ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি বেসিক্যালি নো পার্টি

প্রকাশিত: ০৮:৫১, ২৭ মে ২০১৯

 বিএনপি বেসিক্যালি নো পার্টি

‘যখন কোন জনসমষ্টি রাষ্ট্রীয় সমস্যাবলি সম্পর্কে একমত পোষণ করে এবং তা সমাধানের উপায় জনগণের নিকট উপস্থাপনের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন লাভ করে এবং ক্ষমতা গ্রহণ ও নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার গঠন করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে, তাকে রাজনৈতিক দল বলে।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞা বিধৃত হয়েছে এভাবেই। রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এন্ডমন্ড বার্ক বলেছেন, ‘যখন কোন জনসমষ্টি নির্দিষ্ট স্বীকৃত নীতির ভিত্তিতে যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের চেষ্টা করে, তখন তাকে রাজনৈতিক দল বলে।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী যোসেফ এস সুম্পিটার বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দল হলো এমন এক গোষ্ঠী যার সদস্যদের লক্ষ্য হলো ক্ষমতা লাভের জন্য বা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সংঘবদ্ধভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার বলেন, ‘যারা কতকগুলো সুনির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং সাংবিধানিক উপায়ে সরকার গঠন করতে চেষ্টা করে, তাকে রাজনৈতিক দল বলে।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের উপরোক্ত সংজ্ঞাগুলোর আলোকে রাজনৈতিক দলের যে বৈশিষ্টাবলি আমরা পাই, তা হলো- সদস্যদের সমআদর্শে বিশ্বাস ও সংঘবদ্ধ থাকা। জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থরক্ষা করে বিদ্যমান সমস্যাবলি শনাক্তকরণ ও সমাধানের উপায় বের করা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণ। এই বৈশিষ্টাবলির আলোকে আমরা দেখার চেষ্টা করব বাংলাদেশের একসময়কার অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কে। প্রথমত সাংবিধানিক কোন নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিএনপির জন্ম হয়নি। সদ্য-স্বাধীন দেশ বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে দেশে অসাংবিধানিক সামরিক স্বৈরাচার সরকারের যাত্রা শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতা মুক্তিযুদ্ধকালীন এক বিতর্কিত সেনা কর্মকর্তা জেনারেল জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল। এই ক্ষমতা দখল প্রক্রিয়াটিই ছিল অবৈধ (পরবর্তীকালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে তা প্রমাণিত)। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে অশুভ শক্তি হিসেবেই অতীত ও বর্তমানে চিহ্নিত এবং ভবিষ্যতে ইতিহাসের কাছেও তাকে সে দায় মেটাতে হবে। এই অবৈধ প্রেসিডেন্টের ডেপুটি স্খলিত বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে দিয়ে তিনি প্রথমে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামের তথাকথিত একটি রাজনৈতিক প্লাটফরম গড়ে তোলেন। সেই প্লাটফরমে দঁাঁড়িয়ে তিনি পাতানো এক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ‘নির্বাচিত’ হন। পরে তিনি জাগদলকে বিলুপ্ত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি নামক দল গঠন করেন। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রমনা রেস্তরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিএনপির জন্ম ঘোষণা করেন। অর্থাৎ কোন স্বাভাবিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় নয়, বিএনপির জন্ম হয় মূলত ক্যান্টনমেন্টের উর্দিধারী এক উচ্চাভিলাসী অফিসারের ইচ্ছায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞামতে, রাজনৈতিক দলের সদস্যরা হবেন সমআদর্শে বিশ্বাসী। কিন্তু কাদের নিয়ে বিএনপি গঠিত হয়েছিল? ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল জিয়া প্রথমে ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি এবং পরে ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ মোট ৭৬ জনের কমিটি ঘোষণা করেন। বিএনপির প্রথম ওই কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন জেনারেল জিয়া নিজে। তিনি ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসা এক উচ্চাভিলাসী সেনা অফিসার ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে তার কোন না কোনভাবে সম্পৃক্ততার অভিযোগ অবান্তর নয়। পরবর্তী সময়ে কারা-অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ড, কর্নেল তাহের, খালেদ মোশাররফ-সহ বহু সেনা অফিসারকে হত্যায় তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ রয়েছে। দেশের উচ্চ আদালতের মন্তব্য- ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন ঠাণ্ডা মাথার খুনী।’ বিএনপির প্রথম ওই কমিটিতে ছিলেন নৈতিকভাবে স্খলিত বিচারপতি আবদুস সাত্তার। জাতির পিতার খুনের ওপর দাঁড়িয়ে দেশের বিচার বিভাগের যে কর্মকর্তা বেইমানি করতে পারেন, তিনি নৈতিকভাবে স্খলিতই বটে। ছিলেন মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মতো মওলানা ভাসানীর শিষ্য, শাহ আজিজুর রহমানের মতো স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী, ডাঃ একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, এ জেড এম এনায়েতুল্লাহ খানের মতো পেশাজীবী, মওদুদ আহমেদের মতো সুবিধাবাদী সুযোগসন্ধানী, তরিকুল ইসলামের মতো পতিত বামপন্থী, কিছু পথভ্রষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল হালিম চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) সুজাত আলীর মতো কিছু সাবেক সামরিক এবং কিছু সাবেক বেসামরিক আমলা। অর্থাৎ বিএনপি মানে হলো এক মুঠো সাবেক আমলা, এক চিমটি পতিত বামপন্থী, অল্প একটু পথভ্রষ্ট মুক্তিযোদ্ধাকে আধা লিটার রাজাকারের মধ্যে দিয়ে ঘুইট্যা ঘুইট্যা ঘুইট্যা বানানো একটি মিশ্রণ। অর্থাৎ দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞামতো সমআদর্শে বিশ্বাসী মানুষ নন। যেহেতু তারা সমআদর্শে বিশ্বাসী নন, ফলে শুরু থেকেই তাদের মধ্যে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান থাকে। এবং এই দ্বন্দ্ব এতটাই তীব্র ও প্রখর ছিল যে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের মাত্র দুই বছরের মাথায় খুন হয়ে যান কথিত তারই দলের কোন কোন সদস্যের নকশায়। জিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও বিচারের কোন উদ্যোগ পরবর্তী কোন সময়েও তার দলের উত্তরসূরিরা নেননি। দলের উত্তরসূরি বলতে অবশ্য তারই পরিবারের উত্তরসূরিরাই। জিয়া হত্যার পর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসেন এবং একদিনেই দলের চেয়ারপারসন হয়ে যান। তিনি একাধিক দুর্নীতি মামলায় কারাভোগ করছেন, কিন্তু দল থেকে তার সদস্যপদ যায়নি, তিনি এখনও দলের চেয়ারপারসন। আবার তার কারাভোগকালে তারই জ্যেষ্ঠ সন্তান তথা দলের জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানই এখন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। যদিও তারেক নিজেও দুর্নীতি ও খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এবং দেশের বাইরে পলাতক। বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে তিন দফায় দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মাঝের মেয়াদ ছিল মাত্র দেড় মাস। সেটা বাদ দিলেও দুইবার পূর্ণ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী থাকলেও তিনি বা তার সরকার জিয়া হত্যার বিচারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। এমনকি অন্য কেউ যখন জিয়া হত্যার বিচারের দাবি করেন কিংবা বিচারের উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেন, বিএনপির তরফ থেকে হয় ‘স্পিকটি নট’ থাকা হয়, অথবা ‘এর মধ্যে অন্য কোন চক্রান্ত আছে’ বলে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। বিএনপির কোন স্তরের নেতাকর্মীরাও কখনও জিয়া হত্যার বিচারের কোন দাবি করেন না। কারণ কী? বিএনপির গঠনতন্ত্রে ছিল- কোন ফৌজদারি অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামি কিংবা চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ দলের সাধারণ সদস্য পদেও থাকতে পারবেন না। কিন্তু বেগম জিয়ার মামলার রায় হওয়ার আগেরদিন তড়িঘড়ি এক বর্ধিত সভা ডেকে খালেদা জিয়া ওই বিধান বাতিল করে দিয়ে যান। এর ফলে দুর্নীতির মামলায় আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত তথা চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ হওয়া সত্ত্বেও বিএনপির সাধারণ সদস্যপদ এমনকি চেয়ারপারসনের পদ থেকেও বেগম জিয়াকে সরানো সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়ত, দলটির দ্বিতীয় প্রধান নেতা তারেক রহমানকেও সরানো সম্ভব হয়নি। তিনিও খুনের ও দুর্নীতির মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তাদের ওই গোজামিল দেয়া গঠনতন্ত্র অনুসারে চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমানই এখন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। দুর্নীতি আর অপরাধের প্রতি বিএনপি নামক দলটির মোহ এতখানিই যে বিগত সাধারণ নির্বাচনে দলটি খালেদা জিয়াকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নও দেয়। যদিও দেশের বিদ্যমান আইনে অন্তত দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাজাভোগ শেষ হওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছরেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এ তো গেল দলের সুপ্রিমদের ব্যাপার। অধস্তন নেতাদের অপরাধের ব্যাপারেও বিএনপি উদার ভূমিকা পালন করেছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও তার সদস্যপদ বিএনপি বাতিল করেনি। ফলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনুসারে রাজনৈতিক দলের যে সাংবিধানিক বিধি মেনে চলার কথা কিংবা জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষার কথা, তা থেকেও বিএনপি যোজন যোজন দূরেই অবস্থান করছে। এমনকি ক্ষমতায় থাকাকালীন সরাসরি সরকারী মদদে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে বিনাশ করার উদ্দেশ্যে মারণাস্ত্র গ্রেনেডের ব্যবহার, দফায় দফায় ট্রাক ভরে ভরে মারণাস্ত্র অবৈধভাবে দেশে আনা, অন্য দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী রাষ্ট্রবিরোধী গোষ্ঠীকে আশ্রয় ও মদদ দান, সংবিধান ও রাষ্ট্রবিরোধী উগ্র সশস্ত্র জঙ্গীবাদী গোষ্ঠী সৃষ্টি ও পালনসহ হেন কোন রাষ্ট্রবিরোধী অপকর্ম নেই যা তারা করেনি। আবার ক্ষমতা হারিয়ে সাংবিধানিক বিধি অনুসারে আয়োজিত নিয়মতান্ত্রিক সাধারণ নির্বাচন ঠেকাতে লাগাতার আগুন সন্ত্রাসে বহু নিরীহ মানুষ হত্যার মতো জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়েও বিএনপি অভিযুক্ত। আবার যে মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সকল অস্তিত্বের ভিত্তি, সেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও মুক্তিযুদ্ধকালীন যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্ত বহু অপরাধীকেই বিএনপি তার জন্মলগ্ন থেকে দলে ভিড়িয়েছে এবং মূলত তারাই বিএনপির রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রধান কাণ্ডারি। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনার বিরোধিতাই শুরু থেকে বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক ভাবাদর্শ। যে ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, বাঙালী জাতীয়তাবাদ আর সমাজতন্ত্রের ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, তার সম্পূর্ণ উল্টোপথই বিএনপির যাত্রাপথ। জেনারেল জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর সংবিধানের ওই চার মূলনীতিকে হত্যাও করে। চিরায়ত বাঙালী জাতীয়তাবাদের বিপরীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের নামে এক অদ্ভুত শিকড়ছেঁড়া মতবাদ কোথা থেকে যেন জিয়াউর রহমান আমদানি করেন। এবং সেটিই মূলত তাদের রাজনীতির মূল কথা। দলটি তাদের মূল স্লোগান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের মূল স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে ধারণ করতে ব্যর্থ হয়ে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ এর আদলে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’কে নির্ধারণ করে। দলটির ঘোষণাপত্রে তাদের মৌলিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে যে দফাগুলো বিধৃত হয়েছে, তারও কোথাও তারা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করতে পারেনি। ফলে দলটি কোনোভাবেই রাষ্ট্রের জন্ম-ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, কোনভাবেই জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় কোন স্বার্থরক্ষার পক্ষে ইতিবাচক কখনই নয়, কার্যত কোন মৌলিক আদর্শ কিংবা লক্ষ্য নিয়ে গড়ে ওঠেনি এবং সাংবিধানিক বা নিয়মতান্ত্রিক কোন বিধিবিধানের মান্যতা পালন করে না। অর্থাৎ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শর্ত অনুযায়ী একটি রাজনৈতিক দল হয়ে ওঠার জন্য যে যে বৈশিষ্ট্য একটি জনগোষ্ঠীর থাকা দরকার তার কোনটিই বিএনপির মধ্যে নেই। চলবে... লেখক : সাধারণ সম্পাদক, ইয়ুথ ফর ডেমোক্র্যাসি এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট
×