স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ভাটারার কুড়িল এলাকায় প্রেমিকার বাসায় আশিক এ এলাহী (২০) নামে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ জানা গেছে। তবে আশিকের পরিবার অভিযোগ, মেয়ের পরিবার লোকজন আশিককে বাসায় ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার ভোরে কুড়িল বিশ্বরোডের পূর্বপাড়া এলাকায় কুড়াতলির একটি বাসায় প্রেমিকার রুম থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনি বিদ্যা বিভাগের ছাত্র নাজমুস সাকিব অভিযোগ করেন, আশিক আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ফারিয়ার সঙ্গে আশিকের দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি অন্য এক মেয়ের সঙ্গে কুড়িল বিশ্বরোড পূর্বপাড়া এলাকায় ওই বাসায় ভাড়া থাকত। আশিকের প্রেমিকা মঙ্গলবার ভোরে মোবাইল ফোনে আশিকের বড় ভাই আল আমিনকে বিষয়টি জানান। এরপর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ওই রুমে জানালার গ্রিলের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আশিক আত্মহত্যা করেছে বলে ফারিয়া জানায়। তারাই আশিককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা আশিক কিভাবে জানালার গ্রিলের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করবে? আমরা আশিকের এক হাতে জখমের চিহ্ন দেখেছি। ফারিয়ার পরিবার খুবই প্রভাবশালী। আমরা ধারণা করছি, আশিককে তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আশিকের বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওলজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আল আমিন (২৫)। তিনি জানান, সকালে আশিকের সহপাঠী মেয়েটিই তাকে ভাইয়ের মৃত্যু খবর জানায়। আমি এসে এই অবস্থা দেখতে পাই। তার সন্দেহ আশিককে হত্যা করা হতে পারে। জানালার সঙ্গে কোনভাবেই ফাঁস দেয়া যায় না। নিহতের গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দালালবাজার গ্রামে।
ভাটারা থানার ভারগ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, দুইজনই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছেলেটি সকালে মেয়েটির বাসায় গিয়ে মঙ্গলবার বিয়ের কথা বলে।
