ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় তিন হাজার দরিদ্র পরিবার সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন

প্রকাশিত: ০৩:৩৩, ২১ মে ২০১৯

কলাপাড়ায় তিন হাজার দরিদ্র পরিবার সরকারি সহায়তা পাচ্ছেন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ কলাপাড়ায় তিন হাজার দরিদ্র পরিবার মুরগি, হাঁস ও ভেঁড়া পালনের মধ্য দিয়ে জীবিকার উন্নয়নের সুযোগ পাচ্ছেন। উপজেলার লতাচাপলী, মহিপুর, চম্পাপুর, ধুলাসার, ধানখালী ও লালুয়া ইউনিয়নের এসব দরিদ্র পরিবারকে তিনটি প্যাকেজে ভেঁড়া, খাঁকি ক্যাম্বেল হাঁস ও সোনালী মুরগি বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। উপরোক্ত ছয়টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে পাঁচ শ’ দরিদ্র পরিবার এ সুযোগ পাচ্ছেন। উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জিওবির অর্থায়নে দরিদ্র পরিবার সরাসরি উপকার পাবেন। জুন-২০১৮ থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত তিন বছরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। আজ মঙ্গলবার কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের প্রকল্প পরিচালক ডাঃ নিতাই চন্দ্র দাস এক মতবিনিময় সভায় সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির এসব কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা জানান। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বাবুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনা পারভিন। উপজেলা পর্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের গুরুত্ব ও বিশেষত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. হাবিবুর রহমান। প্রকল্পের লক্ষ উদ্দেশ্য, কর্মপদ্ধতি পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন এ প্রকল্পের সহকারী পরিচালক ডাঃ মো. জিয়াউল হক। তিনি জানান প্রতেকটি ইউনিয়নে ২০টি লাইভস্টক ফার্মার গ্রুপ গঠণ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপে ২৫ জন সুফলভোগী থাকবেন। এজন্য প্রত্যেকটি ইউনিয়নে লাইভস্টক ফ্যাসিলিটেটর নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতেকটি ইউনিয়নে ১০০ পরিবার ভেঁড়া পালনের সুযোগ পাবে। ২৫০ পরিবার হাঁস পালন করবেন ও ১৫০ নারী পরিবার মুরগি পালনের সুযোগ পাবেন। এক শ’ পরিবার তিনটি করে ভেঁড়া, ২৫০ পরিবার ২০টি কওে হাঁস ও ১৫০ পরিবার ২০ টি করে মুরগি পাবেন। প্রয়োজনীয় মেডিসিন ও ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক পরিবার এসব পালনের জন্য একটি করে সেড পাবেন। এসব বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেক উপজেলায় খাস জমিতে একটি করে ঘাসের বাজার নির্মাণ করা হবে। দরিদ্র পরিবারের উপার্জন বাড়বে। প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন ও আমিষ গ্রহণের সুযোগ পাবে। নারীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। এসব মানবগোষ্ঠীকে মানব সম্পদে পরিণত করতে সরকারের এ উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে। তবে সুফলভোগীদের তালিকা তৈরিতে শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ইউপি চেয়ারম্যানগণ।
×