ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার ইংল্যান্ড ফেবারিট, মানছে অস্ট্রেলিয়াও

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ২০ মে ২০১৯

 এবার ইংল্যান্ড ফেবারিট, মানছে অস্ট্রেলিয়াও

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপটাকে প্রায় পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। আগের ১১ আসরে পাঁচবারই শিরোপা গেছে কুলিন অসিদের ঘরে। স্টিভেন স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারকে ঘিরে তৈরি ঝঞ্ঝাট পেরিয়ে এবারও হট-ফেবারিট তারা। তবে বাস্তবতার বিচারে আয়োজক ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ‘তারা (ইংল্যান্ড দল) কী দুর্দান্ত ক্রিকেটই না খেলছে, তাই না? সত্যিকার অর্থেই ইংল্যান্ড এই বিশ্বকাপের হট-ফেবারিট। কারণ নিজেদের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ খেলবে থ্রি-লায়ন্সরা। সেই সঙ্গে যোগ্য দল হিসেবেই র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে তারা।’ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর থেকেই বদলে যেতে শুরু করে ইংলিশ ক্রিকেট। পাওয়ার ক্রিকেটের পসরা সাজিয়ে তুলে নেয় একের পর এক সাফল্য। উঠে আসে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে। ঘরের মাটিতে এবারের বিশ্বকাপে তাই সবাই ইয়ন মরগানদের এগিয়ে রাখছেন। ল্যাঙ্গার আরও বলেন, ‘আমরা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মুখিয়ে আছি। প্রতিনিয়ত আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে আসছে। এটাই এখন দেখার বিষয় বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে আমরা কেমন খেলি।’ ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে সপ্তম আসমানে রয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। সেবার বাংলাদেশের কাছে হেরে লজ্জাজনক বিদায়ের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ভাল ক্রিকেট উপহার দিয়ে আসছে ইয়ন মরগানের দল। আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের নতুন এক উদাহরণ সৃষ্টি করেছে তারা। এরপরও অবশ্য ইংলিশ দলের নয় নিজেদের ফর্মুলার ওপরই আস্থা রাখছেন ওয়ার্নার-স্মিথদের কোচ। তিনি মনে করেন নিজেদের মতো করে খেলেই সফল হবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। তবে ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে লড়াই যে খুব কঠিন হবে তাও মানেন ল্যাঙ্গার, ‘শেষ ১২ মাস ধরে আমরা অনেক কথা শুনে এসেছি। তবে আমরা দেখিয়েছি, যদি নিজেদের কৌশলে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকি তবে আমরা সফল হতে পারব। তবে যখন আমরা ইংল্যান্ড ও ভারতের মোকাবেলা করব তখন বিষয়টা কঠিন হবে আমাদের জন্য। তাদের জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা পরিষ্কার। আমরা যদি আমাদের মতো করে খেলতে পারি তবে সফলতা আসবেই। আর তা আমরা ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ইতোমধ্যেই সেটা করে দেখিয়েছি।’ উল্লেখ্য, স্মিথ-ওয়ার্নারের নিষেধাজ্ঞার পর গত এক বছরে অস্ট্রেলিয়াকে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরোতে হয়েছে। একের পর এক হারতে থাকা অসিরা শিরোপা ধরে রাখতে পারবে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু এ্যারন ফিঞ্চের নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয় তারা। ভারতকে ভারতের মাটিতে এবং আরব আমিরাতে হারায় পাকিস্তানকে। এরপর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ব্যাটিংয়ের প্রধান দুই ভরসা স্মিথ ও ওয়ার্নার। ১ জুন ব্রিস্টলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। মূল লড়াইয়ে নামার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। প্রস্তুতি হলেও দুটি ম্যাচ অনেক বেশি কঠিন হবে বলে মনে করেন ল্যাঙ্গার, ‘ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দুটি অনেক বেশি কঠিন হবে। তাদের জন্য আমাদের অনেক বেশি পরিকল্পনা ও প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে আমরা যদি আমাদের সেরাটা দিতে পারি তবে সাফল্য আসবেই। ছেলেরা প্রস্তুত।’
×