ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সহজ সুন্দর জীবন

প্রকাশিত: ০৯:০৩, ২৭ মে ২০১৯

 সহজ সুন্দর জীবন

ব্যক্তিগত জীবন হোক অথবা কর্মজীবন আমরা যদি ঠিকমতো আমাদের সময়টাকে বণ্টন করতে পারি, দুর্ভাবনাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে, ইতিবাচক মনোভাব সবসময় ধরে রাখতে পারি, তাহলে জীবন ধারণ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। কিছু কিছু সূত্র আছে, যেগুলো মনে রাখলে সহজেই আমরা টাইম আর স্ট্রেস ম্যানেজ করতে পারব আর সহজেই নিজেদের ভেতর পজিটিভ এ্যাটিচুড (ইতিবাচক/গঠনমূলক চিন্তাভাবনা) এর অনুশীলন করতে পারব। চলুন দেখে নেয়া যাক, জীবন কিছুটা সহজ করার কিছু সূত্রাবলী। টাইম ম্যানেজমেন্ট/সময় নিয়ন্ত্রণ মনে রাখবেন আমরা যতই চেষ্টা করি সময়কে কিন্তু বাড়াতে পারব না। ২৪ ঘণ্টায় ১ দিনই হবে, ৭ দিনে ১ সপ্তাহই হবে, আর ৩৬৫ দিনে ১ বছরই হবে। সুতরাং আমরাদের যা করতে হবে একটু গুছিয়ে দৈনন্দিনের কাজগুলো করতে হবে। সময়কে কাজে লাগান। জ্যামে বসে আছেন, পরবর্তী কাজগুলো, বাজারের লিস্ট ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ডাইরিতে/মোবাইলে লিখে ফেলেন তাহলে, আপনার মাথার উপর থেকে চাপ কমবে। কারও জন্য অপেক্ষা করছেন, ফেসবুকে গিয়ে আপনার কাউকে উইশ করার কথা সেটা করে ফেলেন। ডাক্তারের চেম্বারের লম্বা অপেক্ষা, ঘুমিয়ে নেন। মনে রাখবেন, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম, বিশ্রাম নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্টেস ম্যানেজমেন্ট/মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ জীবন মানেই চিন্তা, ভাবনা এবং মানসিক চাপ। প্রত্যেকেই কিন্তু তাদের নিজের নিজের পন্থায় টেনশনকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এই স্টেস ম্যানেজমেন্ট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ জীবনে সাফল্য পেতে হলে। আর আমাদের শরীরের উপর কিন্তু স্টেসের মারাত্মক প্রভাব পড়ে, সুতরাং সকল প্রকার দুশ্চিন্তাবিহীন জীবনযাপন করা উচিত। টেনশন নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা একেকজনের একেকরকম; কেউ আছেন, অনেক মানসিক চাপ আর মানসিক দ্বন্দ্ব সুন্দরভাবে হজম করতে পারেন, আবার কেউ কেউ আছেন, মানসিক চাপে কাজ করতে পারেন না, অস্থির হয়ে যান। এসব কিছু মিলেই আপনার স্টেস ম্যানেজমেন্ট/চাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা। যাদের চাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বেশি এবং যারা অফিস আর পারিবারিক-সংসার এর মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারে, তারাই সাধারণত জীবনে সুখী থাকেন এবং সফল হন। পজিটিভ এ্যাটিচিউড ইতিবাচক/গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি যাদের আছে, তারা সাধারণত আশাবাদী। তারা সমাজের ও দেশের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী মানুষেরা সমাজ এবং দেশের মানুষের কথা ভাবে। অন্যদিকে না বোধক/নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি যাদের আছে, তারা সাধারণত উন্নতি করতে পারে না কেননা, সকল বিষয় নিয়ে তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে। যদিও তাদের বন্ধু সংখ্যা কম থাকে, কিন্তু তারা অনেককেই প্রভাবিত করতে পারে তাদের চিন্তাভাবনা দিয়ে। ইতিবাচক/ গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এমন একগুণ যা দিয়ে পৃথিবী জয় করা যায়’, আসলে এটি যাদের আছে, তারা এইরকম ভাবতে পছন্দ করে। সবসময় তারা নতুন কিছু করার চিন্তা করে। আবার যারা না বোধক/নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বসে থাকে, তারা অনিশ্চয়তায় ভোগে যার ফলে তারা কাজ করতে উৎসাহ পায় না। সুতরাং, নিজের ভালর জন্যই উপরের কৌশলগুলো মেনে চলুন তাহলে জীবনযাপন একটু সহজ আর সুন্দর হবে!
×