ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকল্প মেয়াদ শেষের পথে তবু শুরুই হয়নি কাজ

প্রকাশিত: ০৮:০০, ২৫ মে ২০১৯

 প্রকল্প মেয়াদ শেষের  পথে তবু শুরুই  হয়নি কাজ

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ রাজশাহী নগরীর লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত তালাইমারী-আলুপট্টি সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ কাজ শুরুই হয়নি অথচ শেষের পথে এসে দাঁড়িয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। কথা ছিল, চলতি বছরের মধ্যেই শেষ হবে রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি হতে তালাইমারী সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ। কিন্তু এখনো কাজই শুরু করতে পারেনি সিটি কর্পোরেশন। এরইমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদও শেষ হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সিটি মেয়রও। আর নাগরিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, প্রকল্প থমকে থাকলে সরকারের যেমন খরচ বাড়ছে, উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মূল শহরে চলাচলের প্রধান পথ হিসেবেই পরিচিত তালাইমারী-আলুপট্টি সড়ক। দেড় লেনের এই সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে ২০১২ সালে একটি প্রকল্পে প্রস্তাব পাঠায় সিটি কর্পোরেশন। তবে ১২৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকার এই প্রকল্পটি একনেক সভায় ছাড় পায় ২০১৫ সালের মে মাসে। আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কে থাকার কথা প্রশস্ত ফুটপাথ, দু’পাশে ড্রেন, আইল্যান্ড ও সুদৃশ্য আলোকায়ন। কিন্তু থমকে আছে এসব কাজ। ফলে ব্যস্ততম এ গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে এক রকম ঠাসাঠাসি করে চলছে যানবাহন। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন, নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। নির্মাণকাজ হলে নগরীর দৃশ্যই পাল্টে যেত। অথচ প্রকল্প পাস হওয়ার পরও কেন কাজ শুরু হলো না তা নগরবাসীর প্রশ্ন। সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন এর রাজশাহী আঞ্চলিক সমন্বয়ক সুব্রত কুমার পাল বলেন, প্রকল্প এভাবে আটকে থাকায় সরকারী টাকা অপচয়ের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। পাশাপশি সরকারের উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এদিকে, প্রকল্পের এমন দশায় ক্ষুব্ধ সিটি মেয়র। এ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ থেকে গত ৭ এপ্রিল একটি জরুরী চিঠি দেয়া হয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের। এতে বলা হয়েছে, মহানগরীর কল্পনা সিনেমা হল হতে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আলুপট্টি মোড় হতে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম মন্থর হওয়ায় মাননীয় মেয়র গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম মে মাসের মধ্যেই শেষ করতে মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতি পাঁচ দিন পর পর কাজের অগ্রগতি প্রকল্প পরিচালককে জানাতে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, জমি অধিগ্রহণের কাজে কিছু জটিলতা থাকায় প্রকল্পে ধীরগতি হচ্ছে। ভূমি অধিগ্রহণখাতে প্রায় ৬০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। তবে মূলকাজ শুরু করতে আরও তিন মাস সময় লাগবে বলে জানান তিনি। এ সড়কটি সম্পন্ন হলে রাজশাহী নগর সড়ক সম্প্রসারণে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
×