ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিআইএ দফতরে ইরান বিষয়ে হঠাৎ জরুরি বৈঠক

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ১৬ মে ২০১৯

সিআইএ দফতরে ইরান বিষয়ে হঠাৎ জরুরি বৈঠক

অনলাইন ডেস্ক ॥ ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। গত বছর মে মাসে ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বহুজাতিক পরমাণু চুক্তি থেকে নাম তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্য এশিয়ার দেশটিকে কূটনৈতিক এবং অৰ্থনৈতিক বিচারে কোণঠাসা করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। এসব বিষয়ে চুপ থাকে না ইরানও; সোজাসুজি হুঁশিয়ারি দেয় যে তাদের তেল ব্যবসার পথ বন্ধ করা হলে এক ইঞ্চিও ছাড় দেয়া হবে না। এই গরম পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মার্কিন বাহ্যিক গোয়েন্দা দফতর সিআইএর প্রধান কার্যালয়ে ইরানকে কেন্দ্র করে একটি ‘অস্বাভাবিক’ উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি নিউজের মতে, এই অস্বাভাবিক বৈঠকটি ডাকেন খোদ রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যেমন বিদেশ সচিব মাইক পম্পিও, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিব প্যাট্রিক সানাহান, ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রধান ড্যান কোটস; সিআইএ প্রধান জিনা হ্যাসপেলসহ অনেকে। এনবিসির মতে, বৈঠকটি হয় গত ২৯ এপ্রিল সকালে, ভার্জিনিয়ার ল্যাংলেতে। সাধারণত হোয়াইট হাউসের আধিকারীকদের সিআইএ দফতরে বৈঠকে দেখা যায় না বোল্টন বা পম্পিও-র মতো হোয়াইট হাউসের বলিষ্ঠ আধিকারিকদের সিআইএ দফতরে সাধারণত কোনো বৈঠকে অংশ নিতে দেখা যায় না এবং খুব উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও সাধারণত ডাকা হয় হোয়াইট হাউসেই। তাছাড়া, ২৯ এপ্রিলের বৈঠকটি সম্প্রতি ইউএসএস এব্রাহাম লিঙ্কন রণতরীকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো নিয়ে হয়নি বলেও জানা গিয়েছে। এই মার্কিন রণতরীটির আগমনকে কেন্দ্র করে ইরান প্রতিবাদ জানিয়েছে; দাবি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মনস্তাত্বিক লড়াইতে শামিল হয়েছে। তবে কি পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে ইরানে কোনো চোরা অভিযানের? এনবিসি জানিয়েছে, তবে কি তাহলে এই বৈঠক ইরানের বিরুদ্ধে কোনো বিশেষ মিশনকে কেন্দ্র করে হয়েছে? ইরানের বিরুদ্ধে কি শুরু হয়েছে কোনো চোরা অভিযান বা তেমনটি কিছু শুরু হতে চলেছে? নাকি ইরানের বিষয়ে হোয়াইট হাউস এবং সিআইএ-র মধ্যে কোনও দ্বিমত দেখা দিয়েছে? যদিও সরকারিভাবে কিছু জানা যায়নি কিন্তু গত সপ্তাহের মাঝামাঝি পম্পিও যেভাবে তার ইউরোপ যাত্রা স্থগিত রাখেন ইরানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতির কারণে, তাতে অবস্থা যে খুব স্থিতিশীল তা বলা যাবে না।
×