ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কবিতা ॥ তিনটি কবিতা

প্রকাশিত: ১১:৪৪, ২৪ মে ২০১৯

 কবিতা ॥ তিনটি কবিতা

বিনয় কর্মকার বয়স ভেবেছিলাম রংগুলোই বদলে যায়! ডাক্তার বলাবলি করে চোখের ছানি! নতুন লেন্সে দেখি অপেক্ষায় মৌনতা- পুরনো চৌকাঠ, খসে পড়া পলেস্তারা। দু’চোখের মাঝে এক-নাকের দেয়াল- খেলে গেছে বিকর্ষিত চৌম্বক সময়। বৃক্ষের ছায়ায় মেতে কখন যে সূর্য ডোবে! তলোয়ারে জং ধরলে; সে-ও তো বনে যায় বাতিল লোহা। . দাস প্রথা কমলা রং পোশাক পরে বিমানে উড়াল দিল যে মানুষগুলো; তাদের বুকে পিঠে বহুজাতিক সিল। গরিব বলে নয়; কৌশলী রেওয়াজটাই এমন- জোকারের পোশাকে থাকে হাজার জোড়াতালি! খেলা-দেখানো বানরের গলায় প্রশিক্ষকের শেকল! আর কথা বলা সব পাখিদের আকাশটাই লোহার। সোনার বোতাম লাগানো পাঞ্জাবি দেখেই চেনা যায়; এ -‘লাহিড়ী সার্কাসের’ মালিক! তবুও খাঁচার ডাহুক বোঝে নাশিকারীর ফাঁদ; অজান্তেই ডেকে আনে আরেক ডাহুক! . বিবর্তিত নগ্নতা নিজের চোখেই দেখি- জানালার পর্দা সরিয়ে ঢুকে পড়ে বেগানা- অন্ধকার! মিশে যায় অন্য একটা অন্ধকারে। নিজের চোখেই দেখি- কোনো-কোনো দরজাও মাঝরাতে তস্করের পরকীয়ায় গর্ভবতী হয়। অথচ; প্রেমিকের সংজ্ঞা আলাদা! নিজের চোখেই দেখি- শিথানে রাখি ভাষার অভিধান, পৃথিবীর ভাঁজে-ভাঁজে টের পাই, শব্দের অশ্লীল পারমাণবিক প্রয়োগ। হায়কাচ! সিলভারিং প্রলেপে আয়না হলেই- কতটা বদলে যাও তুমি!
×