ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যদের বিচার এখন সময়ের দাবি : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ২২ মে ২০১৯

বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যদের বিচার এখন সময়ের দাবি : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী

জবি সংবাদদাতা ॥ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ফলেই বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যে যারা ছিল তাদের বিচার এখন সময়ের দাবি। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম-এর উদ্যোগে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বর্তমান বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারটি সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানটি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে উল্লেখ করে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, জামায়াত বিহীন পার্লামেন্ট এটাও শেখ হাসিনার জন্যই সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের উৎকৃষ্ট রোল মডেল, আর এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বের কারণেই। মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসনে শেখ হাসিনাই সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন স্বত্ত্বা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্যই। এসময় মন্ত্রী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল তথ্য জনসম্মুখে নিয়ে আসার আহ্বান জানান। সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হয়েছিল তিনবার। প্রথমবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, দ্বিতীয় বার ১৯৮১ সালে ১৭ই মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ১/১১ পরবর্তীতে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন। ১/১১ পরবর্তীতে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে না আনা হলে বাংলাদেশ পাকিস্তানী সামরিক শাসনের মতো চলতো। ক্যান্টনমেন্ট থেকে রাজনীতিকে বের করে আনা ছিল শেখ হাসিনার অন্যতম বড় অবদান। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ৭৫’ পরবর্তীতে বাংলাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির ধারা হরিয়ে গিয়েছিল, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমেই বাংলাদেশের পুণর্জাগরণ হয়েছিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৪৮ সাল হতে বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি ধারার রাজনীতি পরিলক্ষিত হয়- একটি মুজিব ধারা, আরেকটি মুজিব রাজনীতির বিরোধীধারা। মুজিব ধারার উন্নয়নের রাজনীতিকে ধ্বংস করার জন্যই ৭৫’ এর হত্যাকা- পরিচালিত হয়। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের ফলে দেশে মুজিবীয় ধারার রাজনীতি ফিরে আসে এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জেল হত্যার বিচার করা সম্ভব হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দুটি পর্ব রয়েছে। একটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং অন্যটি হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর হতে বাংলাদেশকে উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা নির্ভয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সকল প্রকার পরাশক্তির রক্তচক্ষুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এসময় তিনি ৭১’এর পরাজিত শক্তিরা যাতে কোনকালেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস এবং কবি ও প্রাবন্ধিক অধ্যাপক গাউসুর রহমান বক্তব্য প্রদান করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সদস্য-সচিব সৌরভ জাহাঙ্গীর। এছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দীন, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি এফ এম শরীফুল ইসলাম এবং তরুণ কলামিস্টবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় প্রগতিশীল কলামিস্ট এবং তরুণ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।###
×