ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও মঞ্চে প্রাঙ্গণেমোরের নাটক ‘হাছনজানের রাজা’

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ৯ জুন ২০১৯

আবারও মঞ্চে প্রাঙ্গণেমোরের নাটক ‘হাছনজানের রাজা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের অন্যতম নাট্যদল প্রাঙ্গণেমোরের অন্যতম প্রশংসিত প্রযোজনা ‘হাছনজানের রাজা’। গত বছরের ২০ এপ্রিল নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। এছাড়া ইতোমধ্যে নাটকটির কয়েকটি মঞ্চায়নেই দর্শক মহলে নন্দিত হয়েছে। মাঝে কিছুদিন বিরতির পর আবারও নাটকটির মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। দল সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৩ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। মরমী গীতিকবি হাছন রাজাকে নিয়ে প্রযোজিত ‘হাছনজানের রাজা’ নাটকটি রচনা করেছেন বিশিষ্ট লেখক শাকুর মজিদ । নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। ‘হাছনজানের রাজা’ নাটকটি প্রাঙ্গণেমোরের ১৩তম প্রযোজনা। এ নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন ফয়েজ জহির, সঙ্গীত পরামর্শক হাছন রাজার গানের জনপ্রিয় শিল্পী সেলিম চৌধুরী, সঙ্গীত পরিকল্পনা রামিজ রাজু, আলোক পরামর্শক বাংলাদেশের প্রবীণ আলোক পরিকল্পক ঠা-ু রায়হান, আলোক পরিকল্পনা তৌফিক আজীম রবিন এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন নূনা আফরোজ। ‘হাজনজানের রাজা’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন রামিজ রাজু, আউয়াল রেজা, মাইনুল তাওহীদ, সাগর রায়, শুভেচ্ছা রহমান, সবুক্তগীন শুভ, জুয়েল রানা, আশা, প্রকৃতি, প্রীতি, সুজয়, নীরু, সুমন, বাঁধন ও রুমা। সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, রামপাশা, লক্ষ্মণ শ্রী আর সিলেটের একাংশ নিয়ে পাঁচ লাখ বিঘার বিশাল অঞ্চলের জমিদার ও মরমী কবি হাছন রাজার জীবনী অবলম্বনে নাটকটির কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। হাছন রাজা (১৮৫৪-১৯২২) বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার একজন সামন্তপ্রভু ছিলেন। কিশোর বয়সে পিতা ও মাতা উভয়ের কাছ থেকে পাওয়া বিশাল জমিদারির মালিকানা চলে আসে। অর্থ, বেহিসাবী সম্পদ আর ক্ষমতার দাপটে বেপরোয়া জীবন-যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়েন তিনি। জাগতিক লোভ-লালসা, ক্ষমতায়ন ও জবরদখল করেও তিনি তার প্রতিপত্তি বাড়ানোর কাজে প্রবৃত্ত ছিলেন। কিন্তু এক সময় তার ভেতরের ভ্রান্তি ঘুচে যায়। মধ্য পঞ্চাশে এসে তিনি ভিন্ন এক মানুষে পরিণত হয়ে যান। তার বোধ হয় যে এ জগত সংসারের সব অনাচারের মূলে আছে অতিরিক্ত সম্পদ। কিছু দিনের জন্য অতিথি হয়ে আসা মানুষেরা আসলে মহাশক্তির কাছে একেবারে নশ্বর। তিনি তার সম্পদ জন কল্যাণের জন্য উইল করে দিয়ে কয়েকজন সঙ্গিনীকে নিয়ে হাওড়ে হাওড়ে ভাসতে থাকেন। আর এর মধ্যে খুঁজতে থাকেন সেই মহা পরাক্রমশীল স্রষ্ঠাকে। সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে খুঁজতে এক সময় আবিষ্কার করেন, তার নিজের মধ্যেই তার বাস। তার যে পিয়ারিকে সবাই হাছনজান বলে জানে, সেই আসলে হাছন রাজা। জগতের মানুষের কাছে যিনি রাজা বলে চিহ্নিত ছিলেন, হাছন রাজার কাছে সে কেউ নয়, বরং পিয়ারি হাছনজানের ভেতরেই প্রকৃত হাছন রাজা বিরাজমান ছিলেন। হাছন রাজার জীবনের এই দিকগুলো নাটকে তুলে ধরা হচ্ছে।
×