ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্যযুদ্ধে কমছে চীন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি রফতানি

প্রকাশিত: ০৮:৫৫, ২০ মে ২০১৯

 বাণিজ্যযুদ্ধে কমছে চীন যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চীন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধে দিনদিনই কমছে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বাণিজ্যের পরিমাণ। ধীরগতিতে চলছে আকাশপথে পণ্য আমদানি রফতানির হাব হিসেবে পরিচিত চীনের হেনান প্রদেশের ঝেংঝউ শহরের কার্গো কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভিন্ন পণ্যের আমদানি কমে যাওয়ায় ফাঁকা হয়ে গেছে বন্দরগুলো। বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পণ্য সরবরাহকারী চীনা কার্গো কোম্পানির এ ওয়্যার হাউসে নেই আগের মতো কর্মব্যস্ততা। ঝেংঝউ শহরে অবস্থিত এ ওয়্যার হাউসে পণ্যের সেলফগুলো পড়ে আছে ফাঁকা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য ২০১৫ সালেও র‌্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের অষ্টম শহর ছিল ঝেংঝউ। একই বছর এ ওয়্যার হাউস দিয়ে ৪ লাখ ৩ হাজার টন পণ্য কার্গোতে হ্যান্ডেলিং হয়েছিল। কিন্তু চীন মার্কিন দ্বন্দ্বে দিনদিনই বাণিজ্যের পরিমাণ কমছে দুই দেশের। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এ শহরের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। গুও লিমিন বলেন, এই বাণিজ্য যুদ্ধে গতবছর আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। মার্কিন অনেক পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। আগে বিশটি ফ্লাইটে ফল আসত। এখন কানাডা থেকে সেগুলো আমদানি করছি। মার্কিন কৃষিপণ্যের বাজারই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওয়্যারহাউস কর্তৃপক্ষ জানায়, গেল বছর তাদের আমদানি কমেছে ১০ শতাংশ, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে রফতানি। শুল্কারোপের কারণে বাণিজ্যে তৈরি হয়েছে স্থবিরতা। গুও লিমিন বলেন, চীনের পোশাক খাতেও ধীরগতি এসেছে। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে, কিন্তু পণ্যের দাম বাড়েনি। তার ওপর শিল্প কারখানা পরিবেশ দূষণ করছে। রফতানি খাত পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। সবুজ শিল্প আর সেবাখাতও প্রসারিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান বাণিজ্য দ্বন্দ্বের কারণে চলতি বছর কমবে চীনের প্রবৃদ্ধি। ২০১৯ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশের পূর্বাভাস দিয়েছেন তারা।
×