ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদের পর থেকে রাজধানীর গণপরিবহনে টিকিটিং বাধ্যতামূলক : সাঈদ খোকন

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ২০ মে ২০১৯

ঈদের পর থেকে রাজধানীর গণপরিবহনে টিকিটিং বাধ্যতামূলক  :  সাঈদ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন ঈদের পর থেকে রাজধানীর গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহনে টিকিটিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে রাজধানীতে চলাচলকারী কোন গণপরিবহনকে টিকিট ছাড়া আর কোনো যাত্রী ওঠা-নামা কিংবা যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। অপরদিকে ২৭ মে উত্তরায় চক্রাকার বাস সার্ভিস উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। সোমবার রাজধানীর গুলিস্তানের নগর ভবনের সভাকক্ষে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির নবম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মেয়রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডিএমপি প্রতিনিধি, বিআরটিসি,রাজউক, বিআরটিএ কর্মকর্তাসহ মহানগরীর বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও গণপরিবহন বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আব্দুল হাই, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, দুই সিটি কর্পোরেশনের সচিব ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেয়র বলেন, বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির বৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ঢাকা শহরের কোথাও টিকিট ছাড়া গণপরিবহনে যাত্রী চলাচল করতে পারবে না। এতে করে বিদ্যমান যে বাস সংকট এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ তার পরিত্রাণ হবে। তাই ডিটিসি, বিআরটিএ, বিআরটিসি, ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি এবং পরিবহন মালিকদের সমন্বয়ে বাসের টিকিট এবং কাউন্টার স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করে পরিকল্পনা নেয়া হবে। আর ঈদের পর পরই যাতে এটি কার্যকর করা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মেয়র বলেন, সড়কে স্থান বেদখল যাতে না হয় সেজন্য সব পরিবহনের টিকিট কাউন্টার এক স্থানে হবে বলেও জানান মেয়র সাঈদ খোকন। সাঈদ খোকন বলেন, আগামী ২৭ মে থেকে উত্তরায় চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু হবে। এরপর মতিঝিল এবং সদরঘাট এলাকায়ও এমন চক্রাকার বাস চালু হবে। মেয়র বলেন, আমাদের এখন ধানমন্ডি এলাকায় চক্রাকার বাস চলছে। একই পদ্দীততে ও একই নিয়মে ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে উত্তরায় চক্রাকার বাস সার্ভিসটি আমরা চালু করবো। এছাড়া এসব সার্ভিস চালু করার পর মতিঝিল এবং সদরঘাট এলাকায়ও এমন চক্রাকার বাস সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর ফলে এসব এলাকার রিকশাসহ যেসব পরিবহন যানজট সৃষ্টি করে সেগুলো অপসারণ হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, গত বছর রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো ও যানজট নিরসণের লক্ষ্যে সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। ১০ সদস্যের এই কমিটিতে ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটিতে ডিএনসিসির মেয়রকে যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং অন্যান্য সদস্যরা হলেন, বিআরটিএ এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, রাজউক চেয়ারম্যান, ডিএমপি কমিশনার, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক।
×