ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাদাল কী পারবেন এবার?

প্রকাশিত: ১০:৪৭, ২৬ মে ২০১৯

 নাদাল কী পারবেন এবার?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রাফায়েল নাদাল। স্পেনের এই টেনিস তারকাকে বলা হয় ক্লে-কোর্টের রাজা। ফ্রেঞ্চ ওপেনের ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন। প্যারিসে এবার ১২তম শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে কোর্টে নামবেন তিনি। তবে নাদাল কী পারবেন? এই প্রশ্নটা এবার শুনা যাচ্ছে টেনিসবোদ্ধাদের অনেকের মুখেই। কারণটাও খুব সুস্পষ্ট। ২০১৯ সালের ক্লে-কোর্ট মৌসুমটা যে মোটেও নিজের মতো করে কাটাতে পারেননি বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক এই নাম্বার ওয়ান। এবারের ক্লে-কোর্ট মৌসুমে চার টুর্নামেন্টের তিনটিতেই ভক্ত-অনুরাগীদের হতাশ করেছেন নাদাল। প্রথম তিন টুর্নামেন্টের সবকটিতেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন তিনি। মন্টেকার্লো মাস্টার্সে ফ্যাবিও ফোগনিনির কাছে হেরে যান রাফায়েল নাদাল। নিজের দেশ মাদ্রিদ ওপেন থেকে বিদায় নেন স্টেফানোস সিসিপাসের কাছে হেরে। আর বার্সিলোনা ওপেনে নাদালের জয়রথ থামিয়ে দেন ডোমিনিক থিয়েম। টানা তিনটি টুর্নামেন্টে নাদালের এমন ব্যর্থতায় এবার প্রশ্নটা বেশ জোরেশোরেই উঠছে। রোঁলা গ্যাঁরোয় কতটুকু এগোতে পারবেন তিনি? তবে ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরুর ঠিক আগে ইতালিয়ান ওপেনেই বাজিমাত করেন রাফায়েল নাদাল। টানা তিন টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হওয়া এই স্প্যানিয়ার্ডই রোম মাস্টার্সের চ্যাম্পিয়ন হন। তাও আবার সময়ের এক নম্বর খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচকে পরাজিত করে। রোম মাস্টার্স জয়ের পর তার পারফর্মেন্স নিয়ে যে সংশয় দেখা দিয়েছিল তা বদলে গেছে অনেকের। তাই অনেকের মনে নাদাল জায়গা করে নিয়েছেন ঠিক ফেবারিটের মতোই। তবে নাদালের রেকর্ড ১২ ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের পথে বড় বাধা রজার ফেদেরার ও নোভাক জোকোভিচ। ফ্রেঞ্চ ওপেনে সর্বশেষ ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন হন ফেদেরার। এবার নাদাল রাজত্বের অবসান ঘটাতে চান তিনি। ২০১৫ সালের পর এবারই প্রথম রোঁলা গ্যাঁরোতে খেলতে নামছেন ফেড এক্সপ্রেস। টেনিসের উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের সামনে সুইজারল্যান্ডের এ টেনিস তারকা। পুরুষ এককে শীর্ষ বাছাই জোকোভিচ প্রথম রাউন্ডে মুখোমুখি হবেন ৪৩তম বাছাই পোল্যান্ডের হুবার্ট হারকাজেকের। ২০১৬ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনে শিরোপা জয়ী সার্বিয়ান টেনিস তারকার সামনে টানা চারটি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের হাতছানি। এর আগে টানা চারটি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের কীর্তি গড়েছিলেন রড লেবার। ১৯৬২ এবং ১৯৬৯ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি।
×