নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২২ মে ॥ পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদী উপজেলায় শিশু ও কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পৃথক ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১১ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানায় মামলা হলে পুলিশ কাউসার ও ফেরদৌস নামে দুই স্কুলছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে কটিয়াদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিক সুমনসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সহায়তাকারী এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা যায়, পাকুন্দিয়ার চন্ডিপাশা ষাইটকাহন পূর্বপাড়া গ্রামের ১১ বছর বয়সী শিশুটির বাবা ঠেলাগাড়ি চালান। মা স্থানীয় একটি মেসে রান্নার কাজ করেন। ১৯ মে রাতে বাড়ির পাশের একটি দোকান থেকে বিস্কুট কিনতে যায় ওই শিশুটি। এ সময় একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে ফেরদৌস শিশুটিকে ফুসলিয়ে তার বসতঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তার বন্ধু একই এলাকার রফিকের ছেলে কাউসার মিলে ওই শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে শিশুটির আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় দুই ধর্ষক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মদন চন্দ্র বুধবার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে। অপরদিকে কটিয়াদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) পালাক্রমে ধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিক সুমনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কটিয়াদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উপজেলার উত্তর লোজাজুড়ি গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে সুমনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ১৫ মে বিয়ের কথা বলে সুমন মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। পরে ওইদিন দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামের নির্মাণাধীন একটি বাড়ির কক্ষে প্রেমিক সুমন, তার বন্ধু লোহাজুড়ি দশপখি গ্রামের জুলহাস উদ্দিনের ছেলে শোভন ও পূর্বচর পাড়তলা গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শামীম ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: