ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মণিরামপুরে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা মামলায় দু’জন আটক

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ২১ মে ২০১৯

মণিরামপুরে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা মামলায় দু’জন আটক

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মণিরামপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করার ঘটনায় জড়িত মিঠুন চক্রবর্তীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে সোমবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে। যার মামলা নং-১৬। আজ মঙ্গলবার ডাক্তারী পরীক্ষা এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ভিকটিমকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়। মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক জানান, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগে ধর্ষণ ও সহযোগিতা করার ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খায়রুল বাশার জানান, ঘটনায় জড়িত মিঠুন ও তার সহযোগী রতন ব্যানার্জীকে সোমবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মিঠুন চক্রবর্তী সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার দলীয়বাজার মাদরা গ্রামের বিশ্বনাথ চক্রবর্তীর পুত্র। রতন মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের খাকুন্দী গ্রামের গনেশ ব্যানার্জীর পুত্র। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পাড়ালা গ্রামের ওই ছাত্রীকে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড এবং তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য থানা থেকে যশোরে নেয়া হয়। ওই ছাত্রীর পিতার দাবি, তালা উপজেলার মিঠুন চক্রবর্তী মণিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর তার খালুর বাড়িতে থেকে বছর খানেক আগে তার কন্যাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে অন্তঃসত্ত্বা করা হয়। আর এতে সহযোগিতা করে তার আত্মীয় স্থানীয় রতনসহ কয়েকজন। একটি চক্র ঘটনাটিকে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য শালিস দরবার করলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। অবশেষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মশিয়ুর রহমানের সহযোগীতায় পুলিশ মিঠুন ও রতনকে গ্রেফতার করে।
×