ্রামের গুল মাহমুদের ছেলে। জানা গেছে, তুলসীরচর ইউনিয়নের টেবিরচর গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম আট মাস আগে ইরাক থেকে নিজ গ্রামে ফিরে পুনরায় কৃষি আবাদ শুরু করেন। রবিবার রাত ৯টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বুধবার ভোরে ওই ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ধানক্ষেতে পুঁতে রাখা একটি লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে নিকটবর্তী লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নের বারুয়ামারী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। বেনাপোলে প্রবাসী স্বামী স্টাফ রিপোর্টার বেনাপোল থেকে জানান, বেনাপোলে একাধিক পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য বিদেশ থেকে আসা স্বামী জামাল হোসেনকে (৩৬) দেশে আসার মাত্র ১০ ঘণ্টা পর প্রেমিকদের সহযোগিতায় কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও তার মা-বাবাসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত জামাল হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে। নিহতের বাবা হবিবর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে প্রায় ১৫ বছর যাবত মালয়েশিয়ায় থাকে। একই গ্রামের রিয়াজুলের মেয়ে আয়েশার সঙ্গে তার প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়। আর বিগত এই ১৫ বছরে তার ছেলে মালয়েশিয়া থেকে মাত্র ৩ বার বাড়ি এসেছে। তার বাড়ি না থাকার কারণে স্ত্রী আয়েশা এলাকার বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে পরকীয়া করত। প্রায় কারও না কারও সঙ্গে সে মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে দুই তিন দিন পর বাড়ি ফিরত। তার ছেলে আলাদা করে যে বিল্ডিং তৈরি করেছে সেই বিল্ডিংয়ে আয়েশা ও তার মা বাবা বসবাস করত। তার ছেলে মঙ্গলবার বেলা ২টার সময় মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসে। আর রাত ৩টার সময় তার বুকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তার স্ত্রী ও সহযোগীরা। ফটিকছড়িতে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা ফটিকছড়ি থেকে জানান, উপজেলার বক্তপুরে জায়গা-জমির বিরোধের জের ধরে চাচাত ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে আবুল মনছুর (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৩জন। নিহত মনছুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়া বাড়ির মৃত মুহাম্মদ মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন- নিহতের চাচা জহুর ছাফা (৭৫), ভাই মুহাম্মদ আকবর (৩৫) ও ভাতিজা মুহাম্মদ রুমান (২৫)। মঙ্গলবার ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে ওই ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজারে ঘটনাটি ঘটে। নিহত মনছুর চমেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। আহতরা চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। কলাপাড়ায় ছাত্রীর লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা কলাপাড়া থেকে জানান, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তহমিনার ঝুলন্ত লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। বুধবার দুপুরে ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলি বাজারের নিজ বাসা থেকে তহমিনার ঝুলন্ত লাশ মহিপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। ফরিদপুরে তরুণ নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, সদরপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর সাব্বির ফকির (১৮) নামে এক তরুণের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই তরুণের বাড়ির পাশের একটি গাছের উঁচু ডালের সঙ্গে গলায় রশি দেয়া ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সাব্বির উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছাদের খার ডাঙ্গী গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সাব্বির দ্বিতীয়। গত ৯ মে থেকে নিখোঁজ ছিল সাব্বির। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে আর পড়াশোনা করেনি সাব্বির। বর্তমানে তিনি রাজমিস্ত্রির যোগানদার হিসেবে কাজ করতেন। রাঙ্গাবালীতে গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার গলাচিপা থেকে জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চতলাখালী গ্রাম থেকে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে আসমা বেগম (২৭) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। এরপরই পুলিশ নিহত গৃহবধূর স্বামী ইকবাল হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে। এর আগে নিহত গৃহবধূর ভাই আইয়ুব দেওয়ান তার বোনকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বামীসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হচ্ছে- গৃহবধূর শ্বশুর আফজাল হোসেন, ননদ সানিয়া, দেবর বশার ও স্থানীয় রাজু হাওলাদার।
×