ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ এখনও কাগজপত্রে

প্রকাশিত: ০৮:০২, ২৫ মে ২০১৯

 আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ এখনও কাগজপত্রে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের এক মাস পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরারের নামে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দুই মাস সময় বেঁধে দিলেও কবে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে তা জানাতে পারেননি ডিএনসিসি’র কর্মকর্তারা। রাজধানীর নর্দা বাড্ডার বসুন্ধরা গেটের সামনে আবরার ফুটওভার ব্রিজের জায়গায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভিত্তিপ্রস্তর ফলকের সামনে দোকান বসেছে, সেখানে জুতা, কাপড় ও বাদামসহ নানা পণ্য বিক্রি হচ্ছে। আরও দেখা যায়, যে জেব্রা ক্রসিং এ আবরার বাসচাপায় মারা যান সেখানে এখনও চলছে অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জানান, জেব্রা ক্রসিং দিয়ে প্রতি মিনিটে ১০ থেকে ১৫ জন মানুষ পারাপার হয়। ফলে কিছুক্ষণ পর পর গাড়ি থামিয়ে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে সাধারণ মানুষ পারাপারের ব্যবস্থা করা হয়। আবার অন্য জায়গায় জ্যাম লাগলে তাতেও ছুটে যেতে হয়। গাড়ি থামানোর কারণে আবার তীব্র যানজটেরও সৃষ্টি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জেব্রা ক্রসিং সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা খুব কম। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আইরীন বলেন, আবরার মারা যাওয়ার পর আমরা যমুনা ফিউচার পার্কের সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করেছি। আমাদের সঙ্গে দেশের সব স্থানের শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিল। আমাদের বলা হয়েছিল সড়কে নিয়মশৃঙ্খলা আসবে। তাড়াতাড়ি করে ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তি প্রস্তর করা হলো আমাদের সামনে। বাস্তবে এখন কার্যক্রম ঝিমিয়ে চলছে। যমুনা ফিউচার পার্কে একটি মাল্টিশপের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এই জেব্রা ক্রসিং পার হয়ে অফিসে আসা যাওয়া করতে হয়। মাঝে মাঝে জেব্রা ক্রসিং-এর ওপর গাড়ি তুলে দেয়। গেল ১৯ মার্চ জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর বাসচাপায় প্রাণ হারান আবরার। এরপর শিক্ষার্থীরা সড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা ৮ দফা দাবি তুলে ধরেন, যার মধ্যে জেব্রা ক্রসিং-এর স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের দাবি ছিল উল্লেখযোগ্য। পরের দিন ২০ মার্চ নিহত আবরার আহমেদ চৌধুরীর নামে ফুটওভার ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন বলেন, ব্রিজটিকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্বলিত ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল ব্রিজটির ডিজাইন ফাইনাল করা হয়েছে। শীঘ্রই নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হবে।
×