ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বেহাত হচ্ছে মহিপুর মৎস্য বন্দরের খাস জমি

প্রকাশিত: ০১:৩৯, ২৬ মে ২০১৯

বেহাত হচ্ছে মহিপুর মৎস্য বন্দরের খাস জমি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ মহিপুর মৎস্য বন্দরে খাস জমি পুকুর জলাশয় দখলের মহোৎসব চলছে। ভূমি প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব জমি জলাশয় দখলের তান্ডব চললেও তাদের নির্লিপ্ততায় দখলদারদের দৌরাত্ম থামছেনা। স্থাপনা তোলার হিড়িক চলছে। এ কারনে মহিপুর মৎস্য বন্দরের পরিকল্পিত উন্নয়ন চরম বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এসব পাকা বহুতল স্থাপনা অপসারনে আইনগত জটিলতা ক্রমশ বাড়বে। আর এ সুযোগে সরকারি এ সম্পত্তি জলাশয় স্থায়ীভাবে বেহাতের শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে অন্তত এক শ’ স্থাপনা তোলা হয়েছে। মাঝে-মধ্যে ভূমি অফিসের তহশিল থেকে ভূমিগ্রাসীদের সতর্ক করা হয়। কিন্তু স্থায়ীভাবে উচ্ছেদে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার খাস জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। মহিপুর মৎস্য বন্দরের প্রবেশদ্বারের পুবদিকে যাওয়ার ওয়াপদা সড়কের ডান দিকেই পাশাপাশি দু’টি বিরাট আকৃতির খাস পুকুর রয়েছে। পুকুর দু’টির চারদিক ঘিরে শতাধিক পাকা-আধা পাকা স্থাপনা তোলা হয়েছে। এখন এ স্থাপনাগুলো বর্ধিত করে পুকুরের মধ্যে পাটাতন করে দখল দৌরাত্ম চালাচ্ছে। এনিয়ে ভূমি প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। তহশীলদাররা কখনও এদের সঙ্গে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন। আবার কখনও আপোস করেন। ফলে সরকারি খাস জমি যাচ্ছে দখলদারের দখলে। বর্তমানে কলাপাড়ায় চলছে সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড যেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে এসব খাস জমির প্রয়োজন রয়েছে। যা উদ্ধারে এখনই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। স্থানীয়রা জানান, কয়েকটি প্রভাবশালীমহল রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এবং আর্থিক সুবিধা নিয়ে এসব স্থাপনা তোলার কাজে প্রত্যক্ষ সহায়তা করে আসছে। বর্তমানে রাতের আধারে মহিপুরে চলছে এসব স্থাপনা তোলার কাজ। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাশ জানান, অতিসম্প্রতি কয়েক দখলদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
×