বিনয় কর্মকার
বয়স
ভেবেছিলাম রংগুলোই বদলে যায়!
ডাক্তার বলাবলি করে চোখের ছানি!
নতুন লেন্সে দেখি অপেক্ষায় মৌনতা-
পুরনো চৌকাঠ, খসে পড়া পলেস্তারা।
দু’চোখের মাঝে এক-নাকের দেয়াল-
খেলে গেছে বিকর্ষিত চৌম্বক সময়।
বৃক্ষের ছায়ায় মেতে কখন যে সূর্য ডোবে!
তলোয়ারে জং ধরলে; সে-ও তো বনে যায় বাতিল লোহা।
.
দাস প্রথা
কমলা রং পোশাক পরে বিমানে উড়াল দিল যে মানুষগুলো;
তাদের বুকে পিঠে বহুজাতিক সিল।
গরিব বলে নয়; কৌশলী রেওয়াজটাই এমন-
জোকারের পোশাকে থাকে হাজার জোড়াতালি!
খেলা-দেখানো বানরের গলায় প্রশিক্ষকের শেকল!
আর কথা বলা সব পাখিদের আকাশটাই লোহার।
সোনার বোতাম লাগানো পাঞ্জাবি দেখেই চেনা যায়; এ -‘লাহিড়ী সার্কাসের’ মালিক!
তবুও খাঁচার ডাহুক বোঝে নাশিকারীর ফাঁদ;
অজান্তেই ডেকে আনে আরেক ডাহুক!
.
বিবর্তিত নগ্নতা
নিজের চোখেই দেখি-
জানালার পর্দা সরিয়ে ঢুকে পড়ে বেগানা- অন্ধকার!
মিশে যায় অন্য একটা অন্ধকারে।
নিজের চোখেই দেখি-
কোনো-কোনো দরজাও মাঝরাতে তস্করের পরকীয়ায় গর্ভবতী হয়।
অথচ; প্রেমিকের সংজ্ঞা আলাদা!
নিজের চোখেই দেখি-
শিথানে রাখি ভাষার অভিধান,
পৃথিবীর ভাঁজে-ভাঁজে টের পাই, শব্দের অশ্লীল পারমাণবিক প্রয়োগ।
হায়কাচ!
সিলভারিং প্রলেপে আয়না হলেই-
কতটা বদলে যাও তুমি!