ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আদালত স্থানাস্তরের বৈধতা নিয়ে খালেদা জিয়ার রিটের শুনানি মঙ্গলবার

প্রকাশিত: ০৭:০৬, ২৭ মে ২০১৯

আদালত স্থানাস্তরের বৈধতা নিয়ে খালেদা জিয়ার রিটের শুনানি মঙ্গলবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তর করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে রিটের শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন নির্ধারন করা হয়েছে। একই সঙ্গে, খালেদার জিয়ার আদালতে স্থানান্তরের জন্য যে মামলা বিচারাধীন সেটি দুর্নীতি দমণ কমিশন দুদকের তাই রিটে দূনীর্তি দমন কমিশনকে পক্ষভূক্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো: খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশিদ আলম খান। এর আগে গত ২১ মে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু তার জবাব না পাওয়ায় গত ২৬ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।ওই আইনি নোটিশে দাবি করা হয়, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপন বেআইনি। কারণ, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যে কোনও বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। নোটিশে আরও বলা হয়,একইসঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেওয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই যে, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। আপীলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদন্ড বেড়ে ১০ বছর এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতে ৭ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। এক বছর আগে দুর্নীতির মামলায় দন্ডের পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের পরিত্যক্ত কারাগারে রেখে অন্য কয়েকটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিচার চলছিল। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে গত ১ এপ্রিল তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
×