ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে বেনচিচ

প্রকাশিত: ১০:১০, ২৫ মে ২০১৯

 আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে বেনচিচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দোরগোড়ায় ফ্রেঞ্চ ওপেন। মৌসুমের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের আগে টেনিস কোর্টে দারুণ সময় পার করেছেন বেলিন্ডা বেনচিচ। যে কারণে রোলাঁ গ্যারোঁয় এবার ফেবারিটের তকমাটা মাখানো থাকবে সুইজারল্যান্ডের এই টেনিস তারকার গায়ে। বড় টুর্নামেন্টে ভাল করতে হলে নিঃসন্দেহে বিশ্বের শীর্ষসারির খেলোয়াড়দের বিপক্ষে লড়াই করতে হয়। এক্ষেত্রে বেনচিচের অনুভূতিটা কেমন? টেলিগ্রাফ স্পোর্টকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘আমার চেয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের দিক দিয়ে ওপরে থাকা খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলাটা সবসময়ই সহজ।’ এ বছরে দুবাই টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতেছেন বেলিন্ডা বেনচিচ। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে তিনি ৬-৩, ১-৬ এবং ৬-২ গেমে হারিয়েছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভাকে। যিনি ২০১৯ সালে টেনিস কোর্টে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। অথচ সেই চেক তারকাকে হারিয়েই চলতি বছরের প্রথম শিরোপা জয়ের স্বাদ পান বেলিন্ডা বেনচিচ। এছাড়া ইন্ডিয়ান ওয়েলস, স্যামসাং ওপেন এমনকি মাদ্রিদ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। স্পেনের রাজধানীতে বর্তমান বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর খেলোয়াড় নাওমি ওসাকারও মুখোমুখি হয়েছিলেন বেনচিচ। কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে তিনি ৩-৬, ৬-২ এবং ৭-৫ গেমে হারিয়ে দেন জাপানের তরুণ প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়কে। ২০১৯ সালে দুইবার ওসাকার মুখোমুখি হন বেনচিচ। দুবারই তাকে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দেন সুইস তারকা। যে কারণে ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে শীর্ষসারির খেলোয়াড়দের বিপক্ষে লড়াই করার আত্মবিশ্বাসটাও তার বেড়ে গেছে বহুগুণে। ২২ বছর বয়সী বেলিন্ডা বেনচিচ জানান, এই মুহূর্তে টেনিস কোর্টে নির্ভয়ে খেলতে চান তিনি। তার মতে যারা ফেবারিট হয়ে কোর্টে নামবে তাদের বিপক্ষে আমি খুব স্বাভাবিকভাবেই খেলার চেষ্টা করি। আমি চাই কেবল আমার খেলাটাই খেলতে। টরেন্টো আর দুবাইয়ের কথায় যদি বলতে হয়, দুটি টুর্নামেন্টেই আমি কোন ধরনের চাপ কিংবা প্রত্যাশা নিয়ে যাইনি। সেখানে খেলার সময় আমার মনের মধ্যে কোন রকমের ভয় ছিল না। তবে আমার খেলার মান খুব ভাল ছিল। যে কারণে সেখানে দারুণ আত্মবিশ্বাস নিয়েই কোর্টে নেমেছিলাম। ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে ইতালিয়ান ওপেনেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে এই টুর্নামেন্টে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি বেনচিচ। রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকেই ছিটকে যান তিনি। তবে এসব নিয়ে মোটেও হতাশ নন এই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। বেনচিচ মনে করেন টেনিস জিমন্যাস্টিক্স কিংবা ফিগার স্কেটিংয়ের মতো নয়, যেখানে প্রতি চার বছর পরপর কেবল সুযোগ আসে। তার মতে টেনিসে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ আসে প্রতি সপ্তাহেই। তাই খারাপ ফর্ম কিংবা ইনজুরি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলে মনে করেন বেনচিচ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি যদি খেয়াল করেন তাহলে দেখবেন টেনিস কিন্তু জিমন্যাস্টিক্স কিংবা ফিগার স্কেটিংয়ের মতো নয়। সেখানে খেলোয়াড়রা প্রতি চার বছর পরপর একবার সুযোগ পায়। আর সেখানে যদি দুই মিনিট খারাপ করে তাহলেই সব শেষ। কিন্তু আমাদের প্রতি সপ্তাহেই সুযোগ আসে। এছাড়াও বছরে চারটি গ্র্যান্ডস্লামে খেলার সুযোগ রয়েছে। বেনচিচ এ সময় আরও বলেন, টেনিস কোর্টে আমি সবসময়ই নিজের সেরাটা ঢেলে দেয়ার চেষ্টা করি। কোন ধরনের চাপ না নিয়ে চেষ্টা করি খেলাটাকে উপভোগ করতে। আর যখন ইনজুরিতে পড়ি তখন তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চেষ্টা করি।’ বেনচিচ ছাড়া ফ্রেঞ্চ ওপেনে ফেবারিট হিসেবে দেখা যাবে জাপানের নাওমি ওসাকা, রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ, চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভা, অস্ট্রেলিয়ার এ্যাশলে বার্টি, জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবার, ডেনমার্কের ক্যারোলিন ওজনিয়াকি, উইলিয়ামস পরিবারের দুই মেয়ে কিংবা ইউক্রেনের এলিনা সিতলিনাকে।
×