ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রুমান হাফিজ

বিশ্বজয়ী নাজমুন লাল সবুজের পতাকা হাতে

প্রকাশিত: ১১:২৮, ১৭ মে ২০১৯

 বিশ্বজয়ী নাজমুন লাল সবুজের পতাকা হাতে

বাংলাদেশের পতাকাবাহী প্রথম বিশ্বজয়ী নাজমুন নাহার থাই লিয়ন এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে রওনা দিয়েছেন ১২৬তম দেশ কম্বোডিয়ার উদ্দেশে। ৭ মে সকাল ১১টায় তিনি উত্তর-পশ্চিম কম্বোডিয়ার সিয়েমে রিপ শহরে বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা হাতে পা রাখবেন তিনি। খমের সাম্রাজ্যের সহস্রাব্দ পুরাতন মন্দির ধ্বংসাবশেষ আঙ্গকর ওয়াটের গেটওয়া হিসাবে ব্যাপকভাবে বিখ্যাত এই শহর থেকেই লাল সবুজের পতাকা উড়াতে উড়াতে তিনি সড়ক পথে অভিযাত্রা করবেন কম্বোডিয়ার বিভিন্ন শহর হয়ে লাউস, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার, চায়না। এই অভিযাত্রা শেষে চায়না থেকে তিনি সুইডেনের উদ্দেশে রওনা হবেন। সুইডেনে কিছুদিন বিরতির পর তিনি আবার যাত্রা শুরু করবেন সেন্ট্রাল আমেরিকা ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে। এভাবেই তার যাত্রা অব্যাহত থাকবে একের পর এক ২০০টি দেশ পর্যন্ত। পৃথিবীর মানচিত্রে তিনি এক অবিস্মরণীয় রেকর্ড সৃষ্টি করবেন তার এই বিশ্বভ্রমণ অভিযাত্রার মাধ্যমে। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে তিনি গত ১৯ বছর ধরে তার এই অভিযাত্রা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরে ২০২১ সালের মধ্যে তিনি বিশ্বের ২০০টি দেশে বাংলাদেশের পতাকা পৌঁছে দেয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন! ইতোমধ্যেই এই লড়াকু গর্বিত কন্যা ১৬ কোটি মানুষের হৃদয় জায়গা করে নিয়েছেন, স্বীকৃতি পেয়েছেন পৃথিবীব্যাপীও। পেয়েছেন অনন্যাসহ অনেক বড় বড় সম্মাননা ও উপাধি। শিরোনাম হয়েছেন বাংলাদেশের সকল মিডিয়ার, পেয়েছেন অগণিত মানুষের ভালবাসা। ১২৫তম দেশ আফ্রিকা মহাদেশের নাইজেরিয়া থেকে ফিরে গত তিন মাস তার বাংলাদেশ সফরের শত ব্যস্ততার মাঝেও দেখা গেছে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের খাবার বিতরণ করেছেন, ছুটে গিয়েছেন বাচ্চাদের বিভিন্ন স্কুলে তাদের স্বপ্ন দেখানোর জন্য, পৃথিবীর গল্প শোনানোর জন্য! চট্টগ্রামের রেড ক্রিসেন্টের প্রোগ্রামে তাকে দেখা গেছে তার পৃথিবীর গল্পের মাধ্যমে হাজার হাজার শিশু-কিশোরকে উৎসাহ দিতে। শুধু বাংলাদেশে নয় তিনি পৃথিবীব্যাপী ও তার যাত্রাপথে পৃথিবীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে তুলে ধরেন তার বিশ্বভ্রমণের কথা, বাংলাদেশের কৃষ্টি সংস্কৃতি ও ইতিহাসের কথা। তিনি পৃথিবীর পথে পথে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকার মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের মাঝে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আদিবাসীদের কাজ পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছেন শান্তির বার্তা।
×