ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবন্ধী উন্নয়নে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ হস্তান্তর

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ২৪ মে ২০১৯

 প্রতিবন্ধী উন্নয়নে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ  হস্তান্তর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশেষ শিশুদের (প্রতিবন্ধী) উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারে অনুদান দিয়েছে প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। হুয়াওয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে শিশুদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী নিউ ডিওএইচএসে অবস্থিত পিএফডিএ’র কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব যন্ত্রাংশ হস্তান্তর করেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং জেংজুন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। পিএফডিএ- ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান ড্যানি এবং হুয়াওয়ের অন্য উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হুয়াওয়ে জানিয়েছে, পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার কর্তৃপক্ষকে আল্ট্রা সাউন্ড থেরাপি (ইএসটি), আল্ট্রা রেড রেডিয়েশন (আইআরআর), শর্ট ওয়েভ ডায়াথারমি (এসডব্লিউডি), ইলেকট্রিক্যাল মাসল স্টিমুলেটর (ইএমএস), বেড ও অন্যান্য যন্ত্রাংশসহ ট্রাকশন মেশিন (পেলভিক এ্যান্ড কার্ভিক্যাল ট্র্যাকশন) দেয়া হয়েছে। এসব যন্ত্রাংশ ওই ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও এর শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দিতে সহায়তা করবে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি সেবা গ্রহণ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আচার-ব্যবহারের ধরন এবং অস্বাভাবিক ব্যবহারের কারণ জানতে সহায়তা করবে সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি এসব যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণে যে কোন ধরনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, বিশেষ শিশুদের সহায়তার জন্য দেশের সরকারী ও বেসরকারী উভয় প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। হুয়াওয়ের এই আয়োজন তেমনি একটি উদাহারণ। এই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে যে, তাদের সঠিকভাবে পরিচর্যা করা হলে, তারা তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিতে পারবে। হুয়াওয়ের এমন উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন প্রতিবন্ধী শিশুদের স্কুল রয়েছে। তাদের জন্য যদি হুয়াওয়ে কাজ করে তাহলে তারাও সমাজে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে। আমি আশা করব হুয়াওয়ে এ ধরনের কাজ অব্যাহত রাখবে। হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝাং জেংজুন বলেন, আমরা স্থানীয় কমিউনিটির উন্নয়নের প্রতি যত্নশীল। বাংলাদেশের সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় ও প্রয়োজনে হুয়াওয়ের সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই কাজে এগিয়ে এসেছে। ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশের জন্য’ শীর্ষক একটি চ্যারিটি প্রোগ্রামের আওতায় যারা অবহেলিতদের সহায়তা করে আসছি। আমাদের সঙ্গে আরও সহযোগীরা আছেন, যারা সমাজের জন্য একই উদ্দেশে কাজ করেন। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে আমরা এই শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব বহন করছি। হুায়াওয়ে বিশ্বাস করে, সামাজিক দায়বদ্ধ কার্যক্রম মানুষের বিশ্বাস ও সম্মান অর্জনের শক্তিশালী উপাদান হতে পারে। এ ধরনের কার্যক্রম অবশ্যই বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। পিএফডিএ-ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান সাজিদা রহমান ড্যানি বলেন, আমরা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাধীন ও বাস্তবসম্মত জীবনধারা তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। এই মহৎ কাজে সহায়তা করার জন্য হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে আন্তরিক ধন্যবাদ। বিশেষ শিশুদের সহায়তায় ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি। হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড পাবলিক এ্যাফেয়ার্স এ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগ সিনিয়র মিডিয়া ম্যানেজার তানভীর আহমেদ বলেন, হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিতকরণ ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি উন্নত এবং সংযুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলাই হুয়াওয়ের উদ্দেশ্য।
×