ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সেন্সর ছাড়পত্র পেল ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ২১ মে ২০১৯

 সেন্সর ছাড়পত্র পেল ‘আমরা একটা  সিনেমা বানাবো’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পুরস্কাপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক আশরাফ শিশিরের ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’ চলচ্চিত্রটি কর্তন ছাড়াই প্রদর্শনের জন্য সনদপ্রাপ্ত হয়েছে। গত ১৬ মে সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শনের পর ১৯ মে চলচ্চিত্রটি সেন্সর সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের জন্য পরিচালক একে ৮টি চ্যাপ্টার বা অধ্যায়ে ভাগ করেছেন। প্রথম পর্যায় হিসেবে চলচ্চিত্রটির প্রথম ও দ্বিতীয় অধ্যায় যেগুলোর দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ২ ঘণ্টা ৫৪ মিনিট এবং ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের সেন্সর করা হয়েছে। তার আগে ২১ ঘণ্টার চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর জমা দেয়া হয়। ৯ বছর ধরে ঈশ্বরদীর রূপপুর, পাকশী ও পদ্মা নদীর তীরে ৪০০০ কলাকুশলী ও শিল্পীদের নিয়ে এর শূটিং হয়। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। সম্পূর্ণ সাদা-কালোয় নির্মিত চলচ্চিত্রটির কাহিনী গড়ে উঠেছে এমন এক জনপদকে ঘিরে, যেখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে রাজনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে কয়েকজন নিষ্পাপ মানুষের সিনেমা নিয়ে বিপ্লবী হয়ে ওঠা এবং স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের গল্প। এ বিষয়ে পরিচালক বলেন, তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট একটি দেশের ছোট্ট একটি শহরে আমাদের যে জীবন, তা ভীষণ সাদা-কালো। আমরা যে স্বপ্নটুকু দেখি তা কিছুটা রঙিন। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ মূলত নিষ্পাপ, শুধুমাত্র পরিস্থিতি- পারিপার্শ্বিকতার কারণে তারা অনেক অন্যায় করতে বাধ্য হয়। সিনেমা বানানোর বিপ্লবের পাশাপাশি এখানে এমন এক নিষ্পাপ মানুষের গল্প রয়েছে, যে জীবনে একটি পিঁপড়াকেও হত্যা করেনি, অথচ ছবির শেষে সে একজনকে খুন করে ফেলে এমন এক নারীর জন্য যাকে সে কোন দিনও দেখেনি। চলচ্চিত্রের অস্বাভাবিক দৈর্ঘ্যরে বিষয়ে আশরাফ শিশির বলেন, শিল্পকে কোন গৎবাধা দৈর্ঘ্যে বা পরিমাপে আটকে রাখা যাবে না, এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সত্য কাহিনী অবলম্বনে ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’ নির্মাণ করেছি। এর দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ২১ ঘণ্টা, তাই এটিকে মুক্তদৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্র হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ‘আমরা একটা সিনেমা বানাবো’ হবে বিশ্ব-চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এ যাবতকালে নির্মিত সর্বাধিক দৈর্ঘ্যরে কাহিনীচিত্র। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, সুমনা সোমা, স্বাধীন খসরু, মাসুম আজিজ, প্রাণ রায়, আয়শা মুক্তি, তেরেসা চৈতি, এলিনা শাম্মী, অরণ্য রানা, দুখু সুমন, জান্নাত সোমা, ইমরান, স্মরণ, সৈকত, ইয়াসিন, টিটো, সানসি, অর্নব, লিজা, মানিক, সজীব, নুপুর, সুজয়, রাব্বী, উজ্জ্বল,দীপ, সাদ্দাম, তুয়া, তূর্য, মাঈশা, মিমো, সুপ্ত, বিশাল, মিন্টু, মানিক, লিটন, শুভ, অলক, ভাস্কর, সম্রাট, আজাদসহ চার হাজার শিল্পী। সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন রাফায়েত নেয়াজ ও সম্পাদনা করেছেন সাব্বীর মাহমুদ। চিত্রগ্রহণ করেছেন মোহম্মদ আশরাফুল, সমর ঢালী ও সাব্বির। প্রধান শিল্প নির্দেশক সলিল মজুমদার।
×