ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় ব্যাঙ

প্রকাশিত: ১০:০৭, ২৬ মে ২০১৯

  প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় ব্যাঙ

প্রেগনেন্সি পরীক্ষায় এই জেনোপস ব্যাঙ ব্যবহার করা হতো ১৯৩০ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত। আফ্রিকায় সাহারা মরুভূমির আশপাশের দেশগুলোতে, যা সাব-সাহারান এলাকা হিসেবে পরিচিত। সেখানে ছিল বিশেষ এক জাতের নখওয়ালা ব্যাঙ। এর নাম জেনোপস। ওই এলাকার পানিতে লাখ লাখ বছর ধরে বাস করছিল ব্যাঙটি। কিন্তু হঠাৎ করেই ১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশ এক বিজ্ঞানী তার জীবনে বড় ধরনের এক পরিবর্তন ঘটিয়ে দিলেন। জেনোপস নামের এই ব্যাঙটির শরীরে তিনি ইনজেকশন দিয়ে মানুষের মূত্র ঢুকিয়ে দিলেন। ল্যান্সলট হগবেন নামের এই প্রাণিবিজ্ঞানীর কাজই যেন ছিল বিভিন্ন প্রাণীর শরীরের নানা রকমের জিনিস, বিশেষ করে হরমোন ঢুকিয়ে দেয়া। তার উদ্দেশ্য ছিল এর ফলে ওই প্রাণীর শরীরে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া ঘটে সেটা লক্ষ্য করা। ঠিক এই একই ধরনের আরেকটি পরীক্ষার পর অনেকটা দুর্ঘটনাবশতই তিনি আবিষ্কার করে ফেললেন যে, এই ব্যাঙের ভেতরে প্রেগনেন্সি হরমোন ঢুকিয়ে দিলে সেটি ডিম পাড়তে শুরু করে দেয়। শুধু তাই নয়, আজকের দিনে ভাবলে খুব অবাক হতে হয় যে ওই জেনোপস ব্যাঙ নির্ভুলভাবে ফলাফল বলে দিতে পারত। পরীক্ষাটি ছিল এরকম, নারী জেনোপস ব্যাঙের চামড়ার নিচে ইনজেকশনের মাধ্যমে নারীর মূত্র ঢুকিয়ে দেয়া হতো। ৫-১২ ঘণ্টা পর দেখা হতো ব্যাঙটি ডিম পেড়েছে কিনা। ডিম পাড়লে নিশ্চিত হওয়া যেত যে ওই নারী গর্ভবতী। নিখুঁতভাবেই বলে দিতে পারত ব্যাঙটি। পরীক্ষাগারে করা হতো এই টেস্ট। প্রেগনেন্সি টেস্ট এখন খুব সহজ ও সাধারণ একটি বিষয়। একজন নারী ঘরে বসে একটি স্টিক দিয়েই জেনে নিতে পারেন তিনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা। কিন্তু কয়েক দশক আগেও এই কাজটা এতটা সহজ ছিল না। -বিবিসি
×