ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে

ভৈরবে কৃষ্ণচূড়া জারুল বাগানবিলাস ছড়িছে রূপ

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ২৪ মে ২০১৯

 ভৈরবে কৃষ্ণচূড়া জারুল বাগানবিলাস  ছড়িছে রূপ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ২৩ মে ॥ দেশের সবস্থানে সবুজের ছায়াঘেরা গাছের আড়ালে জ্বলে ওঠে কৃষ্ণচূড়া। তার মাঝে বনজারুলের বেগুনি ফুল ও রাধাচূড়ার হলুদ ফুলে প্রকৃতি সেজেছে যেন নতুন সাজে। এপ্রিল, মে, জুনের দিনে কৃষ্ণচূড়া রক্তবর্ণ ফুল ফুটিয়ে প্রকৃতিকে সাড়া দেয় তার উজ্জ্বল ডালায়। গ্রামের বাড়ির পাশে সবুজপাতা ঘেরায় মাঝে বেগুনি রঙের জারুল গাছের ফুল উঁকি দিয়ে করে আরও সৌন্দর্য। মাঝে মাঝে হলুদ বর্ণের রাধাচূড়া ফুলে সত্যিই মধুময় দৃশ্যের সৃষ্টি করে। গায়ের মেঠোপথে পথিক ক্লান্তমনে কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে একটু বসে বিশ্রাম নেয়। আর কৃষ্ণচূড়া তার লাল বর্ণ দিয়ে পথিককে ছায়া দিয়ে ক্লান্ত দূর করে। প্রকৃতি কখনও মানুষকে বঞ্চিত করে না। বন্ধুপ্রতিম প্রকৃতি ভালবাসা দিয়ে আপন করে নেয় মানুষকে। তার সৌন্দর্য অবলোকন থেকে বঞ্চিত করে না। কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম রূপ মানুষকে মাতোয়ারা করে। কৃষ্ণচূড়ার পাশাপাশি মিষ্টি রং বেগুনি নিয়ে জারুল ও রাধাচূড়া বাসন্তী রং নিয়ে তাদের রূপ ছড়িয়ে দেয়। দেশবাসীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে তাদের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য। গ্রাম বাংলার মাঠ-ঘাট, বাড়ির পেছনে, ঝোপে সবখানেই এখন বনজারুল ও রাধাচূড়া গাছের সুন্দর ফুল শোভা পাচ্ছে। কবিরা এই দিনে কৃষ্ণচূড়া, জারুল, রাধাচূড়া ফুল নিয়ে কবিতা লেখে। গ্রামের পথপ্রান্তরে কৃষ্ণচূড়া যেন আগুনেরই উজ্জ্বল প্রতিকৃতি। বসন্তের প্রথম আলোড়নে কৃষ্ণচূড়া জ্বলে ওঠে বিচিত্র এই প্রকৃতির বুকে। এর উজ্জ্বল রং এত অক্লান্ত প্রস্ফুটনের ঐশ্বর্য বৃক্ষকুলে খুবই দুর্লভ। গাঢ়, লাল, কমলা, হলুদ, হাল্কা বর্ণালিতে বিস্তৃত এর পাপড়িরাজি। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে কৃষ্ণচূড়া গাছ জন্মে না। অতিপরিচিত এই বৃক্ষটি পাতা ঝরার দলের। এপ্রিল, মে, জুনের দিকে নতুন পাতা গজিয়ে ওঠে এবং ফুল ফোটে। প্রচণ্ড সূর্যের তাপ উপেক্ষা করে আপন মহিমায় কৃষ্ণচূড়া জ্বলে ওঠে তার ঔজ্জ্বলতা নিয়ে। পাতার ঐশ্বর্যও কৃষ্ণচূড়ার অনন্য এক সৌন্দর্র্য। সবুজের ছায়াঘেরা সুন্দর পরিপাটি গ্রামগঞ্জের রাস্তার পাশে সারি সারি বাহারি গাছের সমারোহ। পথচারীকে মগ্ন ও নয়নাভিরাম করা এসব দৃশ্য খুবই সুন্দর। এমন স্বপ্ন লালন করে গ্রামগঞ্জের প্রতিটি মানুষ। সবুজেঘেরা নয়নাভিরাম কোন দৃশ্য উপভোগ করা বড়ই দুরূহ। মানুষ প্রকৃতিকে বঞ্চিত করলেও প্রকৃতি মানুষকে কখনও বঞ্চিত করে না। প্রকৃতি তার বন্ধুপ্রতিম ভালবাসা নিয়ে মানুষকে আপন করে নেয়। বঞ্চিত করে না তার সৌন্দর্য অবলোকন করা থেকে। তাই প্রকৃতি সেজেছে তার আপন সাজে। রূপ, রং, বৈচিত্র্য এবং মায়াময়ী আকর্ষণ ক্ষমতা দিয়ে প্রকৃতি বেঁধেছে সবাইকে।
×