ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফখরুল সংসদে এলে শক্তিশালী বার্তা দিতে পারতেন ॥ কাদের

কাজের গতি বাড়াতে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২১ মে ২০১৯

  কাজের গতি বাড়াতে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সময়ের প্রয়োজনে কাজের গতি বাড়াতে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ফখরুল শপথ নিয়ে সংসদে এলে বিরোধী দলের শক্তিশালী বার্তা তিনি দিতে পারতেন। পদ্মা সেতুর মোট কাজের গতি ৬৭ ভাগ বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। সোমবার সেতু ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় তিনি পদ্মা সেতুসহ যোগাযোগ খাতের চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ অগ্রগতি, চলমান রাজনীতি, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শপথ না নেয়াসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন। দু’টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কাজের সুবিধার জন্য। কাজের সুবিধার জন্য পুনর্বিন্যাস, পুনর্গঠন অনেক সময় প্রয়োজন হয়ে পড়ে। দীর্ঘ অসুস্থতা কাটিয়ে প্রায় আড়াইমাস পর দেশে ফিরে রবিবার প্রথম মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন ওবায়দুল কাদের। সোমবার যান সেতু ভবনে। সেখানে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু টিম লিডার। এই জাহাজের ক্যাপ্টেন, কাজেই রাষ্ট্রীয় জাহাজটি যাতে ভালভাবে চলে, গতি সম্পন্ন হয়, সমন্বয় নিয়ে যেন চলতে পারে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সময়ের চাহিদা মেটানো, বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করবেন এবং সেজন্য এই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকার গঠনের পাঁচ মাস পর মন্ত্রিসভায় প্রথম পরিবর্তন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া হয়। দায়িত্ব ভাগ করে দেয়ার পর এখন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুধু ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের দেখভালে থাকবেন। আর প্রতিমন্ত্রী জুনাদ আহমেদ পলক সামলাবেন মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম ইসলামকে স্থানীয় সরকার বিভাগে রেখে প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যকে শুধু পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভায় এই পুনর্বিন্যাসের কারণ জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিপরিষদ গঠন, পুনর্বিন্যাস-পরিমার্জন-পরিবর্ধনের এখতিয়ারটি সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর। এ ধরনের পদক্ষেপ সব দেশেই নেয়া হয়। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেয়া মন্ত্রণালয় ভাগ করে দেয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে জানালে জবাবে কাদের বলেন, সে ধরনের কোন বিষয় নয়, এটা হচ্ছে কাজের সুসমন্বয়, কাজের গতি, কাজের মান। এই বিষয়টিকে নিশ্চিত করার জন্য কাজটা ভাগ করে দিলে গতিটা বাড়ে, সমন্বয় বাড়ে এবং কাজের কোয়ালিটি বাড়ে, কাজ আরও বেশি করে করা যায়। সে দিকটাকে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয় মেয়াদে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রীকে নিয়ে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সাজান তিনি। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ) আক্রান্ত ওবায়দুল কাদের গত ৩ মার্চ সকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এনজিওগ্রামে কাদেরের হৃৎপি-ের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। এরপর অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে গত ৪ মার্চ এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শেষে দুই মাস ১১ দিন পর গত বুধবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন সেতুমন্ত্রী। দেশে ফেরার পর তিনি বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে সরাসরি গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরপর ধানম-ি নিজ বাসায় বিশ্রামের পাশাপাশি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। মন্ত্রী জানান, আগামী ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নবনির্মিত ২য় মেঘনা ও গোমতী সেতু এবং জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুটি সেতু, দুটি ফ্লাইওভার এবং চারটি আন্ডারপাস যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিবেন। এতে এ দুটি মহাসড়ক দিয়ে যাত্রীদের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন হবে বলে তিনি জানান। ফখরুলকে সংসদে চেয়েছিলেন কাদের ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ না নেয়ায় শূন্য হওয়া বগুড়া-৬ আসনে তার যথাযথ বিকল্প কোন প্রার্থী দলটি খুঁজে পাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের জায়গায় অন্য প্রার্থী যোগ্য হবে কিনা জানতে চান। তিনি বলেন, সেখানে তার চেয়েও যোগ্য ব্যক্তি কি আসবেন? ফখরুল ইসলামের চেয়েও কি শক্তিশালী কোন বার্তা নতুন ব্যক্তিটি সংসদে দিতে পারবেন - এমন কেউ আসছেন? সেটাতো আমার মনে হয় না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভার-ভারত্বের দিক থেকে আমার মনে হয় মির্জা ফখরুল পারপাসটা ভালভাবে সার্ভ করতে পারতেন। শক্তিশালী বিরোধী দলের শক্তিশালী বার্তা তিনি দিতে পারতেন। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন ফখরুল। কিন্তু তিনি শপথ না নেয়ায় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ২৪ জুন ফের ভোট করবে নির্বাচন কমিশন। মির্জা ফখরুলের সংসদে যোগদান বিএনপির জন্য আবশ্যক ছিল মন্তব্য করে কাদের বলেন, এখানে আমার মনে হয় এটা শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে যে, তারা সংসদে যোগ দিয়েছেন। গণফোরামের দুজনও সংসদে এসেছেন। এই অংশগ্রহণ সংখ্যার দিক থেকে নয়, সংসদে যোগদান তাদের বিরোধী দল হিসেবে বিএনপির পারপাস সার্ভ করার জন্য। যমুনার তলদেশেও টানেল হবে ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, গাইবান্ধা এবং জামালপুর জেলার সংযোগকারী যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সমীক্ষার জন্য বৈদেশিক অর্থ সংস্থানের লক্ষ্যে পিডিপিপি পরিকল্পনা নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। তিনি জানান, পদ্মার মূল সেতুতে ৭৬ শতাংশ, নদীশাসনে ৫৫ শতাংশ এবং সংযোগ সড়ক ১০০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। গড়ে পদ্মাসেতুর কাজের মোট অগ্রগতি ৬৭ শতাংশ। নিজের বিষয়ে কাদের বলেন, আশা করছি, দ্রুত কাজের গতি পাব। আমার কাজের প্রতি উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে। কমিটমেন্ট আরও জোরদার হয়েছে। দায়িত্ব পালনের তাগিদ আমি নতুনভাবে পেলাম। মানুষের ভালবাসার চেয়ে বড় কোন কিছু নেই, আমি তা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে শিখেছি। যেহেতু নিজের জীবন থেকে আমি এ শিক্ষা পেয়েছি, তাই সবাইকে বলব, মানুষের পাশে থেকে ভালবাসা অর্জন করতে। মানুষের কাছে ক্ষমতা থাকলে তা অহংবোধ জাগিয়ে তোলে, কমিটমেন্ট থেকে দূরে রাখে। সেতুমন্ত্রী জানান, আগামীকাল ২১ অথবা ২২ মে পদ্মা সেতুর ১৩তম স্প্যানটি বসানো হবে। সেতু বিভাগের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক সভা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি আরও জানান, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর নদীর মধ্যে ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টির কাজ শেষ হয়েছে এবং অবশিষ্ট ২৬টি পাইলের কাজ জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হবে। মূল সেতুর ৪২টি পিয়ারের মধ্যে ২৫টির কাজ পুরাপুরি সম্পন্ন হয়েছে, জুন মাসের মধ্যে আরও ৬টি পিয়ারের কাজ শেষ হবে এবং বাকি ১১টির কাজ চলমান আছে। মোট স্প্যান ৪১টি। মাওয়া অংশে এ পর্যন্ত ট্রাস (স্প্যান) এসেছে ২৩টি যার মধ্যে ১২টি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন ১ হাজার ৮০০ মিটার দৃশ্যমান। আগামীকাল ২১ মে অথবা তার পরদিন ২২ মে ১৩ তম স্প্যান স্থাপন করা হবে। এছাড়াও অবশিষ্ট স্প্যানগুলোর কাজ চীনে প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টের পাইলিং এবং পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে পিয়ার ক্যাপ এবং গার্ডার স্থাপনের কাজ চলছে। মোট ১৩ কি.মি. নদীশাসন কাজের মধ্যে ৩ (তিন) কি.মি. সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর এর মধ্যে আরও ৪ (চার) কি.মি. কাজ সম্পন্ন হবে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী Tunnel Boaring Machine (TBM) এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খনন কাজের উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যে প্রতিটি ২ মিটার দৈর্ঘ্যরে ৮০টি টানেল রিং বসানোর কাজ অর্থাৎ ১৬০ মিটার টানেল খননের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩৮ ভাগ। ২০২২ সালে টানেলটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান মন্ত্রী। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কে মন্ত্রী জানান, পিপিপি প্রকল্পের ভৌত কাজে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩৩৩টি পাইল, ৩০০টি পাইল ক্যাপ, ৭৯টি ক্রস-বিম, কলাম ১৮৭ (সম্পূর্ণ) ও ১১৯টি (আংশিক), ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ১ম ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে এবং ২য় ও ৩য় ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান চলমান আছে। এছাড়াও ১৪ টি স্প্যান আই গার্ডার স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা শহরে সাবওয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা কাজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (TYPSA) Inception Report দাখিল করেছে এবং আগামী জুন এর মধ্যে Interim Report দাখিল করবে। ডিসেম্বর ২০২০ নাগাদ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে জানান কাদের। গাইবান্ধা এবং জামালপুর জেলার সংযোগকারী যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, উক্ত সমীক্ষার জন্য বৈদেশিক অর্থ সংস্থানের লক্ষ্যে পিডিপিপি নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। বৈদেশিক অর্থায়ন নিশ্চিত সাপেক্ষে যথাসময়ে সমীক্ষা শুরুর আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এছাড়া ২০২০ সালের মধ্যে মেট্রো রেলের একাংশের কাজ শেষ করার কথাও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী ট্যানেলসহ যোগাযোগ সেক্টরের মেগা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট। আশাকরি সবগুলোর কাজ ভালভাবে শেষ হবে। এতে যোগাযোগ সেক্টরে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলেও মনে করেন এই মন্ত্রী। এ সময় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকসহ সেতু বিভাগের অন্যান্য উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
×