ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপের মিশন শুরু করতে কার্ডিফে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৪ মে ২০১৯

 বিশ্বকাপের মিশন শুরু করতে কার্ডিফে বাংলাদেশ দল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আইসিসির নিয়ন্ত্রণে ঢুকে গেল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। বৃহস্পতিবার থেকেই আইসিসির নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বকাপের মিশনেও যেন ঢুকে গেল মাশরাফিবাহিনী। বৃহস্পতিবার লেস্টার থেকে কার্ডিফে গেল দল। ২৮ মে পর্যন্ত কার্ডিফেই অবস্থান করবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। এরপর লন্ডনে চলে আসবেন। বিশ্বকাপের আসল মিশনে নামার জন্য প্রস্তুত হবেন। কার্ডিফেই বাংলাদেশ দলের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ রয়েছে। ২৬ ও ২৮ মে যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ২ জুন থেকে বিশ্বকাপের আসল মিশন শুরু করবে দল। বিশ্বকাপের মিশন বলতে বাংলাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে সেমিফাইনাল খেলা। যদি পারা যায় তাহলে শিরোপাটাও জিতে দেশে ফিরতে চায় দল। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার এটিই শেষ বিশ্বকাপ। এ বিশ্বকাপে স্মরণীয় কিছু করতে চান। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি পথ অনেক কঠিনই দেখছেন। তবে অসম্ভব বলতে নারাজ। তিনি বলেছেন, ইমপসিবল (সেমিফাইনালে খেলা) কোন কিছুই না। অবশ্যই পসিবল। তবে কঠিন। অনেক কঠিন। এর আগে ওয়ার্ল্ডকাপ যেরকম ছিল গ্রুপ স্টিজে একটা বড় দলকে হারাতে পারলে যেটা হতো, তাদের কামব্যাক করা কঠিন হয়ে যেত। লিমিটেড গেমস ছিল। এখানে নয়টা ম্যাচ। যারা প্রত্যাশা করছে সেমিফাইনাল খেলবে, তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর অনেক সুযোগ থাকবে। আমাদের ওই জায়গাটা খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গে নিজের শেষ বিশ্বকাপ এবার, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মাশরাফি। বলেছেন, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। আলাদা করে নিজেকে তৈরি করার কিছু নেই। বিশ্বকাপে এটাও আবার একটা প্রেসার। আমার কাছে মনে হয় না আলাদা করে তৈরি হয়ে ওখানে কিছু করতে পারব। প্লেয়ার হিসেবে আমাকে পারফর্ম করতে হবে। অবশ্যই অধিনায়কত্বটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমার যে দায়িত্বটা আছে সেগুলো চেষ্টা করব পুরোপুরি ঠিক করার। বিশ্বকাপ আসলেই আর আগামী বিশ্বকাপ থেকে খেলতে পারবেন না এমন গ্রেট ক্রিকেটারদের জন্য দলের ক্রিকেটাররা সবসময়ই কিছু করতে চান। এমনভাবেই মাশরাফির জন্য দলের ক্রিকেটাররা বিশেষ কিছু উপহার দিতে চান। মুশফিকুর রহীমই যেমন বলেছেন, মাশরাফি ভাই যদি এরপর আর বিশ্বকাপ খেলতে না পারে এটাই আমাদের এক সঙ্গে শেষ বিশ্বকাপ। তো আমরা সবাই চাইব মাশরাফি ভাইয়ের জন্য হলেও যেন বিশেষ কিছু করতে পারি। যা কি না স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমার মনে হয়, এটা অবশ্যই অনেক বড় সুযোগ। দলে পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার রয়েছেন। মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব, তামিম ও মাহমুদুল্লাহ। এই ‘পঞ্চপা-বে’র এবারই একসঙ্গে শেষ বিশ্বকাপ। এরপর মুশফিক, সাকিব, তামিম, মাহমুদুল্লাহ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে পারলেও চার বছর পরপর হওয়া এ বিশ্বমঞ্চে মাশরাফি খেলতে পারবেন না। মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ এটি। এ বিশ্বকাপে তাই শুধু সিনিয়ররাই নন, জুনিয়ররাও নিজেদের মেলে ধরতে চান। বিশ্বকাপ দলে মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, সাব্বির রহমান রুম্মন, মোহাম্মদ মিঠুন, আবু জায়েদ রাহী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও লিটন কুমার দাস রয়েছেন। অভিজ্ঞ একটি দলই হয়েছে। শুধু আবু জায়েদ রাহী, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ছাড়া আসলে সেভাবে জুনিয়র ক্রিকেটার বলতে নেই। এই দল নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপাও জিতেছে বাংলাদেশ। তবে সিরিজে বাংলাদেশসহ আরও দুই দল খেলেছে। আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফাইনালে বৃষ্টি আইনে ৫ উইকেটে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচটিতে বাংলাদেশ বিশেষ কিছু অর্জন করেছে। বিশ্বকাপে এবার অনেক রান হবে তা ধরে নেয়া হচ্ছে। তাই যদি হয় তাহলে তিন শ’, সাড়ে তিন শ’, চার শ’ রানের কাছাকাছি রান হতে পারে। তখন বাংলাদেশ টার্গেটে কিভাবে জিতবে? সেটাও যে সম্ভব, তাও বুঝিয়ে দিয়েছে। ২৪ ওভারে ২১০ রানের টার্গেট ৭ বল বাকি থাকতে করে ফেলেছে বাংলাদেশ। দলের ক্রিকেটাররা যে কতটা আত্মবিশ্বাসী তাতেই বোঝা যাচ্ছে। তা এখন বিশ্বকাপে কাজে লাগানো গেলেই হয়। ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে লেস্টারে কয়েকদিন প্রস্তুতি শেষে এখন কার্ডিফে আছে বাংলাদেশ দল। এখান থেকেই মূলত বিশ্বকাপের মিশনটা শুরু করবে বাংলাদেশ।
×