ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ২১ মে ২০১৯

 ঢাকার দিনরাত

গত সপ্তাহে বলেছিলাম রোজার মাসে ঢাকার দিন ও রাতে কিছু বড় পরিবর্তন আমাদের নজরে আসে। অফিসের সময়সূচীতে পরিবর্তন আসে বলে নাগরিক জীবনধারা কিছুটা বদলে যায়। সরকারী, বেসরকারী চাকরিজীবী, অন্যান্য পেশাজীবী, ছাত্র-বেকার সবার মধ্যে একটা তাড়না থাকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ইফতারি করার। ফলে সন্ধ্যার আগের তিন ঘণ্টা ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কের ওপর চাপ বেড়ে যায়। (এবার দেখছি সকাল থেকেই জনচাপ, যানবাহনের চাপ) চলমান যানবাহনের ভেতর যত যাত্রী অবস্থান করে সে সময়টাতে, তার চেয়ে বরং বেশি মানুষ থাকে যানবাহনে ওঠার প্রতীক্ষায় রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে। রাস্তায় হেঁটে চলা মানুষের সংখ্যাও কম নয়। রাস্তা ভর্তি যানবাহন, রাস্তার দুই পাশে, ফুটপাথে এমনকি রাস্তার ভেতরে খালি জায়গায় মানুষ গিজগিজ করতে থাকে। এই হচ্ছে রমজানে ঢাকার স্বাভাবিক চিত্র। চলতি সপ্তাহে যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে একটি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন পাঠানো হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে- রমজান মাসে ঢাকায় গণপরিবহনের ৯৫ শতাংশ যাত্রী প্রতিদিন যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হন। গণপরিবহন ব্যবস্থার ওপর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন ৯০ শতাংশ যাত্রী। আর অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হন ৯৮ শতাংশ যাত্রী। রাজধানীর ১৫টি এলাকা ও গুরত্বপূর্ণ মোড় ঘুরে সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনটি করা হয়। পর্যবেক্ষণকালে উঠে এসেছে, ৬৮ শতাংশ যাত্রী চলন্ত বাসে ওঠানামা করতে বাধ্য হন। সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও ৩৬ শতাংশ যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য করা হয়। হয়রানির শিকার হলেও অভিযোগ কোথায় করতে হয় জানেন না ৯৩ শতাংশ যাত্রী। তবে ৯০ শতাংশ যাত্রী মনে করেন, অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না বলেই তারা অভিযোগ করেন না। এসব ভোগান্তি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। যাত্রীসাধারণ মানেই হচ্ছে আমজনতা, সোজা কথায় পাবলিক। তারাই সংখ্যাগুরু। এই সংখ্যাগুরু মানুষের সুবিধা-অসুবিধার দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে। আমরা খেয়াল রাখব রোজার আগামী দিনগুলোয় পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন আসে কিনা। এখন তো আর শ্রমিকনেতা শাহজাহান খান মন্ত্রী নেই। তাহলে গণপরিবহন সেক্টরকে ‘মানুষ’ করা যাচ্ছে না কেন? ঈদের আগের খবর ঈদের আগে ঢাকায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের ধরপাকড় একটি নিয়মিত বিষয়। গত সপ্তাহে মাত্র ২৪ ঘণ্টার পুলিশি অভিযানে ধরা পড়ে অজ্ঞান পার্টির ৬৫ সদস্য। গত বছর এই সময়টায় অজ্ঞান পার্টির ধরপাকড়ের দিকে নজর রেখেছিলাম বলে অবাক করা কিছু তথ্য পেয়েছিলাম। রমনার হলিফ্যামিলি হাসপাতালের আশপাশ থেকে গোয়েন্দা পুলিশ ৮ জন ‘এ্যানেসথেসিস্ট’কে গ্রেফতার করেছিল। বড় দুঃখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের এ্যানেসথেসিস্ট বললাম। ডাক্তাররা রোগীকে অজ্ঞান করেন তার রোগ নির্মূলের প্রয়োজনে, জীবন বাঁচাতে। আর অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা মানুষকে অজ্ঞান করে তার সবকিছু লুটে নিতে। একবার অজ্ঞান হওয়ার পর কারও কারও আর জ্ঞান ফেরে না। তারা মারাও যান। তাই অজ্ঞান পার্টির কাজকর্ম অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। যে ৮ ব্যক্তি গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল, তাদের কাছ থেকে ১২০টি চেতনানাশক বড়ি উদ্ধার করা হয়েছিল। ঢাকা মেট্রোপলিটান নিউজ নামের ওয়েবসাইটে অজ্ঞান পার্টি সম্পর্কে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করার কথা রয়েছে। জেনে রাখা ভাল। ১. ভ্রমণ পথে অযাচিতভাবে অপরিচিত কেউ অহেতুক ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পাত্তা দেবেন না। ২. আজকাল ডাবের ভেতরে সিরিঞ্জের মাধ্যমে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে থাকতে পারে। তাই কখন কোথা হতে তৃষ্ণা মিটাচ্ছেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ৩. কারও হাতে রুমাল দেখলে সতর্ক থাকুন। কারণ রুমালের মধ্যে ক্লোরোফর্ম মিশিয়ে আপনার নাকের কাছে ধরলেই আপনি অজ্ঞান হয়ে যাবেন। ৪. ফুটপাথে বা রাস্তার মোড়ে টং দোকান থেকে খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন। ৫. ফেরিওয়ালা বা ভ্রাম্যমাণ কারও কাছ থেকে আচার, আমড়া, শসা, পেয়ারা প্রভৃতি খাবেন না। ৬. বাসে, ট্রেনে ভ্রমণের সময় লজেন্স বা চকোলেট, আইসক্রিম ইত্যাদি জাতীয় কোন খাবার গ্রহণ করবেন না। ৭. সিএনজিতে চলার সময় যাত্রীরা ড্রাইভারের কাছ থেকে এবং ড্রাইভাররা যাত্রীদের কাছ থেকে কোন খাবার গ্রহণ করবেন না। ৮. ভ্রমণের সময় নির্জন পথ পরিহার করে সর্বদা গাড়ি চলাচল করে এবং লোক সমাগম থাকে এমন রাস্তা বেছে নিন। ৯. ভ্রমণের সময় চেষ্টা করবেন পরিচিত কাউকে সঙ্গে নিতে। শুধু একটু সচেতনতাই রক্ষা করতে পারে আপনার জীবন ও সম্পদ। রমজানে যানজট শনিবার ছিল বুদ্ধপূর্ণিমা, সরকারী ছুটি। এমনিতেও শনিবার ছুটিই থাকে। তবে বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠান শনিবার খোলা থাকে। এ সপ্তাহে শনিবার বুদ্ধপূর্ণিমা পড়ায় তারাও প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সেদিন ঢাকার রাস্তায় যানজট কম হওয়ার কথা। বাস্তবে হয়েছে তার উল্টো। এ থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে রমজানের নিত্য চেহারা। ঈদের কেনাকাটার জন্য ছুটির দিনে বেশি মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়েছে। এছাড়া এমনিতেই মেট্রো রেলের কাজের জন্য রাস্তা সরু হয়ে আছে। ফলে যানজট সেদিন অসহনীয় অবস্থায় পৌঁছে যায়। আসলে ঢাকার সড়ক কোন সংজ্ঞার ভেতরেই পড়ে না। কখন যানজট হবে, কখন হবে না- এ নিয়ে কোন আগাম ধারণা প্রকাশ রীতিমতো নির্বুদ্ধিতার কাজ। প্রথমত যানবাহনের আধিক্য, সিগন্যালে অনিশ্চিত সময়ের জন্য প্রতীক্ষা। এ দুটি বিষয় মনের ওপর চাপ ফেলে, অন্তত কেউ যদি গ্রাম, কিংবা পাহাড়ী এলাকা/সমুদ্র সৈকত কিংবা চা-বাগান থেকেও আসেন এই রাজধানীতে। একবার সাত দিন ছিলাম কুলাউড়ার একটি চা-বাগানে। ট্রেন থেকে নেমে ভর সন্ধ্যায় তীব্র হর্নের আওয়াজে মনে হচ্ছিল এখনই চিৎকার শুরু করি চালকদের উদ্দেশে। ভদ্রতাবোধ তা হতে দেয়নি, দুই হাতে কান চেপে মাথা নিচু করে চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলাম। শব্দদূষণ কী মারাত্মক প্রতিক্রিয়া জাগায় সেটিই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা। এখন অনেক কিছুই সয়ে গেছে। ঢাকায় যানজট আর উচ্চ শব্দের হর্ন সাময়িকভাবে হতবিহ্বল করে তোলে। মধ্যরাতে যারা ঢাকায় চলাচল করেন তারা জানেন একেকটা গম্ভীর দানবের মতো ভারি হয়ে ছুটে চলে সারি সারি ট্রাক, হঠাৎ হঠাৎ গাম্ভীর্য খসে পড়ে, নিনাদ শুরু হয়ে যায় যন্ত্রদানবের, আর তার চোখ দুটো রাগে ফুঁসতে থাকে অপরের দৃষ্টিশক্তি ম্রিয়মাণ করে দেয়ার সঙ্কল্পে! ভয় পেলাম লোহার রড নিয়ে খোলা একটি ট্রাকের রাজসিক ভঙ্গিতে চলাচল দেখে। ঢাকায় যানজটে দিনে নষ্ট ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা, এমন খবর পড়ে কিছুক্ষণ থমকে থাকি। এর ফলে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। যানজটে অতিব্যস্ত সময়ে ঘণ্টায় গাড়ির গতিবেগ নেমে এসেছে পাঁচ কিলোমিটারে। হেঁটে চলার গড় গতিও পাঁচ কিলোমিটার। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণে কার্যকর ব্যবস্থা নিলে ৬০ শতাংশ যানজট কমানো সম্ভব হবে। তাতে সাশ্রয় হবে ২২ হাজার কোটি টাকা। এদিকে রমজান মাসে রাজধানীতে যানজট এড়াতে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। গত সোমবার এসব নির্দেশনা জানানো হয়। যে কোন সময়ের জন্যই এসব নির্দেশনা মেনে চলার মতোই। যেমন, ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে গাড়ি চালানো, তাড়াহুড়া করে গাড়ি না চালিয়ে নিয়ম মেনে নির্ধারিত গতিতে গাড়ি চালানো, রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার ইত্যাদি। তবে বিশেষভাবে রমজানের জন্য জরুরী বিষয় রয়েছে কিছু। যেমন, ইফতারের আগে বাড়ি ফিরতে হবে এমন মনোভাব নিয়ে উল্টোপথে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা; তাড়াহুড়া করে গাড়ি না চালিয়ে নিয়ম মেনে নির্ধারিত গতিতে গাড়ি চালানো, মার্কেট ও শপিংমলের সামনে গাড়ি পার্কিং থেকে বিরত থাকা, বেশি যাত্রীর আশায় রাস্তায় অযথা গাড়ি দাঁড় করিয়ে যানজট সৃষ্টি না করা, রাস্তা ও ফুটপাথে দোকানপাট না বসানো এবং দোকান না বসাতে অন্যকে নিরুৎসাহিত করা ইত্যাদি। এগুলো কার্যকর করার জন্যে যেমন রাজধানীবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা দরকার, তেমনি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্তদেরও কর্তব্যনিষ্ঠা ও আন্তরিকতা জরুরী। লিচু সমাচার রসালো মিষ্টি ফল হিসেবে লিচুর কদরই অন্যরকম। সব বয়সী মানুষের পছন্দ এই সুস্বাদু ফল। সেদিন ইফতারির আগে আগে উত্তরার একটি ফলের দোকানের সামনে ভ্যানভর্তি এলো লিচু। সে কথায় যাবার আগে দেশের বিখ্যাত লিচুচাষের বিষয়টি নিয়ে অল্পস্বল্প আলোকপাত। আমরা কে না পড়েছি নজরুলের লিচুচোর কবিতাটি। বাবুদের তাল-পুকুরে/হাবুদের ডাল-কুকুরে/সে কি বাস্ করলে তাড়া,/বলি থাম্ একটু দাঁড়া। /পুকুরের ওই কাছে না/লিচুর একটি গাছ আছে না/হোথা না আস্তে গিয়ে/ইয়া বড় কাস্তে নিয়ে/গাছে যেই চড়েছি/ছোট এক ডাল ধরেছি,/ও বাবা, মড়াৎ করে/পড়েছি সড়াৎ জোরে!... ভারি ভাল লাগে পড়তে। এমন সব মিল আর ছন্দ রয়েছে এই কবিতায়। সে যাক, দেশে বিখ্যাত লিচু চাষ কোথায় হয় জানেন? ঈশ্বরদীতে। পতিত জমি, রেললাইনের ঢাল, ফসলি জমি থেকে সড়কের পাড়- ঈশ্বরদীর সবখানে লিচু চাষ হয়। এর পরও এখানকার কিছু এলাকা লিচু চাষের জন্য বিখ্যাত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জয়নগর, মিরকামারী, চরমিরকামারী, মানিকনগর, ছলিমপুর, সাহাপুর, ভাড়ইমারী, জগন্নাথপুর, বক্তারপুর, বড়ইচড়া, শিমুলচড়া, দিয়াড় বাঘাইল ও রূপপুর এলাকা। লিচুর কলম উৎপাদন থেকে শুরু করে মৌসুমে লিচু চাষই এ এলাকার অনেকের প্রধান পেশা। তারপর লিচুতে একটু রং ধরলে রাত জেগে রক্ষণাবেক্ষণের চ্যালেঞ্জ নিতে হয়। তবু লিচুর ফলন ভাল হলে এলাকাবাসীর মনে আসে স্বস্তি। ঈশ্বরদীর তিন হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে লিচু চাষ হয়। বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় উদ্ভাবিত বিভিন্ন উন্নত জাতের লিচুর স্বর্গভূমি বলা যেতে পারে দিনাজপুর-ঈশ্বরদীকে। এখানে বিভিন্ন জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, বোম্বাই, চায়না-১, মোজাফফরপুরী, বারি-১সহ বিভিন্ন জাতের লিচু চাষ হয়। তবে স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় বোম্বাই জাতের লিচুই চাষের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়ে থাকে। এ লিচুর বড় সুবিধা, এতে পোকার আক্রমণ হয় কম। পাশাপাশি অনেক পরে পাকায় বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। অন্যদিকে এ লিচুর বিচি অনেক ছোট হওয়ায় ভেতরের কোষ থাকে বেশি। স্বাদের দিক থেকে বিচার করতে গেলেও অনেক মিষ্টি আর সুস্বাদু। ফলে ক্রেতাদের কাছেও যেমন এর চাহিদা রয়েছে, তেমনি চাষের ক্ষেত্রেও কৃষকরা একে গুরত্ব দিয়ে থাকেন বেশি। উত্তরার ফলের দোকানে যে লিচুর ভ্যানগাড়ি দেখলাম সে লিচু ঈশ্বরদীর নয়। এটুকু দোকানি বললেন। ভাগ্যিশ ঈশ্বরদীর নয়, তাহলে বদনাম হয়ে যেত। ৫০টি করে একেকটি লিচুর গোছা। বেশ বড় বড় লিচু, আর রংও ভারি সরেস। নিশ্চয়ই টাটকা আর সুস্বাদু হবে এই লিচু। দোকানি আগের দিন থেকে ৫০ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করলেন ৩০০ টাকা। অর্থাৎ ১০০ লিচুর দাম ৬০০ টাকা। বেশ কাড়াকাড়ি পড়ার মতোই অবস্থা। দুঃখের বিষয় ইফতারে বসে সেই লিচু ছিলে দেখি কেমন ম্রিয়মাণ হয়ে আছে লিচু, শুকনো তার চেহারা, বিচিও কেমন চিমসে। খোসা ছিললেই যেমন রস টুপটুপ করে না পড়লেও ভেজাভেজা থাকে- এই লিচু সে রকম নয়। মুখে দিয়ে দেখি না টক না মিষ্টি। মনে সন্দেহ, কিছু একটা কারসাজি নিশ্চয়ই আছে এই লিচুতে। তা না হলে এমন বড় বড় স্বাস্থ্যবান আর টকটকে লাল রঙের যৌবনদীপ্ত চেহারার লিচুর আসল রূপ আর রস এমন হবে কেন? তাই আমার পরামর্শ হবে এত দাম দিয়ে লিচু কিনে যদি ঠকতে না চান তাহলে ছিলে তার চেহারা আর কোয়া দেখে নিশ্চিত হয়ে কিনুন। ঢাকা শহর ফেরেব্বাজ আর ঠকবাজদের শহর হয়ে গেছে। এখানে অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজে দেখেশুনে ফল কিনতে হবে। ১৯ মে ২০১৯ [email protected]
×