নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া ॥ পটিয়ায় এক পুলিশ কর্মকতার্র গাড়ি চুরি হলেও মামলা হয়নি তিন দিনেও!। ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. ওসমান গণির ব্যক্তিগত একটি মোটসাইকেল পৌর সদর থেকে চুরি হয়। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত থানায় এ সংক্রান্তে মামলা কিংবা জিডি করা হয়নি। তবে সার্জেন্ট গণি বুধবার তার মোটসাইকেল চুরি হওয়ার পর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে একটি মোটরসাইকেল চোর সিন্ডিকেট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গাড়ি চুরি করে পার্শ্ববর্তী বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া অথবা অন্য কোন উপজেলায় নিয়ে বিক্রী করে থাকেন। সার্জেন্ট গনির সুজিকি মডেলের মোটরসাইকেল (কুমিল্লা ল-১১-১৩৮৬) পটিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের উত্তর পাশে আবুল কালামের বিল্ডিং এর নিচ থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। প্রশ্ন ওঠেছে-একজন পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি চুরির ঘটনার পর থানায় কেনো মামলা হয়নি?
জানা গেছে, পটিয়া ট্রাফিসের সার্জেন্ট ওসমান গণি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ভাড়া বাসায় থাকেন। বাসার নিচেই পাকিং এ মোটরসাইকেল রাখেন। ওই বিল্ডিং এ আবদুল মজিদ নামের একজন দারোয়ান রয়েছে। ঘটনার দিন সকাল ৭টার দিকে মোটরসাইকেল চুরির সময় বিল্ডিং এর দারোয়ানকে বাইরে তালা লাগিয়ে দেন। পরে বিল্ডিং এর মালিক এসে তালা খুলে দিলে দারোয়ান মুক্ত হয়। এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করলেও থানায় তা মামলা হিসেবে রের্কড করা হয়নি। প্রায় সময় পটিয়া থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। সার্জেন্ট ওসমান গণি জানিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল চুরির পর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি থানা পুলিশ তা কি করেছে জানেনা। ঘটনার তিন দিন পরও গাড়ি উদ্ধার অথবা মোটরসাইকেল চোরদের গ্রেফতার করতে কোন তৎপরতা তিনি (গণি) দেখছেন না। মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগটি থানার সেকেন্ড অফিসার নাদিম মাহমুদকে দিয়েছেন। তবে নাদিম মাহমুদ জানিয়েছেন, পুলিশ কর্মকর্তার মোটসাইকেল চুরি সংক্রান্তে কোন অভিযোগ তিনি পাননি। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তবে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাড়ৈকারা এলাকা এক আয়ুব আলী (২৫) নামের এক মোটরসাইকেল চোরকে গ্রেফতার করেছেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: