ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে টাঙ্গাইলে মাকুর শব্দে মুখর তাঁতী গ্রামগুলো

প্রকাশিত: ০৬:৫৯, ২৬ মে ২০১৯

ঈদে টাঙ্গাইলে মাকুর শব্দে মুখর তাঁতী গ্রামগুলো

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ ‘নদী-চর-খাল-বিল গজারির বন, টাঙ্গাইল শাড়ি তার গর্বের ধন’। এটি মূলত টাঙ্গাইল জেলার স্লোগান। ঈদসহ যেন কোন উৎসবেই বাঙালী নারীদের প্রথম পছন্দই হলো শাড়ী। তাই চাহিদা মেটাতে শাড়ী তৈরিতে ঈদের এই সময়ে দিনরাত তাঁতের মাকুর খটখট শব্দ শোনা যাচ্ছে গ্রামগুলোতে। পথে যেতে যেতে দেখা যায় প্রায় বাড়ির উঠোনজুড়েই রোদে রঙিন সুতা শুকানোর দৃশ্য। জীবন-জীবিকার সঙ্গে জড়িত থাকায় এখানে ঘরে ঘরে তৈরি হয় তাঁতের শাড়ি। সারাবছরই এখানে শাড়ির বাজার জমজমাট থাকে। রমজান মাস শেষে ঈদ এলেই তা আরও সরগরম হয়ে ওঠে। ঈদ যতই এগিয়ে আসছে, টাঙ্গাইলের পাইকারি ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি খুচরা ক্রেতাদের আনাগোনা ততই বাড়ছে। ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ির চাহিদা এখন দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে সমাদৃত। জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলা সদরের করটিয়া, বাজিতপুর, এনায়েতপুর, পোড়াবাড়ী, চাড়াবাড়ী, বেলতা, দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল, চন্ডি, নলশোধা, কালিহাতী উপজেলার বল্লা, রামপুর, রায়পুর, কোকডহড়া, কাজিবাড়ী, খুসিল¬া, মোমিনগর, উত্তর ছাতিহাটি, দক্ষিণ ছাতিহাটি, পশ্চিম ছাতিহাটি, সিঙ্গাইর, দত্তগ্রাম, টেঙ্গগুরা, গোহালিয়াবাড়ী, নাগবাড়ী, বীরবাসিন্দা ও সহদেবপুরের প্রায় সাত হাজারেরও অধিক তাঁতি শাড়ি উৎপাদন করেন। কাপড় ব্যবসায়ীরা এসব গ্রাম থেকেই নামমাত্র মূল্যে শাড়ি কিনেন। পরে তা পাথরাইল হাট, করটিয়া হাট, বাজিতপুর হাট, বাবুর হাট এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন সংলগ্ন জুগারচর হাটে পাইকারি মূল্যে বিক্রি করেন। দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল শাড়ী ব্যবসায়ী সমিতি সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, ঈদে টাঙ্গাইলের শাড়ী সবার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা হয়েছে। অস্টেলিয়া, কানাডা, ইংল্যান্ডে শাড়ি রফতানি করা হচ্ছে। ঈদের এই সময়ে শাড়ীর চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক ডিজিটার যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসায়ীরা এবার অনলাইনেও শাড়ী ক্রয় ও বিক্রি করছেন।
×