ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বশেমুরকৃবি’র শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন, অবস্থান ধর্মঘট এবং আল্টিমেটাম ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৯:১২, ২৬ মে ২০১৯

বশেমুরকৃবি’র শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন,  অবস্থান ধর্মঘট এবং আল্টিমেটাম ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ শ্রেণী ক্লাশে অনুপস্থিতির জরিমানা কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরকৃবি) শিক্ষার্থীরা রবিবার ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন, অবস্থান ধর্মঘট এবং বিক্ষোভ করেছে। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবী সম্বলিত স্মারক লিপি প্রদান করেছে। শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নেয়া না হলে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যহত রাখার আল্টিমেটাম ঘোষণা করেছে আন্দোলনরতরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, গাজীপুরের সালনাস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ^বিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি) কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে যদি কোন শিক্ষার্থী ৮০শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিত থাকলে সেসব শিক্ষার্থীদের জরিমানা দিয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে যেসব শিক্ষার্থী তাদের শ্রেণীকক্ষে ৭০-৭৯শতাংশ উপস্থিতি হলে দুই হাজার টাকা এবং ৬০-৬৯শতাংশ উপস্থিতি হলে তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। শিক্ষার্থীরা এ বিষয়টি সুরাহা করতে শিক্ষকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করতে গেলেও শিক্ষকরা কোন কথা বলে নি। এছাড়া পাবলিক এ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বায়ত্তশাসিত হলেও কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয়ের মত বিভিন্ন সময়ে নানা বিধান আরোপ করে যাচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও এখন পর্যন্ত কোর্স ক্রেডিট সিষ্টেমে বছরে তিনটি টার্ম শেষ করতে হয়। প্রতি টার্ম শুরুর ১৭ দিনের মাথায় ১ম মিড, ১ম মিড শেষ হবার ১৫ দিনের মাথায় ২য় মিড, আবার ২য় মিড শেষ হবার ২৭ দিনের মাথায় ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে হয় শিক্ষার্থীদের। এই মিডের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস, ল্যাব ক্লাস, কুইজ পরীক্ষা যথারীতি চলতে থাকে। পাশাপাশি ৮০শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়া হয় না। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, ৪ বছরে ২৪০ ক্রেডিট পড়ার কথা অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চিন্তাই করতে পারেন না। সেখানে স্নাতক পর্যায়ে চারটি অনুষদের মধ্যে কৃষি ও কৃষি অর্থনীতি অনুষদে চার বছরে ২৪০, ফিশারিজ অনুষদে ২৩০ এবং ভেটেরিনারি অনুষদে পাঁচ বছরে ২৮৩ ক্রেডিট পড়ানো হয়। তাদের অভিযোগ, বছরে তিনটি টার্মের (প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মত) শুরুতে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ফি বাবদ প্রায় ১২ হাজার টাকা আদায় করে নিচ্ছে প্রশাসন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাশে অনুপস্থিতির জরিমানা কমানোসহ বিভিন্ন দাবিতে গত ২১ মে থেকে আন্দোলনে নামে। রবিবারেও তারা রবিবার ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন, অবস্থান ধর্মঘট এবং বিক্ষোভ করেছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি পালন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্রকল্যান) এর কাছে তাদের দাবী সম্বলিত একটি স্বারকলিপি প্রদান করে। এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলনের এ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।
×