ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়াতে উদ্বুদ্ধকরণ সভা

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২২ মে ২০১৯

শেরপুরে পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়াতে উদ্বুদ্ধকরণ সভা

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ ‘সোনালী আশের সোনার দেশ, জাতির পিতার বাংলাদেশ’ এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে ধারণ করে শেরপুরে পাট ও পাটপণ্যের উৎপাদন, অভ্যন্তরিণ ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার আইন-২০১০ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন জোরদারকরণ শীর্ষক উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধায় আয়োজিত ওই সভায় বলা হয়, পাট শিল্পের সাথে নানাভাবে দেশের ৩ কোটি মানুষ জড়িত। কাজেই পাট ও পাট পণ্যের উৎপাদন, অভ্যন্তরিণ ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন না হলে এ শিল্প হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়বে। তাই দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বাঁচিয়ে রাখতেই ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে পাট শিল্পকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য পাটের উৎপাদন বাড়াতে মাঠ পর্যায়ে কৃষক সচেতনতা, পাট চাষীদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদান, অভ্যন্তরিণ ব্যবহার বাড়াতে নাগরিক সচেতনতা বাড়াতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের তদারকির মাধ্যমে নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ী-আমদানী-রফতানিকারকদের দায়িত্বশীল হতে হবে। অন্যদিকে পরিবেশ রক্ষা ও পাটপণ্যের অভ্যন্তরিণ বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সাথে পাট ও পাটজাত পণ্যের লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা বন্ধে পাট আইন ২০১৭ কার্যকর করতে হবে। নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মেজবাউল আলম ভুইয়ার সভাপতিত্বে ওই উদ্বুদ্ধকরণ সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পাট উন্নয়ন অধিদপ্তরের জামালপুর অঞ্চলের মূখ্য পরিদর্শক মঞ্জুরুল হক বাদল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরপুর জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আইয়ুব আলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল কাদের খান, সাংবাদিক হাকিম বাবুল, রাজনীতিক আলামিন বাদশা, চাল ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন, চট ব্যবসায়ী নাজমুল হুদা নাজু, কুড়া ব্যবসায়ী কামরুল হাসান সজিব, কৃষক আনছার আলী প্রমুখ। সভায় স্থানীয় পাট উৎপাদনকারী কৃষক, পাট ব্যবসায়ী, পাটপণ্য ব্যবহারকারী, ধান-চাল ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও সুধীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
×