ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরফরাজদের উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল ইংল্যান্ড

প্রকাশিত: ১০:১৯, ২১ মে ২০১৯

  সরফরাজদের উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল ইংল্যান্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বলা হচ্ছে ঘরের মাঠে ১২তম বিশ্বকাপের হট ফেবারিট ইংল্যান্ড। মাঠেও সেটি প্রমাণ করল ইয়ন মরগানের দল। পাঁচ ওয়ানডের সিরিজে পাকিস্তানকে ৪-০’তে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারল স্বাগতিকরা। পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে ইংলিশরা পেল ৫৪ রানের বড় জয়। হেডিংলিতে কোন সেঞ্চুরি ছাড়াই সমন্বিত নৈপুণ্যে ৯ উইকেটে ৩৫১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ইংল্যান্ড। জবাবে ৪৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ২৯৭ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচসেরা হয়েছেন পেসার ক্রিস ওকস। পাঁচ ম্যাচের মাত্র তিনটিতে অংশ নিয়ে এক সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ২৭৭ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন ওপেনার জেসন রয়। একমাত্র টি২০তে ৭ উইকেটের সাফল্যের পর প্রথম ওয়ানডেটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল, বাকি তিন ওয়ানডেতে ইংলিশরা তুলে নেয় ১২ রান, ৬ ও ৩ উইকেটের জয়। হেডিংলিতে এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারস্টো ও জেমস ভিন্সের ব্যাটে ভাল শুরু পায় ইংল্যান্ড। তবে সম্ভাবনাময় ইনিংস বড় করতে পারেননি দুই ওপেনারের কেউই। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা অধিনায়ক ইয়ন মরগানের সঙ্গে শতরানের জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করান জো রুট। ছন্দে থাকা এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ৯ চারে করেন ৮৪ রান। বাঁহাতি মরগান ৬৪ বলে ফেরেন ৭৬ রান করে। মিডল অর্ডারে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি জস বাটলার ও বেন স্টোকস। অলরাউন্ডারসহ এগারো নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান খেলানো ইংলিশরা সাড়ে তিনশ’ পর্যন্ত যায় মূলত লোয়ার-অর্ডারের দৃঢ়তায়। পাকিস্তানের হয়ে খরুচে বোলিংয়ে ৮২ রানে ৪ উইকেট নেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইমাদ ওয়াসিম ৩ উইকেট নেন ৫৩ রানের বিনিময়ে। বড় রান তাড়ায় ওকসের ছোবলে শুরুতেই এলোমেলো হয়ে যায় পাকিস্তান। রানের খাতাই খুলতে পারেননি ফখর জামান, মোহাম্মদ হাফিজ। ৫ রান করে ফেরেন আবিদ আলিও। ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। ছন্দে থাকা বাবরের সঙ্গে ১৪৬ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান সরফরাজ। দুই ব্যাটসম্যানই ফিরে যান রান আউট হয়ে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাবর ৮৩ বলে করেন ৮০। মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি সরফরাজ। পাকিস্তান অধিনায়ক ৮০ বলে ৭ চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৯৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। এরপর তেমন কোন জুটি গড়তে পারেনি পাকিস্তান। আসিফ আলি, ইমাদ ওয়াসিমরা টানতে পারেননি দলকে। শতরানে হারের শঙ্কায় পড়ে যাওয়া সফরকারীরা ব্যবধান কমায় শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাসনাইনের ব্যাটে। দশম উইকেটে তারা গড়েন ৪৭ রানের জুটি। শুরুতে ৩ উইকেট নেয়া ওকস শেষে নেন দুটি। সব মিলিয়ে ৫৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে এই অলরাউন্ডার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সিরিজে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া চার ম্যাচেই তিনশ’ ছাড়ানো রান পেলো ইংল্যান্ড। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে মরগানের দল। অন্যদিকে ফল হওয়া সবশেষ ১০ ম্যাচে হারের তেতো স্মৃতি নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে পাকিস্তান। সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পরদিনই তিন পরিবর্তন এনে বিশ্বকাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে পাকিস্তান। ফিরেছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ আমির আর, ওয়াহাব রিয়াজ। বাদ পড়েছেন জুনাইদ খান ও ফাহিম আশরাফ।
×