ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কসাইখানা থেকে পলায়ন ॥ ২৩ মে, ১৯৭১

প্রকাশিত: ০৮:৫৬, ২৩ মে ২০১৯

 কসাইখানা থেকে পলায়ন ॥ ২৩ মে, ১৯৭১

১৯৭১ সালের ২৩ মে দিনটি ছিল রবিবার। জেনারেল ইয়াহিয়া খান কি নির্মমভাবে বাঙালীর রক্ত দিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রক্তস্নান করিয়েছেন? ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়ে হিংস্র পশুর মতো টিক্কা খান ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের ওপর। টিক্কা খান দম্ভভরে ইয়াহিয়াকে বলেছিল ‘আমার হাতে ক্ষমতা দাও, আমি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সব ঠিক করে দেব। সে তার সবটুকু ক্ষমতা নিয়ে নেমেছিল, কিন্তু পারেনি! ২৪ ঘণ্টা অতীত হয়ে কতদিন পার হয়ে গেল তবুও পারেনি। আজ পূর্ব পাকিস্তানে যে সংগ্রাম চলছে সেটা হল স্বাধীনতার সংগ্রাম। স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা ও হাত মিলিয়েছে। দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে স্বাধীনতা সংগ্রামে মেশিনগান-মর্টার হাতে নিয়ে শত্রুনিধনযজ্ঞে অংশ নিয়েছে। এই সংগ্রাম সকলের সংগ্রাম। এইদিন ভারতের বিশিষ্ট রাজনীতিক জয়প্রকাশ নারায়ণ বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্ব-সফর শুরু করেন। তিনি এক বিবৃতিতে বিশ্বের সকল নাগরিক ও সরকারের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারকে সমর্থনদানের আহ্বান জানান। লাতুতে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর ইপিআর বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। প্রাণভয়ে বহুলোক শরিফবাড়ি মসজিদে আশ্রয় নিলে হানাদাররা মসজিদে নামাজ আদায়রত আমান্নান, আ. সালাম, আ.হাসেম মাঝি, আ. রাজ্জাক খান, ও আ. জব্বারসহ মোট ১৭জনকে মসজিদ থেকে টেনে বের করে পুকুর পাড়ে বসিয়ে গুলি চালায়। এদের মধ্যে আ.রাজ্জাক খান ও নূরুল ইসলাম শরিফ ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান এবং বাকি সবাই শহীদ হন। পিরোজপুরে এক জনসভায় বক্তৃতাকালে কেএসপির সভাপতি এএসএম সোলায়মান মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। রংপুরে প্রাদেশিক সরকারের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি মওলভী আবদুল হোসেন মিয়া দেশকে রক্ষা করার জন্য পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানান। জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব চৌধুরী রহমত এলাহী নয়া আদমশুমারির ভিত্তিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। জল্লাদ টিক্কা খান যশোর ও খুলনা সফর করেন এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা যুক্তিসংগত বলে দাবি করেন। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান করাচিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে বিফলে যেতে দেয়া হবে না। স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবার সাথে সাথে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। ইয়াহিয়া বলেন, আমি বিশৃঙ্খল অবস্থায় ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই না। যদিও আমার লক্ষ্য একটাই, আর তা হচ্ছে ক্ষমতা হস্তান্তর। আমি বিশ্বাস করি, জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত। তিনি বলেন, সম্প্রতি পূর্ব পাকিস্তানে যা ঘটছে তা একটি বিরাট রাজনৈতিক অভ্যুত্থান। এ অভ্যুত্থান দেশের পূর্বাংশে অহেতুক দুর্দশা সৃষ্টি করছে। সুতরাং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় হাত দেয়ার পূর্বে আমার প্রধান কর্তব্য হলো পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আমি বিশ্বাস করি এরা নিরাপরাধ। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে দ্রুত শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র বাহিনী কার্যকরভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের অনেক জনসাধারণ সীমান্তের ওপারে পালিয়ে গেছে এজন্য আমি খুবই দুঃখিত। যেসব উদ্বাস্তু পাকিস্তানের অধিবাসী তাদের স্বগৃহে প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানানো হবে। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বলেন,৬ দফা পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় পাকিস্তানের আদর্শের বিরোধী। প্রদেশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের নামকরণ ‘বাংলাদেশ’ করার ব্যাপারে আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের এ নয়া নামকরনের অন্তরালে বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার পরিকল্পনা ছিলো। ২৪ দিন ধরে শেখ মুজিবুর রহমান একটি পাল্টা সরকার পরিচালনা করেছেন। আমি খোলা মন নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণের প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু তিনি এতে আগ্রহ দেখাননি। তিনি দুই পরিষদ ও দুই শাসনতন্ত্রের দাবি করেন। তিনি আমাকে পূর্ব পাকিস্তানের ক্ষমতা তার কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানান। পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতা আইনসম্মত করাই ছিল তাঁর এ দাবির অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যে। শেখ মুজিবুর রহমান যখন এ উদ্দেশ্য সাধনে ব্যর্থ হলেন, তখন তিনি হিংসাত্মক পন্থায় তা করতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে দিতে পারি না। তাই আমি সামরিক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে পাকিস্তান রক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইয়াহিয়া খান বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনাবলিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দুঃখিত হয়েছেন এবং তিনি আমাদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্ব শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন সামরিক শাসন কর্তৃক সন্ত্রাসের রাজত্ব ও উৎপীড়নের তীব্র নিন্দা করছে এবং জনপ্রিয় দাবি পূরন ও গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার জন্য শ্রমিক ও জনগনের সংগ্রামের বিরূদ্ধে দমন-পীড়নমূলক ব্যবস্থার অবিলম্বে অবসান ঘটানোর জন্য দাবি জানিয়েছে। এইদিন পি টি আই এর বরাতে স্টেটসম্যান পত্রিকায় ” সন্ত্রাস এবং কসাইখানা থেকে পলায়ন” শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংখ্যাগুরু বাংলাদেশী শরণার্থীর স্মৃতিতে আছে নির্মম শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হবার টাটকা ক্ষত এবং সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। ফেনী নদী পার হবার অপেক্ষায় আমার সামনেও ছিল আরও হাজারো মানুষ এবং অগণিত মানুষ অগভীর জল মাড়িয়ে জিনিসপত্র কাঁধে করে অপর পাড়ে যাচ্ছিল। ১৫ কিলোমিটার দূরেই তুমুল গোলাগুলি চলছিল এবং তাঁদের যাত্রা ছিল অব্যাহত। এটা ছিল সেই দূশ্যগুলোর মাঝে অন্যতম, যা এক মুহূর্তে সব পরিষ্কার করে দেয়। আপনাকে শুধু দেখতে হবে ভিড় ঠেলে হাজারো মানুষের ছুটে চলা, তাঁদের আতঙ্কগ্রস্থ মুখচ্ছবি এবং একটু নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য তাঁদের ব্যাকুলতা এমনকি রাস্তায় রাত কাটানো। পার্বত্য সীমান্তবর্তী শহর রামগড় তখনো মুক্তি ফৌজের দখলে ছিল। কিন্তু পাকিস্তানী আর্মি সামনে এগিয়ে আসছিল। তারা নির্মমভাবে শেলিং করে গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই গ্রামগুলো থেকেই হাজারো লোক পালিয়ে এসেছিলেন। এপ্রিলের ৩য় এবং ৪র্থ সপ্তাহে সাবরুম ছিল ত্রিপুরার সব চেয়ে জনবহুল সীমান্ত। তখন প্রায় ২,০০,০০০ শরণার্থী মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে এসে জড়ো হন। হাজার হাজার মানুষ সিলেট, কুমিল্লা এবং নোয়াখালী জেলা থেকে সোনামুরা, কমলাসাগর, দবীপুর এবং অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে এসেছিলেন। সেখানে প্রকৃত শরণার্থীদের জন্য ইস্যু করা স্লিপ সংগ্রহের জন্য ছিল দীর্ঘ সারি। খাবার পানির তীব্র সংকট ছিল। জেলা কর্মকর্তারা অস্থির হয়ে ওঠেন। তাদের কেউ কেউ বলেন কলেরার এক বা দুইটা রিপোর্ট ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। আর যদি ভিড় কমানো না যায়, তাহলে অচিরেই এটা মহামারীতে রুপ নিতে পারে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষে ভিড় সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। তাদের অনেকেই বলেন ত্রিপুরার জনসংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হবার পথে। বেশীরভাগ শরণার্থী দরিদ্র এবং চাষী সম্প্রদায়ের ছিলেন। তবে এখানে মধ্যবিত্ত এবং ধনীরাও ছিলেন। তাদের বেশীরভাগই আগরতলা এসেছেন এবং সেখান থেকে কোলকাতা চলে গিয়েছিলেন। আর অন্যরা গিয়েছিলেন আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতদের কাছে। সেখানে সচ্ছল আইনজীবী, ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়াররাও ছিলেন। বর্বর পাক বাহিনীর চোখে ধুলো দেবার জন্য তারা অনেক প্রতিকূল পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন। একজন আইনজীবী তার ২টি বাড়ী এবং ৩টি গাড়ী পিছনে ফেলে শুধু বউ আর ছেলেকে নিয়ে আগরতলা প্রবেশ করেন। একজন চলচিত্র অভিনেত্রী ৪৮ ঘন্টা পায়ে হেটে কাঁদা পানি পার করে আগরতলা এসে উপস্থিত হন। যে কোন মুহূর্তে পথে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে একজন স্থপতি ঢাকা থেকে তার স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে এসেছেন। তাঁদের সকলেই বিষন্ন ছিলেন না। বাংলাদেশের কিছু শিক্ষক এবং লেখকদের একটি দলের সাথে আগরতলার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে দেখা হওয়া আমার জন্য অনুপ্রেরণা দায়ক অভিজ্ঞতা ছিল। তাঁদের কেউ কেউ এসেছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তারা মুক্তিফৌজের যোদ্ধাদের সাহায্য করেছিলেন এবং সামনাসামনি যুদ্ধ দেখেছিলেন। প্রতিটি পরিবার ইন্সটিটিউটের একটা করে রুমে ছিলেন। ঐ রুমেই রান্না এবং ঘুমের ব্যবস্থা। স্পষ্টতই তারা বাংলাদেশে ভালো জীবন যাপন করে অভ্যস্ত। কিন্তু এ বিপর্যয় তাঁদের এতটুকু দমাতে পারেনি। আনন্দবাজার পত্রিকায় ’জঙ্গিশাহির হাতে অন্তত দশ লাখ নিহত’ শিরোনামে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত ডঃ মোখলেসুর রহমান কাল রাতে দিল্লিতে এক বিবৃতিতে বলেন যে, জেনারেল ইয়াহিয়া খানের আদেশে গত ২৫মার্চ বাংলাদেশ জঙ্গি আক্রমণ শুরুর পর নারী ও শিশুসমেত অন্তত দশ লাখ নিরস্ত্র ও অসহায় বাঙালি নিহত হয়েছে। তিনি বলেন, জেনারেল ইয়াহিয়া খানের অনুগত সঙ্গী প্রশাসক লে. জে. টিক্কা খান এখনো বাংলাদেশের সর্বত্র ব্যাপক হারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যরা বাংলাদেশের সমস্ত অসহায় মানুষের বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কেম্ব্রিজের ইতিহাসের পি এইচ ডি ডঃ রহমান ২ মে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীর করুন বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন রাজশাহীর কয়েকজন গ্রামবাসী আমাকে একটি গ্রামে নিয়ে যান। সেই গ্রামের ১২০০ থেকে ১৪০০ লোককে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। বাংলাদেশে যে উৎপীড়নের কথা প্রচারিত হয়েছে, তা অতিরঞ্জিত-এই মিথ্যা প্রচারের জন্য ইয়াহিয়া খান সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূত পাঠিয়েছেন। তাই যদি হয় তাহলে কেন বিদেশী সাংবাদিকদের সেখানে যা ঘটেছে তা দেখতে দেয়া হচ্ছেনা? মানবতার নামে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের পক্ষে আমরা দাবি করছি যে, বাংলাদেশে এই ব্যাপক হত্যাকা-ের জন্য আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের উচিত অবিলম্বে জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও টিক্কা খানের বিচারে উদ্যোগী হওয়া। তিনি বিদেশী বন্ধুদের এই কথা মনে রাখতে বলেন যে, কোন রকম অর্থনৈতিক সাহায্য দেওয়া হলে তা বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধেই কাজে লাগানো হবে। দৈনিক কালান্তর ‘বাংলাদেশের জনগণকে ভারত সাহায্য দিয়ে যাবে’ শিরোনামে ইউ এন আই বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে, ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেস সংসদীয় দলের সাধারণ সভায় বলেন,বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শরনার্থী আমাদের আভ্যন্তরীণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ ইতিমধ্যেই ভারতের সীমান্ত রাজ্যগুলিতে প্রায় ৩০ লক্ষ ২০ হাজার শরনার্থি এসেছেন। এই সমস্যা সংকটজনক হয়ে উঠতে পারে। শরনার্থী সমস্যাকে সমস্ত দেশগুলিরই নিজেদের সমস্যা হিসেবে গণ্য কড়া উচিৎ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, যে সমস্ত রাজ্য শরনার্থিদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের একার পক্ষে এই ভার গ্রহণ কড়া সম্ভব নয়। দেশের মানুষ, ও বিশ্ব রাজনৈতিক, অর্থণৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক [email protected]
×