ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাপার এমপি হান্নানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী গ্রহণ ১৪ জুলাই

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ২৭ মে ২০১৯

জাপার এমপি হান্নানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী গ্রহণ ১৪ জুলাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, অপহরণ, নারী নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও লাশগুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগে ময়মনসিংহ-৭ আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল হান্নানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাত ধরণের ৬টি অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।অভিযোগ গঠন করার পর আসামীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউশনের আনা সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করার জন্য ১৪ জুলাই দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল।ওই দিন মামলার(ওপেনিং স্ট্যাটমেন্ট) সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ঠিক করেছেন আদালত। মামলায় সাবকে এমপি এম এ হান্নান ছাড়া অন্যান্য আসামীরা হলেন, তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ (৬২), মো. ফখরুজ্জামান (৬১), মো. আব্দুস সাত্তার (৬৪), ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ (৬৯), খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩), মো. হরমুজ আলী (৭৩)।এরমধ্যে মো. ফখরুজ্জামান, মো. আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী পলাতক। বাকী সবাই গ্রেফতারের পর কারাগারে আছেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নের্তৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। শুনানিতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ, তাপস কান্তি বল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই মামলার তদন্ত শেষ করে ৪১তম প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই অভিযুক্ত আট আসামীর বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ১১ জুলাই তা শেষ করেন মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা (আেইও) মো. মতিউর রহমান।এর ওপর ভিত্তি করে আসামীদের বিরুদ্ধে ৬ঠি অভিযোগে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন টিমের পক্ষ থেকে। এর আগে গ্রেফতার হওয়া আসামীদের সেফহোমে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় । ২০১৫ সালের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।মামলায় এমএ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফকরুজ্জামান ও শহরতলীর গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরো পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি হয়েছেন মোট আটজন। ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর ট্রইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করলে ওই দিনই হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়।পরে একইদিন গ্রেফতার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকে।ঢাকায় গ্রেফতার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার হন বাকি তিনজন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে ট্রাইব্যুনালে মামলার কার্যক্রম চলছে।
×