ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রভাবশালী, বিত্তশালী চক্রের হাত থেকে নদী রক্ষা করতে হবে ॥ হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ২৪ মে ২০১৯

 প্রভাবশালী, বিত্তশালী চক্রের হাত থেকে  নদী রক্ষা করতে হবে ॥ হাছান মাহমুদ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নদীর তীরে অপরিকল্পিতভাবে সরকারী স্থাপনা নির্মাণের সমালোচনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, নদীর তীরে বিভিন্ন সরকারী স্থাপনা নির্মাণে আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল। তিনি বলেন, নদী এভাবে হারিয়ে যেতে পারে না। যে কোন প্রভাবশালী, বিত্তশালী ও লোলুপ চক্রের হাত থেকে নদীকে রক্ষা করতে হবে। নদী দূষণকারী, প্রভাবশালী, যারা নদীকে গলা টিপে হত্যা করছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বেসরকারী সংস্থা নোঙর- এর আয়োজনে ‘নদী ও পরিবেশ সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় হাছান মাহমুদ ছিলেন প্রধান অতিথি। পরিবেশ বিজ্ঞানে পিএইচডি করা হাছান মাহমুদ বলেন, নদীগুলো হলো আমাদের শিরা উপশিরার মতো। নদী শুকিয়ে গেলে দেশ বিপন্ন হবে, বিপন্ন হবে জনপদ। নদী দখলের পাশাপাশি সমান গুরুত্বপূর্ণ হলো পানি দূষণ। আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে অনেক সময় প্রভাবশালীদের বাধার মুখে পড়তে হয় বিআইডব্লিউটিএর ম্যাজিস্ট্রেটদের। সভায় এ নিয়ে কঠোর সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, নদী এভাবে হারিয়ে যেতে পারে না। যে কোন প্রভাবশালী, বিত্তশালী ও লোলুপ চক্রের হাত থেকে নদীকে রক্ষা করতে হবে। নদী দূষণকারী, প্রভাবশালী, যারা নদীকে গলা টিপে হত্যা করছে, তাদের প্রতিহত করতে হবে। ২৩ মে জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার ও শিপিং অধিদফতরের মহাপরিচালক আরিফুল ইসলাম। মুজিবুর রহমান হাওলাদার জানান, দেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ কমে এখন দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটারে। শতকরা হিসেবে নদী পথের পরিমাণ ৮ ভাগ থেকে নেমে এসেছে এক ভাগে। নদী সুরক্ষায় সাড়ে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এখন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নৌ মন্ত্রণালয়। ঢাকার আশপাশের চারটি নদী সুরক্ষায় কর্মপরিকল্পনাও করেছে তারা। মুজিবুর রহমান বলেন, কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার আগে আমাদের নদীর সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে নদীভিত্তিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করা যাবে না। আরিফুল ইসলাম জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ নৌ রুটে চলাচলকারী নৌযানগুলো কি পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে তা নিরীক্ষা করবে তার অধিদফতর। তারপর নদী দূষণ নিয়ে করণীয় সম্পর্কে নৌপথ মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ জানাবেন তারা।
×